Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জবাবদিহি ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা জরুরি

সাধন সরকার | প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বুয়েটের এক জরিপ বলছে, সড়ক দুর্ঘটনার ৯০ শতাংশেরই কারণ চালকের বেপরোয়া মনোভাব ও গতি। সড়ক দুর্ঘটনার এ দুরবস্থা সাময়িক নয়, বছরের পর বছর ধরে মৃত্যুর এ মিছিল চলছেই। ঝুঁকিপূর্ণ ও একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ এ খাতটির সংস্কার এখন সময়ের দাবি। কেননা, জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে ২০২০ সালের মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি অর্ধেকে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। কিন্তু কোনো খাতে অনিয়ম ও অন্যায় যদি নিয়ম হয়ে যায়, তাহলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা কি সম্ভব? রুট পারমিট থেকে শুরু করে ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত সব ধরনের লেনদেন-বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। এ খাতে যারা জড়িত, তারা বাইরের কেউ হর্তাকর্তা নয়, সরকারের আশপাশেরই সংগঠনসংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তি। সরকার অনেক ক্ষেত্রে সফল হয়েছে। পরিবহন খাতেও সঠিক তদারকি, মনোযোগ ও আন্তরিকতা দেখালে এ খাতটি সঠিক পথে ফিরে আসবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী স¤প্রতি সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। পরিবহন কর্তাব্যক্তিসহ সংশ্লিষ্ট চালকরা এ নির্দেশনা মেনে চলতে আগ্রহী নয়। কেন? বেপরোয়াভাবে যান চালানো এবং একটানা দীর্ঘ সময় চালানো দুর্ঘটনার ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। রাজধানী ঢাকায় বাস চালাতে চালকদের সর্বোচ্চ সতর্কতা ও ধৈর্য কাম্য। কেননা রাজধানীর বেশির ভাগ রাস্তা বেশ ছোট এবং যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। এখানে হঠাৎ বেপরোয়া মনোভাব দেখানো জীবন নিয়ে খেলা করার শামিল। সরকারিভাবেও চালকদের দুই-এক দিনের ছোট প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক দুর্ঘটনা


আরও
আরও পড়ুন