নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরের মাঠে সাফের দ্বিতীয় শিরোপা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে’র তত্বাবধানে প্রায় চার মাস দেশ-বিদেশে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ। এই সময়ে তারা কাতার, লাওস, দক্ষিণ কোরিয়া বিশ্ববিদ্যাল দল ও শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের বিপেক্ষ প্রস্তুতি ম্যাচও খেলেছে। কিন্তু ‘যে লাউ সেই কদুর’ মতোই অবস্থা জাতীয় দলের। বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-২৩ দল যেখানে সদ্য সমাপ্ত এশিয়ান গেমস ফুটবলের নক আউট পর্বে খেলে ইতিহাস গড়া সাফল্য পেয়েছে সেখানে জাতীয় দল সাফ সুজুকি কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে। এটা নিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সাফের গ্রুপ পর্ব টপকাতে পারেনি লাল-সবুজরা। জাতীয় দলের এমন হতাশাজনক পারফরমেন্স ক্ষুব্ধ দেশের ফুটবলবোদ্ধারা। সাফে দলের এমন ধারাবহিক ব্যর্থতার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবী করেছেন বিশিষ্ট ফুটবল সংগঠক এবং জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যসোসিয়েশনের মহাসচিব তরফদার মো: রুহুল আমিন।
গতকাল মহখালীস্থ নিজ কার্য্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় রুহুল আামিন বলেন, ‘২০০৯ সালের পর বাংলাদেশ আর সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেনি। অথচ এবারই তাদের শেষ চারে খেলার উজ্জ্বল সম্ভবনা ছিল। কিন্তু গ্রুপের শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে দায়িত্বহীন ফুটবল খেলে জাতিকে লজ্জায় ডুবিয়েছে ফুটবলাররা। ম্যাচে হেরে তারা ছিটকে পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। জাতীয় দলের এ ব্যর্থতার যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। এটি বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নিজেও করতে পারে অথবা আইনের আওতায পড়লে বিচার কিভাগীয় তদন্তও হতে পারে। সাফে কেন ধারবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ, তা খুঁজে বের করা আজ সময়ের দাবী।’
তিনি আরো বলেন, ‘এবারের সাফে জাতীয় দলের সেরা একাদশ গঠনে সঠিক মাপকাঠি ব্যবহৃত হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। কোন ব্যক্তি বা ক্লাব স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে জাতীয় স্বার্থকে দূরে ঠেলে দেয়া হয়েছে কিনা তা অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে। সামনেই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট। আন্তর্জাতিক এ আসরেও যদি জাতীয় দলের একই অবস্থা হয় তবে চিরতরে ধ্বংস হয়ে যাবে দেশের ফুটবল।’ রুহুল আমিন যোগ করেন, ‘বাফুফের কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই। জাতীয় দলের জন্যও নেই নির্দিষ্ট কোন কাঠামো। মাত্র কয়েক মাস ক্যাম্প করেই ফুটবলারদের কাছ থেকে সাফল্য চাওয়া হয়। ব্যর্থ হলে দোষ চাপে তাদের ঘাড়েই। ব্যর্থতার দায় নীতি-নির্ধারকদের কেউ নিতে চান না। এই ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। সব ব্যাপারেই বাফুফেকে আরো কঠোর হতে হবে। চাপমুক্ত একটি জাতীয় দল গড়ে ফুটবলারদের রাখতে হবে দীর্ঘমেয়াদী ক্যাম্পে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।