নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এশিয়া কাপের সর্বশেষ তিন আসরের দুইবারই ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে ওয়ানডে ফরম্যাটে খুব কাছে গিয়েও শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল টাইগারদের। ওয়ানডে ফরম্যাটে মিরপুরের সেই ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে দুই রানের হারের ক্ষত আজও কাঁদিয়ে বেড়ায় কোটি বাঙালীকে। সর্বশেষ আসরটি হয়েছে টি-২০ ফরম্যাটে। বৃষ্টি বিঘিœত সেই ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্ন অধরাই থেকে গেছে বাংলাদেশের। শেষ তিনবারই অবশ্য এশিয়া কাপ বাংলাদেশ খেলেছিল ঘরের মাঠে। এবার খেলা হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে, ফরম্যাটও ফিরেছে ৫০ ওভারে। সা¤প্রতিক ফর্ম, দলের ভারসাম্য বিবেচনাতেও এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে এসেছে বদল। এবারও তাই ভারত ও পাকিস্তানকেই বেশি এগিয়ে রাখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। তবে তার মতে ফরম্যাটটা ওয়ানডে বলে খুব বেশি পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
এশিয়া কাপ মিশনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে বাংরাদেশ উড়াল দেবে আগামী রোববার। তার আগে খুব একটা বড় স্বপ্ন না দেখালেও জানিয়ে গেলেন চ্যাম্পিয়ণ হতেই মরুর দেশে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গতকাল মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সব হিসেবে করেই বাস্তবতার ছবি তুলে ধরেছেন ওয়ানডে অধিনায়ক, ‘সম্ভাবনা কতটুকু এভাবে আসলে বলা যায় না। দল গুলো যদি দেখেন, তাহলে আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই। হয়তো ভারত অনেক ভালো দল, অনেকটাই এগিয়ে। পাকিস্তান তাদের ঘরের মাঠে খেলবে। কিছুটা বাড়তি সুবিধা তাঁরা পাবে। তাদের দলে রিস্ট স্পিনার বেশি আছে। তবুও আমার কাছে মনে হয় আমাদের সামর্থ্য আছে তাদেরকে হারানোর।’
এশিয়া কাপ এবার হচ্ছে দুই গ্রæপে। তুলনামূলক কঠিন ‘এ’ গ্রæপে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তানকে। ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচ দিয়েই শুরু হবে টুর্নামেন্ট। গত তিন আসরের দুটিতে একটুর জন্য শিরোপার স্বাদ পায়নি বাংলাদেশ। এবার আর শিরোপাটা হাতছাড়া করতে চায় না দল। আগেই বলেছেন, এশিয়া কাপে বাংলাদেশের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। নিজেদের লক্ষ্যে অটুট আছে বাংলাদেশ। তবে এর জন্য শুরুটা ভালো চান মাশরাফি। আপাতত প্রথম ম্যাচটাকেই পাখির চোখ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমরা শুরুটা কেমন করি আর পরের রাউন্ডে যেতে পারি কিনা, সেটা দেখতে হবে। এখানে বিভিন্ন ক্যালকুলেশন আছে। আমরা যদি ম্যাচটা জিততে পারি, তাহলে আমরা শুরুতেই আত্মবিশ্বাস পেয়ে যাব। আমাদের সামর্থ্য আছে ভালো খেলার। দলে ভালো মানের ক্রিকেটার আছে, যারা ম্যাচ উইনার। তারপরও আামাদের প্রথম ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। যদি প্রথম ম্যাচটা জিতে যাই আমাদের ভালো করার সুযোগ থাকবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আমার কাছে মনে হয় আমরা খুব বেশি পিছিয়ে নেই।’
দলীয় পার্ফরম্যান্স তো আছেই, ব্যক্তিগত অর্জনের ঝুলিটাও সমৃদ্ধ হতে যাচ্ছে মাশরাফির। তিন উইকেট হলে ছাড়িয়ে যাবেন গতিদানব শোয়েব আখতারকে, পাঁচ উইকেট হলে নাম লেখাবেন আড়াইশো উইকেট শিকারীর ক্লাবে। কিন্তু রেকর্ডের ব্যাপারে বরাবরই অনুৎসাহী মাশরাফি ভাবলেশহীন এবারো। ১৯০ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এখনো পর্যন্ত ২৪৫ উইকেট শিকার করেছেন মাশরাফি। ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় মাশরাফির অবস্থান ২৭। ২৪৭ উইকেট নিয়ে মাশরাফির উপরেই অবস্থান শোয়েব আখতারের। ৩ উইকেট হলে মাশরাফি উঠে যাবে ২৬’এ, ৫টি হলে পূরণ করবেন ২৫০ উইকেটের মাইলফলক। তবে মাশরাফি ভাবছেন না এসব রেকর্ডের ব্যাপারে, ‘আমার নিজের কোন লক্ষ্য থাকে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও লক্ষ্য নিয়ে যাই নি, এখানেও যাবো না। কখনো এমন লক্ষ্য নিয়ে যাই না। আমি চেষ্টা করব অবদান রাখার, যতটুক পারি। এটা খারাপও হতে পারে ভালোও হতে পারে। এটা নিয়ে আসলে এত মাথা ব্যথা নেই। আর টুর্নামেন্টের শুরুতে তো থাকেই না।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।