পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিভিন্ন ধর্মীয়, সামাজিক বা পারিবারিক উৎসবে বাজি ফাটিয়ে আনন্দ করার রেওয়াজ দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে। বিভিন্ন জাতীয় বা রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানেও আতশবাজির খেলা দেখিয়ে দর্শকদের আনন্দ দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের দেশে যেকোনো উৎসব এলেই শিশু-কিশোর ও তরুণদের মধ্যে বাজি ফোটানোর আগ্রহ অনেক বেড়ে যায়। বর্তমানে সারা দেশেই শব্দবাজির উপদ্রব অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজি ফোটানো আগেও যেমন বিপজ্জনক ছিল, এখনো তা-ই আছে। তবে বর্তমানে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ও আকারের বাজি পাওয়া যাচ্ছে। আবার কিছু বিপজ্জনক বাজি সীমান্তের ওপার থেকেও আসছে। এগুলো যেমন বিপজ্জনক, তেমনি ক্ষতিকারক ও বিরক্তিকর। বাজি ফোটানোকে কেন্দ্র করে দুর্ঘটনার সংখ্যাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগেকার তুলনায় বর্তমানের বাজিগুলো অনেক বেশি বিপজ্জনক, ধ্বংসাত্মক ও বিকট শব্দ সৃষ্টিকারী হওয়ায় এসব বাজি ফোটাতে গিয়ে প্রায়ই শিশু-কিশোররা মারাত্মকভাবে আহত হচ্ছে বা মারাও যাচ্ছে। এ ছাড়া এসব বাজি প্রায়ই বড় ধরনের অগ্নিকান্ডেরও কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বাজি ফোটানোর বিকট শব্দে ছোট শিশুরা ভয় পাচ্ছে এবং অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃদ্ধদেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অনেক সময় গভীর রাত পর্যন্ত বাজি ফোটানোর ফলে সাধারণ মানুষ ঠিকমতো ঘুমাতেও পারে না। এই শব্দবাজি পরিবেশদূষণের মতোই শব্দদূষণের মাত্রাকেও মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে তুলছে। বিকট শব্দ মস্তিষ্ক, শ্রবণশক্তি, হৃৎপিন্ড ও মানবদেহের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। দেশের শিশু-কিশোরদের শব্দবাজির বিপদ থেকে বাঁচাতে এবং শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে এ বিপজ্জনক বাজির খেলা বন্ধ করতে হবে।
ফরিদপুর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।