বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুরু হয়েছে দলটির জনসভা। আজ শনিবার দুপুর ২টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
যদিও নির্ধারিত সময়ের আগেই নয়াপল্টন এলাকায় অবস্থান নেয়
বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল নেতাকর্মী।
বিএনপি আজকের জনসভায় ব্যাপক জনসমাগমেরর ঘোষণা আগেই দিয়েছিল। রাজধানী ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে বিপুল নেতাকর্মী আজকের জনসভায় যোগ দিয়েছে।
এদিকে জনসভায় আগত
বিএনপি নেতাকর্মীরা দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি করে তার ছবি সংবলিত ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড বহন করছে। এ ছাড়া তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিতে থাকে।
জনসভায় আগত
বিএনপি নেতাকর্মীদের আগমন জনস্রোতে পরিণত হয়েছে। কাকরাইল, নাইটিংগেল, হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁ, ফকিরাপুল মোড়, পল্টন মসজিদ গলি, বিজয় নগর এলাকা
বিএনপি নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ। যত দূর চোখ যায় শুধু
বিএনপি নেতাকর্মী আর সমর্থকদের দেখা যায়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা এবার খালেদা জিয়াকে ছাড়াই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছে। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য আজকের জনসভায় যোগ দিতে পারেননি।
যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মামুন বলেন, আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, আমাদের আনন্দের দিন। কিন্তু বর্তমান সরকারের অন্যয় আচরণের কারণে আজ
বিএনপির আনন্দ বিষাদে রূপ নিয়েছে। কারণ আমাদের চেয়ারপারসন, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করছি। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, আজকের জনসভা থেকে
বিএনপির প্রতিটি কর্মী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিবে। খালেদা জিয়াকে অবৈধ সরকারের কারাগার থেকে মুক্ত করে আগামী নির্বাচনে অংশ নিবে
বিএনপি।
বিএনপির আজকের জনসভায় এরই মধ্যে উপস্থিত হয়েছেন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন,
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যন ডা. জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, আবুল খায়ের ভুঁইয়া,
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব
রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, ইমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।