গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কয়েক হাজার নেতাকর্মী প্রবেশ করেছেন ঢাকায়। রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাদের পাশাপাশি জেলা পর্যায়ের নেতারাও যোগ দিয়েছেন সমাবেশস্থলে। এতে মুহূর্তেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় মাঠটি। তবে খাবার ও পানীয় সংকটের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সমাবেশে যোগ দেওয়া নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, সমাবেশস্থল পূর্ব নির্ধারিত না থাকায় খাবারের উচ্চমূল্য যেমন রয়েছে তেমনি কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরাও খাবারের ব্যবস্থা না করায় বিড়ম্বনার পড়তে হয়েছে তাদের।
এদিকে সুযোগে স্থানীয় দোকানগুলোতেও খাবারের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে তাদের ভোগান্তি আরও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর গোলাপবাগ ও আশেপাশের এলাকায় সমবেত হওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
মাঠের পাশের কয়েকটি দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাঁচ টাকার পান ১০ টাকায়, যে খাবার ৫০ টাকায় মেলে তাও কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়। বেড়েছে পানির দামও।
নেতাকর্মীরা বলছেন, সব মিলিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বাধ্য হয়ে অনেক কর্মী আবার শুকনো রুটি এবং চিড়া খাচ্ছেন। কেউ ডাল পুরি খেয়েও রাত পার করছেন।
এছাড়া গ্রাম থেকে শুকনো খাবার নিয়েও সমাবেশস্থলে আসতে দেখা গেছে অনেক নেতাকর্মীকে।
সমাবেশে আসা বরিশাল জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মো সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা চারদিন আগেই ঢাকায় প্রবেশ করেছি। দেশের জন্য, মানুষের জন্য কষ্ট হলেও সমস্যা নেই। তবুও এভাবে একটি গণতন্ত্রহীন সরকার চলতে পারে না। এই যে শুধু ডালপুরি খেয়ে রাত পার করছি তাতে আপত্তি নেই কিন্তু এমন অরাজকতা চলতে পারে না।
সিলেটের হবিগঞ্জ থেকে সমাবেশে আসা মুজিবর রহমান বলেন, অল্প কিছু টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছি। কিন্তু এখানে খাবারের অনেক দাম। আমাদের নেতা শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। ইনশাআল্লাহ সমস্যা হবে না।
এর আগে সমাবেশের অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই দলে দলে বিএনপি নেতাকর্মীরা এই মাঠে আসতে শুরু করেন। এমনকি সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত নামতেই কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠে রাজধানীর এই মাঠটি। পরে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা নেতাকর্মীরাও তাদের ব্যানার-ফেস্টুন সেটে দেন।
দেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে সমাবেশে আসা একাধিক নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সমাবেশে যোগ দিতে কয়েকদিন আগে থেকেই তারা ঢাকায় প্রবেশ করেন৷ নানা চড়াই-উতরাই পার করার পরেও সমাবেশস্থল নির্ধারিত হওয়াতে উচ্ছ্বসিত তারা।
এদিকে বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনে যারা শরীক হতে যান তাদের সবাইকে আগামীকালের সমাবেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। সেই সঙ্গে ঢাকাবাসীকেও সমাবেশে যোগ দেওয়া আহ্বান জানিয়েছে তিনি।
বিএনপির শীর্ষ এই নেতা জানিয়েছেন, শনিবার রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ শুরু হবে বেলা ১১টায়। এই সমাবেশ থেকে দলের পক্ষ থেকে ১০ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।