পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
চীন ও আফগানিস্তানের মধ্যে থাকা একটি সংকীর্ণ করিডোরে আফগান সৈন্যদের জন্য একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প বানানোর কাজ শুরু করেছে চীন। সন্ত্রাসপ্রতিরোধে আফগানিস্তানকে সহায়তার জন্য এই প্রকল্পের পুরো অর্থ দিচ্ছে বেইজিং। সামরিক বাহিনীর সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। ক্যাম্পটির নির্মাণকাজ শেষ হলে পিপলস লিবারেশন আর্মির শত শত সেনাসদস্য কিংবা অন্তত একটি ব্যাটালিয়নকে আফগানিস্তানের ওয়াখান করিডোরে পাঠানো হবে। বিষয়টির সাথে ঘনিষ্ঠভাবে অবগত একটি সূত্র সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে এ তথ্য জানিয়েছে। অত্যন্ত দুর্গম এলাকায় করিডোরটি অবস্থিত। আফগানিস্তানের বাদাখশান প্রদেশ থেকে চীনের মুসলিম অঞ্চল জিনজিয়াং পর্যন্ত প্রায় ২২০ মাইল (৩৫০ কিলোমিটার) পর্যন্ত এই করিডোরে সা¤প্রতিক মাসগুলোতে চীন উইঘুর জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অভিযান পরিচালনা করে। আধুনিক ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো আফগানিস্তানে সামরিক উপস্থিতি ঘটাতে যাচ্ছে চীন। জয় ও শাসন করা ভয়াবহ ধরনের কঠিন হওয়ায় এটি ‘সাম্রাজ্যগুলোর কবরস্থান’ হিসেবে পরিচিত আফগানিস্তান। তবে যুদ্ধবিধ্বস্ত মধ্য এশিয়ান দেশটি চীনের নিজস্ব নিরাপত্তা ও প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের নতুন সিল্ক রোড ব্যবসা ও অবকাঠামো পরিকল্পনার জন্য ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেছে। চীন গত বছর জিবুতিতে তার প্রথম বৈদেশিক সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করে। এর ফলে ভারত মহাসাগরে চীনা শান্তিরক্ষী ও মানবিক মিশনে থাকা জাহাজগুলো সরবরাহ পাবে। অনেক সামরিক বিশেষজ্ঞ একে সামরিক লজিস্টিকস আউটপোস্ট হিসেবে অভিহিত করেছেন। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে সূত্র জানিয়েছে, পিএলএ জিবুতিতে এক ব্যাটালিয়নের বেশি সৈন্য পাঠিয়েছে। তাদের অনেকে ইঞ্জিনিয়ার ও নির্মাতা। যুদ্ধ করতে সক্ষম সৈনিকের সংখ্যা সেখানে খুবই কম। এক ব্যাটালিয়নে সাধারণত ৫০০-এর বেশি সৈন্য থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জিবুতিতে চীনা সৈন্যরা যে ভূমিকা পালন করছে, আফগানিস্তানে তার চেয়ে ভিন্ন অবস্থানে দেখা যেতে পারে। কারণ প্রশিক্ষণ ক্যাম্পটি জিনজিয়াংয়ের কাছাকাছি অবস্থিত। বেইজিং মনে করে যে বিচ্ছিন্নতাবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থার তিন শক্তির প্রধান উৎস হলো এই অঞ্চলটি। সা¤প্রতিক বছরগুলোতে এখানে বেশ কয়েকটি সহিংস হামলা হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছ, ঘাঁটিটির নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। চীন অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ অন্তত এক ব্যাটালিয়ন সৈন্য পাঠাবে। তারা সেখানে মোতায়েন থেকে আফগান সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দেবে। রুশ সংবাদ সংস্থা ফারগানা নিউজ জানুয়ারিতে জানিয়েছিল, বেইজিং বাদাখশানে একটি নতুন সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠায় অর্থ দেবে। এর আগে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় একসাথে কাজ করতে রাজি হয়েছিল। ওই সময় চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সামরিক ঘাঁটি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা অস্বীকার করেছিল। তবে তারা নিরাপত্তা সহযোগিতার প্রয়াসে প্রতিবেশী দেশকে সাহায্য ও সমর্থন প্রদান করার কথা জানিয়েছিল। বেইজিংভিত্তিক সামরিক বিশেষজ্ঞ লি জিই বলেছেন, চীন তার সন্ত্রাসবিরোধী পদক্ষেপ জোরদার করেছে। তবে তাকে এজন্য মধ্য এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে একযোগে কাজ করতে হবে। গত তিন বছরে আফগানিস্তানে ৭০ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা করেছে আফগানিস্তানকে। এ তথ্য জানিয়েছেন কাবুলস্থ সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড রিজিওন্যাল স্টাডিজের গবেষক আহমদ বিলাল খালিল। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।