Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অভিযুক্ত চার চিকিৎসকের জামিন

শিশু রাইফার মৃত্যু

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নগরীর মেহেদীবাগের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসকের অবহেলায় শিশু রাইফার মৃত্যুর মামলায় জামিন পেয়েছেন অভিযুক্ত চার চিকিৎসক। হাইকোর্টের নির্দেশে গতকাল (সোমবার) নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান তারা। চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু সালেম মো. নোমান তাদের জামিনের আদেশ দিয়েছেন। গত ৩০ জুলাই হাইকোর্টের দেওয়া চার সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষে তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার বন্ডে জামিন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী। চার চিকিৎসক হলেন- বিধান রায় চৌধুরী, ম্যাক্স হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক দেবাশীষ সেনগুপ্ত ও শুভ্র দেব এবং ম্যাক্স হাসপাতালের পরিচালক ডা. লিয়াকত আলী।
বাদীপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা জামিন আবেদনের বিরোধিতা করে শিশু রাইফার মৃত্যু ও পরবর্তী ঘটনা আদালতকে অবহিত করেছি। আমরা বলেছি এটি একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা। সামান্য গলা ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে ফুটফুটে একটি শিশু লাশ হয়ে ফিরবে এটি অপ্রত্যাশিত। বিচারকের বক্তব্য উদ্ধৃত করে তিনি বলেন, শিশু রাইফার মৃত্যুতে সারা দেশের মানুষ কেঁদেছে। তখন আমিও কান্না ধরে রাখতে পারিনি। আমিও মনে করেছি আমার কন্যা মারা গেছে। তবে যে ধারায় মামলা হয়েছে সেটা জামিনযোগ্য। আসামিপক্ষের জামিন পাওয়ার আইনগত অধিকার আছে।
আসামি পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত, শম্ভু প্রসাদ দে এবং খোরশেদ আলম চৌধুরী। রানা দাশগুপ্ত বলেন, রাইফার মৃত্যুতে আমরা সবাই ব্যথিত। তবে মামলাটি বিচারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আইনকে প্রাধান্য দিতে হবে। সে কথাই আমরা আদালতে বলেছি। রানা দাশগুপ্ত বলেন, আদেশের বাইরে আদালত মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন- সবারই শিশু আছে। রাইফার মৃত্যুতে আমরা সবাই মর্মাহত। বিচারক হিসেবে আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমার নেই।
শুনানি শেষে রাইফার বাবা সাংবাদিক রুবেল খান বলেন, আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় আমার মেয়ের মৃত্যুর পর মামলা করেছি। আশা করি আসামিরা সাজা পাবে এবং তাদের সর্বোচ্চ শাস্তিই হবে। গলায় ব্যথা হওয়ায় রাইফাকে গত ২৮ জুন ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ডা. বিধান রায়ের অধীনে চলছিল তার চিকিৎসা। ২৯ জুন রাতে তার মৃত্যু হয়। সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভের মুখে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক ও এক নার্সকে পুলিশ ধরে থানায় নিলেও বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল থানায় গিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নেন। এরপর সাংবাদিক ও চিকিৎসকদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলনের মধ্যে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সিদ্ধান্তে গত ১৮ জুলাই নগরীর চকবাজার থানায় মামলার এজাহার জমা দেন রুবেল খান। ২০ জুলাই সেটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যু


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ