পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের মুখে সরকার সা¤প্রতিককালে যে গতিসীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে তার সঠিক বাস্তবায়ন কাম্য। দেশে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো বন্ধে আইন আছে; কিন্তু কেউ মদ পান করে গাড়ি চালাচ্ছে কি না, তা পরীক্ষা করা হয় না। সড়ক দুর্ঘটনার জন্য বিশেষজ্ঞরা চালকের বেপরোয়া মনোভাবের ও নিয়ন্ত্রণহীন গতির পাশাপাশি দায়ী করেন সড়ক নির্মাণ পরিকল্পনা ও নকশা প্রণয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং পরিচালনার তদারকি ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলাকেও। ফুটপাত দখলমুক্ত করে পথচারী চলাচলের সুবিধা করে দিলে অনায়াসে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব। অদক্ষ চালক, সড়কের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা বেশি, বেপরোয়া গতিতে ও পাল্লা দিয়ে গাড়ি চালানো, রাস্তার জ্যামিতিক ত্রুটি, নেশাগ্রস্ত হয়ে গাড়ি চালানো, পথচারী ও যাত্রীদের অসাবধানতা, ডিভাইডারের অভাবে বিপরীতমুখী যানবাহনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ, রেলের অরক্ষিত লেভেলক্রসিং অন্যতম। বিআরটিএর হাতে এককভাবে রেজিস্ট্রেশন দেওয়া, লাইসেন্স দেওয়া ও ফিটনেস (সারা দেশে ফিটনেস পরিদর্শক আছেন মাত্র ৪১ জন) দেওয়ার কারণে কোনোটাই সুষুমভাবে পালিত হচ্ছে না বলে অভিযোগ আছে। সে কারণে ঘাটতি আছে ১৫ থেকে ২০ লাখ চালকের। ফলে আরো নতুন গাড়ির রেজিস্ট্রেশন দিতে গিয়ে সরকার নিজেই সেই গাড়িটি হেলপার দিয়ে চালানোর অবস্থা সৃষ্টি করে দিচ্ছে। ফলে নিত্য দুর্ঘটনা এড়ানোর অবস্থা ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর হচ্ছে। সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকার, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদিচ্ছা, ত্যাগী ও কর্মঠ ট্রাফিক পুলিশের তৎপরতা, সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ ও দায়বদ্ধতা, রিকশা-ভ্যান-ঠেলাগাড়ি চালক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, হালকা ও ভারী যানবাহন চালকদের উপযুক্ত সম্মানী দিতে হবে। আর ট্রাফিক আইন যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো অসম্ভব নয়।
ভূঁইয়া কিসলু বেগমগঞ্জী
বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।