পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
চট্টগ্রামের মতো একটি বাণিজ্যিক শহরে জলাবদ্ধতা আশা করা যায় না। কিন্তু এটিই সত্য। হঠাৎ বৃষ্টিতে নিউ মার্কেট, কদমতলী, রিয়াজুদ্দিন বাজার, বকশির হাট, আগ্রাবাদ এক্সেস রোড, শেখ মুজিব রোড, চৌমুনী রোড, হালিশহর, টিসি রোড, বড় পুল, ছোট পুল, অলঙ্কারÍএসব স্থানে গাড়ির পরিবর্তে নৌকা ব্যবহার করলেই উত্তম হবে। রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি পুরো ডুবে যাওয়ার অবস্থা হয়। বাস, ট্রাক ছাড়া সব যানবাহন পানির নিচে আটকে গিয়ে যানজট তৈরিতেও ভূমিকা রাখছে। কারণ পানির নিচে রাস্তাটিও যে অসম্ভব খারাপ। যেমন ভাঙা, তেমনি কাদায় ভরপুর। গাড়ি চলবে কিভাবে? এ জলাবদ্ধতার কারণে সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রতিবছর একই সমস্যার সম্মুখীন হয় চট্টগ্রামের বেশির ভাগ মানুষ। কিন্তু এর পরও এ সমস্যার সমাধানে কোনো কার্যকর হস্তক্ষেপ দেখা যায় না। এ অসহনীয় দুর্গতি ও দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণের পথ কোথায়, তা-ও সংশ্লিষ্ট মহলের মাথায় নেই। আবার বিভিন্ন সাইনবোর্ডে দেখা যায়, ‘সবুজ নগরী গড়ার প্রত্যয়’। ভাবতেও মাঝেমধ্যে অবাক লাগে, যে নগরীতে জলাবদ্ধতার জন্য মানুষ কষ্ট পায়, সেই নগরী সবুজ করা হবে কাদের জন্য? নগরীর মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে রাস্তায় আটকা পড়ছে আর প্রশাসন ব্যস্ত সবুজ নগরী তৈরিতে। ব্যাপারটা যেমন হাস্যকর, তেমনি কষ্টদায়ক। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে এটি দেশের বাণ্যিজ্যিক রাজধানী। এখানে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়ে থাকে। জলাবদ্ধতার জন্য চট্টগ্রামের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়ছে। নিজ চোখে না দেখলে বোঝা অসম্ভব। এ সমস্যা যদি সমাধান করা না হয়, তবে অন্যান্য উন্নয়ন চট্টগ্রামের মানুষের কাছে প্রাধান্য পাবে না। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সব প্রশাসনের ভূমিকা থাকতে হবে। এ সমস্যা সমাধান করা অত্যন্ত জরুরি।
আজহার মাহমুদ
চট্টগ্রাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।