নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এ নিয়ে দুই মৌসুম তাকে কোচিং করাচ্ছেন। এরপরও লিওনেল মেসির প্রতি মুগ্ধতা কমছে না আর্নেস্তো ভালভার্দের। বার্সেলোনা তারকা যে বিষ্ময় উপহার দিয়েই যাচ্ছেন।
শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে পরশু রাতে ন্যু ক্যাম্পে দিপোর্তিভো আলাভেসকে ৩-০ গোলে হারিয়ে লিগ মৌসুম শুরু করেছে বার্সেলোনা। দুটি গোল করেছেন মেসি। হ্যাটট্রিকও পেতে পারতেন। দুইবার পোস্ট বঞ্চিত না করলে গোল পেতে পারতের আরও বেশি। অন্য গোলটি আসে ফিলিপ কুতিনহোর বিদ্যুৎগতির শট থেকে।
পুরো ম্যাচই ছিল মেসিময়। কিন্তু প্রথমার্ধে সুয়ারেজ-দেম্বেলেদের সঙ্গে গোল মিসের মহড়ায় যোগ দেন মেসিও। এরই মাঝে আর্জেন্টাইন তারকার সুবিধাজনক জায়গায় পাওয়া একটি ফ্রি-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। আলাভেসের জাল আবিষ্কার করতে তাই ৬৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় কাতালানদের। এরপরই ভালভার্দের হতাশা বিষ্ময়ে রূপ দেন মেসি। ডি বক্সের সামনে ফাউলের শিকার হন তিনি নিজেই। সেখান থেকে নেয়া বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি-কিকে লক্ষ্যভেদ করেন পাঁচবারের বর্ষসেরা। তার শট প্রতিহত করতে লাফিয়ে উঠে আলাভেসের মানব দেয়াল কিন্তু মেসি ব্যাপারটা আগেই আঁচ করতে পেরে মাটি কামড়ানো শট নেন। বার্সেলোনার ইতিহাসে এটি ছিল ছয় হাজারতম লিগ গোল। এর আগে ২০০৯ সালে পাঁচ হাজারতম গোলটিও এসেছিল মেসির পা থেকে। গোলরক্ষকের এসময় কিছুই করার ছিল না। ম্যাচ শেষেও সেই বিষ্ময়ের ঘোর কাটেনি ভালভার্দের, ‘মেসি একজন জিনিয়াস। আমরা ভাগ্যবান তাকে প্রতিদিন দেখার সুযোগ পেয়ে। আমরা ভাগ্যবান তার খেলোয়াড়ী যুগে ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে।’
খানিক পর দারুণ ক্ষিপ্রতায় তাকে গোলবঞ্চিত করেন আলাভেস গোলরক্ষক। পোস্টে লেগে ফিরে আসে আরেকটি কোনাকুনি শট। ম্যাচের শেষ সময়ে সুয়ারেজের দুর্দান্ত ফ্লিক পাস ধরে আরো দুর্দান্তভাবে লক্ষ্যভেদ করেন মেসি। ৮৩তম মিনিটে স্বদেশি আর্থারের পাস ধরে ট্রেড মার্ক কোনাকুনি শটে ব্যবধান দ্বিগুন করেন কুতিনহো। ম্যাচজুড়ে ৭৯ শতাং বলের দখল রাখে বার্সা। প্রথমার্ধে ঠিক সুবিধা করতে পারছিল না বার্সা। দ্বিতীয়ার্ধে কুতিনহো নামার পর আক্রমণের গতি বাড়ে। তবে অধিকাংশ আক্রমণের প্রাণ ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা।
ম্যাচ শেষে তাই মেসি বন্দনায় মুখর ভালভার্দে, ‘আমাদের বিষ্ময় করার মত এখনো অনেক সুযোগ রয়েছে মেসির সামনে। সে সব সময়ই বিষ্মিত করে। বিশ্বাস করুণ, সে আমাকে বিষ্মত করেই যায়। তার কাছ থেকে যে কোন কিছুর জন্যেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হয় কারণ সে যা দেখে বাকিরা তা দেখতে পায় না।’
একই রাতে ভয়ানক একিলিচ টেন্ড্রন ইনজুরি কাটিয়ে দুই বছর পর মাঠে নামেন শান্তি ক্যাজোরলা। কিন্তু তার দল ভিয়ারিয়াল রিয়াল সোসিয়াদাদের কাছে হেরে যায় ২-১ গোলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।