গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
ফেসবুকে সরকার ও দেশের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে স্ট্যাটাস দেয়ার পর আত্মহত্যা করেছে মুশফিক বাবু নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থী। বুধবার রাতে নিজ বাসার ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। মুশফিক বাবু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।
বুধবার সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটে মুশফিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন ব্যবস্থায় কিছু বলার ন্যুনতম অধিকার থাকে না। এখন এটা বোঝার সময় হয়েছে যে, তোমার কন্ঠস্বরের কোন মূল্য নেই। তাই কথা বলা বন্ধ করুন ও সরকারের ভৃত্য হিসেবে তাদের প্রশংসা করা শুরু করুন। কি করতে হবে এবং কি করা যাবে না, শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে তা বলে দেয়।
যেন সমাজ আমাদেরকে সহজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যে সমাজ আমাদেরকে জেলে পাঠানো বা হত্যা করার ক্ষমতা রাখে। এমনকি আমাদের মৃতদেহ এমন জায়গায় ছুড়ে ফেলার ক্ষমতা তাদের আছে, যেখান থেকে কেউ তা খুজে পাবে না। এ বিষয়ে আপনাদের অনুভূতি কি? কে তাদেরকে এই ক্ষমতা দিয়েছে? গণতন্ত্র? নাকি এটা গণতন্ত্রের নামে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ, যেখানে আমাদেরকে ক্ষমতাসীনদের প্রশংসা করতে হবে, তাদেরকে মেনে চলতে হবে। এটা কি শুধু আপনাদের হাতে বন্দুক আছে বলে? এটাই বিশ্বের সব ক্ষমতা না। বাংলাদেশী হিসেবে আমি স্বাধীনতা চাই। এমনকি এই চাওয়ার জন্য তারা যদি আমাকে হত্যা করে, তাও আমি এটা চাই।
মুশফিকের সহপাঠীরা জানান, মুশফিক অনেক হাসিখুশী ছেলে ছিল। তার কোন আর্থিক সমস্যা ছিল না। সে বুধবার রাতে তার বাবার সাথে কথা বলে রুম থেকে বের হয়েছিল। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তার মধ্যে ক্ষোভ ছিল সেটা বন্ধুরা জানতো। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সেটা সম্পর্কে তারা নিশ্চিত নন।
এ বিষয়ে ঢাবি প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা তার বিভাগের মারফতে জেনেছি যে সে আত্মহত্যা করেছে। এটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা তার আত্মহত্যার কারণ জানার চেষ্টা করছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।