Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

দুর্ভোগে ৫ গ্রামবাসী

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) থেকে কামরুজ্জামান টুটুল | প্রকাশের সময় : ১৭ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মাত্র ৩ কিলোমিটার সড়ক পাকা কিংবা সংস্কার না হওয়ার কারনে ৫ গ্রামের অর্ধলক্ষ লোকের দূর্ভোগ চরমে উঠেছে। এর মধ্যে সবছে বেশী দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে রোগী আনা-নেওয়া আর স্কুল কলেজ মাদরাসাগামী শিক্ষার্থীদের। ১২ ফিট প্রস্থের সড়কের মাটি দিন দিন ক্ষয়ে অনেকস্থানে ৩ ফিটে পরিনত হয়েছে কিন্তু সংস্কার হয়নি গত ৩০ বছরে আর বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন স্থানীয়রা। প্রায় শত বছরের মাটি এই সড়কটি আজকের এই যুগে এসে সংস্কার কিংবা পাকা না হওয়ার কারনে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করতে দেখা গেছে।
সরজমিনে গেলে দেখা যায়, উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের সুহিলপুর বাজারের দক্ষিন মাথা থেকে শুরু হয়ে সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামেন দিয়ে ৪নং কলোচোঁ ্ইউনিয়নের রামপুর বাজার চলে যাওয়া সড়কটি দৈর্ঘ প্রায় ৩ কিলোমিটার। গ্রামীন অবকাঠামোয় নির্মিত সড়কটি বয়স কমপক্ষে শত বছরের পূরনো সড়টি ব্যবহার করছে সুহিলপুর, সুহিলপুর পশ্চিম পাড়া, সুহিলপুর মধ্য পাড়া, খাকবাড়িয়া পশ্চিম পাড়া বাউড়া আর শাহপুর হয়ে রামপুর চলে গেছে সড়কটি। এর মধ্যে স্থানীয় হাওলাদাবাড়ি, মাষ্টার বাড়ি আর সরকার বাড়ির সামনে দিয়ে ১২ ফুটের সড়ক পুকুরে ভেঙ্গে গিয়ে ৩ ফুটে পরিনত হয়েছে। সড়কটি সংস্কার না হওয়ার কারনে পুরো সড়কে ছোট বড় মিলিয়ে শতাধিক গর্ত রয়েছে। বর্ষা আর বৃষ্টিতে সড়ক ব্যবহারকারী মাঝে নেমে আসে চরম দূর্ভোগ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, সড়কটি এলজিইডি হওয়ার কারনে ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার করছে না। অথচ সুহিলপুর এবিএস ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসা, সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সুহিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুহিলপুর হাফেজীয়া ও এতিমখানা মাদরাসা, খাকবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক‘শ শিক্ষার্থী এই সড়ক ব্যবহার করে পড়ালেখা করার জন্য যেতে হয়।
সুহিলপুর বেপারী বাড়ির মৃত ওমর আলী পন্ডিতের ছেলে সত্তোরর্ধ্ব মো. আব্দুল হাই বলেন জন্ম হওয়ার পর থেকে এই সড়ক ব্যবহার করে আসছি। অথচ পাকা তো দূরের কথা আজ পর্যন্ত সড়টিতে মাটির সংস্কার হয়নি। একই সুরে কথা বললেন স্থানীয় হাওলাদার বাড়ির মৃত আমিন মিয়ার ছেলে মো. ফারুক হোসেন (৪৮), একই বাড়ির মৃত বারেক হাওলাদারের শাহ আলম হাওলাদার(৪৮)।
সুহিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারজানা আক্তার, সোহরাব হোসেন,রহিমা আক্তার,শান্তা, মেহেদী হাসান এবং সুহিলপুর এবিএস ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার শিক্ষার্থী জিহাদ, তানজিনা জানান, বৃষ্টি হলে রাস্তায় খানা-খন্দ, পানি-কাদা মাড়িয়ে স্কুলে/মাদরাসায় যেতে হয়। প্রতিনিয়ত কোন না কোন শিক্ষার্থী পা পিছলে দূর্ঘটনার শিকার হয়। টানা বা ভারি বৃষ্টি হলে আমাদের স্কুল/মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ সফিকুল ইসলাম মীর জানান, সড়কটি এলজিইডি’র। আমি মাটি কাটতে সব ঠিক করলে উপজেলা এলজিইডি কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, তাদের সড়কে তারা কাজ করবে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মো. আজিজুল হক জানান, প্রয়োজনের তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় সড়কটি পাকাকরণ হয়নি। নতুন তালিকায় পাকাকরণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, এলজিইডি’র সড়কটি হলেও জনস্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদ সংস্কার কাজ করতে পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, সড়কটি সংস্কারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তিনি তাৎক্ষনিক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে বিষয়টি দেখার নির্দেশনা প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্ভোগে

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ