পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানী ঢাকার মানুষের দুর্ভোগ যেন কমছেই না। সামান্য বৃষ্টি হলেই চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনকে দুই ভাগ করা হলো; অথচ মানুষের সুবিধা বাড়েনি বরং সংকট বেড়েছে। দুই সিটির মেয়র শুধুই বাগড়াম্বার করছেন উন্নয়ন নিয়ে। বাস্তবে নাগরিকের কষ্ট কমছে না।
রাজধানীতে গতকাল সকাল থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও হাঁটু থেকে কোমর পানি জমেছে। লকডাউনে মানুষের যাতায়াত সীমিত করা হয়েছে। গণপরিবহণ, অফিস আদালত বন্ধ। এরপরও যারা বের হয়েছেন তাদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। যারা বের হননি তাদেরও কেউ কেউ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। গতকাল দেখা গেছে বৃষ্টির পানিতে আটকা পড়ে অনেক বাহন বিকল হয়ে পড়েছে। সড়কে মানুষের চলাফেরা কম। তারপরও কোথাও কোথাও দেখা গেছে যানজট। লকডাউনের মধ্যে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন, এমন মানুষের সঙ্গে কথা বললে তারা দুই মেয়রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের বক্তব্য দুই মেয়র শুধু কথামালা সাজিয়ে বসে থাকেন। গণমাধ্যমের সংখ্যা বেশি হওয়ায় তাদের বক্তব্য প্রচার করে। কিন্তু মানুষ তাদের কথা বিশ্বাস করেন না।
দুই সিটি করপোরেশনের দায়িত্বশীলদের দাবি, মেট্রেরেলসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের জন্য বিভিন্ন এলাকায় পানি জমেছে। আর ভারী বর্ষণ হলে তিন ঘণ্টার বেশি সময় পানি জমে থাকে। তারা একে সহনীয় মাত্রা এক ঘণ্টায় নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এ সমস্যা সমাধানে তিন মেয়াদে তিনটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
ধানমন্ডির বাসিন্দা সামছুল ইসলাম বলেন, সকালে ওষুধ কেনার জন্য বের হয়েছি। কিন্তু বৃষ্টিতে রাস্তায় হাঁটু সমন পানি জমেছে। বৃষ্টি চলে যাওয়ার পরও পানি কমছে না।
বঙ্গভবনের দক্ষিণ গেট এলাকার কয়েকজন জানান, বৃষ্টি হলেই এখানে পানি জমে যায়। এর আগে বৃষ্টির পানির সময় গণপরিবহন চালু ছিল এবং দোকানপাট খোলা ছিল। তখন গণপরিবহণ চললে মনে হতো সাগরের ঢেউ খেলছে। পানির ঢেই দোকানো আছড়ে পড়তো। এখন লকডাউন থাকায় গণপরিবহণ বন্ধ তাই কিছুটা রক্ষে।
বৃষ্টিতে ডিএসসিসি’র যেসব এলাকা তলিয়ে গেছে সেগুলো হলো ধানমন্ডি ২৭, গ্রিন রোড, নিউ মার্কেট, পলাশীর এসএম হল, মালিবাগ, শান্তিনগর, রাজারবাগ, চাঁনবাড়ি রোড, খিলগাঁও ফ্লাইওভারের নতুন লুপ, নটরড্যাম কলেজের গেট সংলগ্ন এলাকা, আজিমপুর মোড়, জিগাতলা, মগবাজার ফ্লাইওভারের হলি ফ্যামিলি অংশ, মগবাজার-মৌচাক, কাঠাল বাগান, ফকিরাপুল মোড়, আরামবাগ পাম্প, গুলবাগ, শান্তিবাগ, লালবাগ রোড, কাজী আলাউদ্দিন রোড, আগা সাদেক রোড, আবুল হাসনাত রোড, সিদ্দিক বাজার রোড, আলু বাজার রোড, আগামাছি লেন, নাজিরা বাজার, বঙ্গভবনের দক্ষিণ গেট, বিবির বাগিচা, যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার, জুরাইন কবরস্থান সংলগ্ন এলাকা, নিউ মার্কেট-ঢাকা কলেজের সামনে, গুলিস্তান সিনেমা হলের সামনে, লালবাগের নারকেল বাড়ি এলাকা, সোবহানবাগ কলোনির ভেতর, মুদগা হাসপাতালের সামনে, নটরড্যাম কলেজের ওপর পাশ, গেন্ডারিয়ার ঢালকা নগর, সুতি খালপাড় রোড ও রোজগার্ডেন এলাকা।
সব এলাকার নগরাসীকে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেনেজ নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ডিএসসিসি। এছাড়া নতুন করে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে বলে ডিএসসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বৃষ্টিতে ডিএনসিসির অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা, গুলশান, বনানী, বারিধারা, পূর্ব রামপুরা, হাজীপাড়া, মৌচাক, মালিবাগ, মগবাজার, প্রগতি সরণির কুড়িল বিশ্বরোড থেকে বাড্ডা, কাওরান বাজার, বেগুনবাড়ি, পান্থ পথের বিভিন্ন এলাকা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, মিরপুর, মালিবাগের গুলবাগ, মগবাজারের নয়াটোলা সড়ক, ফার্মগেটের পূর্ব ও পশ্চিম রাজাবাজার, খিলক্ষেত নিকুঞ্জ ও নিকুঞ্জ-২ এর জামতলা এলাকা, উত্তরার বিভিন্ন সেক্টর, মিরপুরের শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কালশী ও মধুবাগ এলাকার রাস্তা পানি জমতে দেখা গেছে।
জানতে চাইলে ডিএসসিসির পরিবেশ, জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পুর) মো. খায়রুল বাকের বলেন, আমাদের এলাকায় ৫৩টির মতো স্থান চিহ্নিত করেছি। এর মধ্যে বেশ কিছু এলাকায় পানিবদ্ধতা কমানো হয়েছে। বাকিগুলোতে কাজ চলছে। এ জন্য নাগরিকদেরও সচেতন হতে হবে। তিনি আরো বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনে আমরা তিন ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রথম স্বল্পমেয়াদি, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে এলাকাভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করে জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে সফলতাও দেখা যাচ্ছে। আর মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।