Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

২৪ দিনেও চালু হয়নি ফেরি, দুর্ভোগে যাত্রীরা

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুট

লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৮ এএম

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে দীর্ঘ ২৪ দিন ধরে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। পদ্মা নদীর প্রবল স্রোতে দুর্ঘটনা এড়ানোর কথা বলে গত ১৮ আগস্ট অনির্দিষ্ট কালের জন্য ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ। এর আগে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-রুটে পদ্মা পাড়ি দিতে গিয়ে চারবার পদ্মা সেতুতে ফেরির ধাক্কার ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা এড়াতে ঘাট স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে যায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। ঘাট স্থানান্তর না হওয়া পর্যন্ত বাংলাবাজার-শিমুলিয়া রুটে ফেরি না চালানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে পদ্মা সেতু এড়িয়ে ফেরি চলাচল করতে বাংলাবাজার ঘাটের বিকল্প হিসেবে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি মঙ্গলমাঝি ঘাট স্থাপন করা হয়। মাঝিরকান্দি ঘাটটি গেল ২৬ আগস্ট চলাচল উপযোগী হলেও ফেরি চলাচল শুরু হয়নি। কর্তৃপক্ষের দাবি, তীব্র স্রোত আর নাব্য সঙ্কটের কারণে ঘাটটি চালু করা যাচ্ছে না।

সৌদি থেকে আসা শরীয়তপুরগামী যাত্রী আমজাদ হোসেন বলেন, প্রাইভেটকার করে মাওয়ার শিমুলিয়া ঘাটে আসে তখন সন্ধ্যা ৬.৪৫ মিনিট। ঘাটে এসে দেখেন ফেরি লঞ্চ কিছুই চলছে না। এখন এই মালামাল সহ কোথায় থাকবে কি করবে এ নিয়ে তিনি চিন্তিত। বাগেরহাটগামী রেফাজুল বলেন, এই রুটে আমাদের চলাচল সহজ। ঢাকা থেকে শিমুলিয়া আসাও যায় খুব দ্রুত। কিন্তু ফেরি বন্ধ থাকায় নানা সমস্যা এখন। লঞ্চে নদী পার হয়ে আবার গাড়িতে উঠবো। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. শাফায়াত জানান, গত মাসের ১৮ তারিখ থেকে এ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পদ্মায় এখন প্রবল স্রোত। সে সাথে মাঝির ঘাটে একটি ফেরির পন্টুন নির্মাণ করা হয়েছে। তবে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাচল সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য ড্রেজিং চলছে। আশা করছি দ্রুত ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা যাবে।

বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক (বাণিজ্য) এসএম আশিকুজ্জামান জানান, শিমুলিয়া থেকে মাঝিরকান্দি প্রস্তাবিত যে রুট সেই রুটে পরীক্ষামূলক ফেরি চলাচল শুরু করার জন্য আমরা এসেছিলাম। ফেরি নিয়েই এই পথ ভিজিট করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে চ্যানেলে ফেরি চলাচলের মতো নয়। মূলত পদ্মার চর ভেঙ্গে নদীতে পড়া এবং পলি জমে নাব্য সঙ্কট তৈরি হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে আরো ৩-৪ দিনেও ফেরি চলাচল শুরু করা যাবে না। প্রতিদিন এ নৌপথে পানির গভীরতা পরিমাপ করা হচ্ছে। চ্যানেলে ফেরি চলাচলের উপযোগী হলেই ফেরি চালু হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুর্ভোগে যাত্রীরা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ