পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
পরাজিত হওয়ার পরও ইরাক ও সিরিয়ায় এখন ২০ থেকে ৩০ হাজার আইএস জিহাদি রয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির নতুন প্রতিবেদন জানানো হয়েছে, জিহাদি গোষ্ঠীটিতে বিদেশি নাগরিকদের যোগ দেওয়ার হারও অনেক কমে গেছে। কমে গেছে অর্থের যোগানও। আর মধ্যপ্রাচ্যে সুবিধা করতে না পেরে গোষ্ঠীটির সদস্যরা এখন আফগানিস্তানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তাই সেখানে সদস্য বাড়ার পাশাপাশি অবস্থানও শক্তিশালী করছে গোষ্ঠীটি। জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা পর্যবেক্ষক দল প্রতি ছয় মাস পর পর নিরাপত্তা পরিষদে আইএস ও আল-কায়েদা সম্পর্কে স্বাধীন প্রতিবেদন জমা দেয়। আইএস’র প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ইরাক, সিরিয়া ও আশেপাশের এলাকায় কথিত খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা। সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, লিবিয়ায় এখন ৩ থেকে ৪ হাজার আইএস জঙ্গি রয়েছে। তবে তাদের প্রধান নেতারা এখন স্থান পরিবর্তন করে আফগানিস্তানে অবস্থান নিয়েছে। সংগঠনটির সদস্যরা পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছে, ইরাক ও সিরিয়ায় এখনও তাদের ২০ থেকে ৩০ হাজার সদস্য রয়েছে। আর তারা দেশ দুটিতে প্রায় সমান সংখ্যায় রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব সদস্যদের মধ্যে এখনও কয়েক হাজার বিদেশি সদস্য রয়েছে। ২০১৪ সালের শুরুতে আইএস সিরিয়ার রাক্কা শহর দখল করে নিয়ে একে রাজধানী ঘোষণা করে। একই বছরের জুন মাসে গোষ্ঠীটি ইরাকের মসুল শহর দখল করার পর এর নেতা আবু বকর আল বাগদাদি খেলাফতের ঘোষণা দেয়। এক বছরের মধ্যে আইএস সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ শহর ও ইরাকের প্রায় এক তৃতীয়াংশ দখল করে নেয়। ওই বছরই আইএস’কে ঠেকাতে ও চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে ৭৭টি দেশ মিলে আন্তর্জাতিক জোট গঠন করে। ২০১৭ সালের মধ্যে সংগঠনটি সামরিক পরাজয় বরণ করে ও এর রাজধানীসহ সব বড় শহর থেকে বিতাড়িত হয়। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে সিরিয়ার একটি ছোট এলাকার মধ্যে আটকে পড়ে আইএস। তবে নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে সংগঠনটি এখনও অনেক বেশি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। সিরিয়ায় আইএস এখনও বড় ধরনের হামলা করতে সক্ষম। গোষ্ঠীটি ইরাকের কোনও অঞ্চেলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারলেও সিøপার সেলের মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে। তাদের লোকজন মরুভূমিসহ অন্যান্য এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বিদেশিদের আইএস ত্যাগের হার অনুমানের চেয়ে এখনও অনেক কম। তবে সংগঠনটিতে নতুন করে বিদেশি জঙ্গিদের যোগ দেওয়ার প্রবণতা তেমন দেখা যাচ্ছে না। যারা আছে, তাদের বেশিরভাগই এখন আফগানিস্তানের দিকে যাচ্ছে। দেশটিতে এখন সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার আইএস সদস্য রয়েছে। তবে দিন দিন এই সংখ্যা বাড়ছে। আইএসের অর্থায়নও কমে গেছে বলে প্রতিবেদন বলা হয়েছে। একজন আইএস সদস্য পর্যবেক্ষকদের জানিয়েছে, আইএসের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও কম। তবে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের তেল খনি থেকে আসা কিছু রাজস্ব এখনও তাদের তহবিল বাড়াচ্ছে। রয়টার্স, এএফপি, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।