Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

২০১৯ বিশ্বকাপে চোখ আশরাফুলের

এই মুহূর্তে দলেই জায়গা দেখছেন না প্রধান নির্বাচক

স্পোর্টস রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১২:০০ এএম

আজ শেষ হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মোহাম্মদ আশরাফুলের পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা। ব্যক্তিগত কাজে এই মুহূর্তে লন্ডনে আছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক সময়ের সুপারস্টার। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল ফেসবুকে। সেখান থেকেই জানালেন নিজের অবস্থান, ভবিষ্যত ভাবনার কথা। বললেন, ‘এই দিনটার জন্য দীর্ঘদিন (সাড়ে ৫ বছর) ধরে অপেক্ষা করেছি। পুরোপুরি মুক্ত হয়ে পুরোপুরি খেলায় ফিরতে পারব কবে। অবশেষে এসেছে সেই দিন। অবশ্যই অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে।’
গত দুই বছর ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ও লিস্ট ‘এ’ খেলছেন। নিষেধাজ্ঞা ছিল জাতীয় দল ও বিপিএলে। দুটিই পুরোপুরি কেটে যাচ্ছে। এই মুহূর্তে লন্ডনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু ম্যাচ খেলছেন আশরাফুল। সুযোগ পেলে দলে ফেরার প্রস্তুতি হিসেবে কাজ করছেন ফিটনেস নিয়ে। নিজের ভবিষ্যত পরিকল্পনা এরই মধ্যে ঠিক করে ফেলেছেন তিনি। জানালেন, ‘আগামী বিশ্বকাপে হবে এখানে (ইংল্যান্ড এবং ওয়েলশ)। জাতীয় দলে খেলা নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা উঠে যাচ্ছে। প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমার লক্ষ্য ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলা।’
একদিকে যেখানে জাতীয় দলের জার্সি আবারও গায়ে জরানোর স্বপ্নে বিভোর আশরাফুল, ঠিক তার উল্টো ভাবনায় বিসিবি। স্পষ্ট ফিক্সিংয়ে নিষেধাজ্ঞা উঠলেও এই ব্যাটসম্যান অলরাউন্ডারের জন্য বড় কোন সুখবর নেই। জাতীয় দলের দরজা আপাতত বন্ধই থাকছে তার জন্য। বিশেষ করে এই মুহূর্তে আশরাফুলের জন্য জাতীয় দলে কোন জায়গা দেখতে পাচ্ছেন না প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
বিপিএলে স্পষ্ট ফিক্সিংয়ে ধরা পড়ে ২০১৩ সালে নিষিদ্ধ হন সাবেক এই অধিনায়ক। দুইবছর আগে ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার ছাড়পত্র পেতে ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট পর্যন্ত অপেক্ষা ছিল আশরাফুলের। তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার একদিন আগে প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন আশরাফুলকে নিয়ে তাদের ভাবনা, ‘সে অনেক ধরেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নেই। সুতরাং ঘরোয়া ক্রিকেটে সব ফরম্যাটে তাকে খেলতে হবে। ওর ফিটনেস আন্তর্জাতিক পর্যায়ের জন্য ঠিক আছে কিনা, সেটা দেখতে হবে। সাসপেসশন যাওয়ার পর সব ফরম্যাটে খেলুক, তারপর এক বছর যাওয়ার পর বুঝতে পারব তার ফিটনেস কোন লেভেলে আছে।’
ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে দলে অদল বদলের সম্ভাবনা কম। টেস্টে মিডল অর্ডার চিন্তার কারণ হলেও আপাতত সেখানেও তাকে বিবেচনা করছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মিনহাজুল, ‘তাকে কোন ফরম্যাটের জন্য আমরা চিন্তা করব সেটা আমাদের দেখতে হবে। আমরা এখন তেমন কোন চিন্তা করছি না। তারপরও সামনে ঘরোয়া মৌসুমটা আমরা দেখব, তারপর চিন্তা করব।’
গেল মৌসুমে পাঁচ সেঞ্চুরিসহ ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন আশরাফুল। রান করে আলোচনায় আসলেও মন্থর ব্যাট করায় সমালোচনাতেও পড়েন তিনি।
বয়সটা হয়ে গেছে ৩৪। জাতীয় দলে ফেরার লড়াইয়ে ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ানের হাতে সময়টাও সীমিত। যদিও বয়সের কোন বাধা দেখছেন না প্রধান নির্বাচক, ‘বয়স কোন বিষয় না। আপনার যদি ফিটনেস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মানের হয় তাহলে যে কোন প্লেয়ারই আসতে পারে। যেহেতু অনেক বয়স হয়ে গেছে আর বয়সের ব্যাপার আছে। তারপরও আমি বলব সে আমাদের দেশের জন্য অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছে। তার তো অবশ্যই সামর্থ্য আছে। এই মুহূর্তে যদি বলতে হয় তাহলে বলব, এই মুহূর্তে দলে কোন জায়গা নেই। ফিটনেসটা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের পর্যায়ে আনতে হবে। আর পারফর্মেন্সটা অন্যদের তুলনায় অনেক ভালো হতে হবে। কারণ সে যেই জায়গায় ব্যাট করে সেই জায়গায় অনেক ক্রিকেটার স্থায়ী হয়ে গেছে।’



 

Show all comments
  • কমল ১৩ আগস্ট, ২০১৮, ১:৩২ পিএম says : 0
    এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেনসৌম্য সরকার,লিটন দাস,এনামুল কে তো অনেক সুযোগ দেওয়া হয়েছে।তেমনি আশরাফুলকে ও সুযোগ দেওয়া উচিত।সৌম্য সরকারকে আর সুযোগ না দেওয়াই ভাল।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ