নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন এশিয়ান গেমসকে সামনে রেখে গতকাল পর্যন্ত দৈনিক ইনকিলাবে ছয়টি ক্রীড়া ডিসিপ্লিনের লক্ষ্য ও সম্ভাবনা নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন ছাপা হলেও একমাত্র ব্রিজ ছাড়া বাকি পাঁচটিই কোন পদকের স্বপ্ন দেখাতে পারেননি। কিন্তু আজকের সপ্তম প্রতিবেদনে ফের পদক জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন দেশসেরা নারী কুস্তিগীর শিরিন সুলতানা। তবে তা ব্রোঞ্জ।
আগামী ১৮ আগষ্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ও পালেমবাং শহরে বসছে এশিয়ান গেমসের ১৮তম আসর। অলিম্পিকের পর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই ক্রীড়া আসরে বাংলাদেশ অংশ নেবে ১৪টি ডিসিপ্লিনে। যার একটি হচ্ছে কুস্তি। এশিয়াডে ১৯৮৬ সালের পর ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাংলাদেশের কোন পদক নেই। ওই বছর সিউল এশিয়ান গেমসে প্রথম ও শেষবার
ব্যক্তিগত ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক জিতেছিলেন বক্সার মোশারফ হোসেন। এরপর এশিয়াডে লাল-সবুজের ক্রিকেট এবং কাবাডি দলগত ইভেন্টে পদক জিতেছে। এই গেমসের দলগত ইভেন্টে বাংলাদেশের ১১টি পদকের মধ্যে একটি স্বর্ণ ও পাঁচ ব্রোঞ্জ আসে ক্রিকেট থেকে। বাকি পাঁচটি ব্রোঞ্জপদক জিতে কাবাডি দল। এশিয়ান গেমসের মতো বড় আসরে ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাংলাদেশের জন্য স্বর্ণপদক জেতা খুবই কঠিন হলেও এই ধারা ভাঙ্গতে চান নারী কুস্তিগীর শিরিন সুলতানা। তিনি ইন্দোনেশিয়া থেকে স্বর্ণ জিততে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে রুপা এবং আজারবাইজানের বাকুতে ইসলামিক সলিডারিটি গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী এই কুস্তিগীর এবার দেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। যদিও সর্বশেষ গোল্ডকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে আশা জাগিয়েও চতুর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছিল তাকে।
জাকার্তা-পালেমবাং এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের তিনজন কুস্তিগীর অংশ নেবেন। এদের মধ্যে একমাত্র মহিলা কুস্তিগীর শিরিন সুলতানা। অন্য দু’জন হলেন- শরৎ চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ আলী আমজাদ। কোচ হাজী মো: আশরাফ আলীর অধীনে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এই তিন কুস্তিগীর। এশিয়াডে শিরিন খেলবেন ৬৮ কেজি ওজন শ্রেণীর ফ্রিস্টাইলে। এই ইভেন্টেই তিনি গোলকোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে চতুর্থ হয়েছিলেন। ব্রোঞ্জের লড়াইয়ে শিরিন হেরেছিলেন ভারতের দিব্যা কাকরানের কাছে। কমনওয়েলথ গেমেসের চেয়ে বড় আসর এশিয়ান গেমসে আরো ভালো করতে চান ময়মনসিংহের এই কুস্তিকন্যা। শিরিন বলেন, ‘মাত্র দেড় মাসের প্রস্তুতি নিয়ে যাচ্ছি ইন্দোনেশিয়ায়। তারপরও আমি নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করবো।’ তিনি আরো বলেন, ‘কমনওয়েলথ গেমসে আশা জাগিয়েও পারিনি। এবার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো। তবে কিরগিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তান, শ্রীলংকা, কোরিয়া, জাপান, ইরান, পাকিস্তান ও ভারতের কুস্তিগীরদের সঙ্গে পাল্লা দেয়া বেশ কঠিন হবে।’ শিরিন যোগ করেন, ‘কমনওয়েলথ গেমসে আটজন প্রতিযোগি থাকার কারণে একটি ব্রোঞ্জপদক ছিল। এখানে অবশ্য প্রতিযোগির সংখ্যা বেশি। তাই দু’টি ব্রোঞ্জের খেলা হবে। পদক জিতবো এখনই বলছি না। তবে নিজের সেরাটা দিয়েই চেষ্টা করবো ব্রোঞ্জ জিততে। এই গেমসে ব্রোঞ্জপদক জয়ই অনেক বড় ব্যাপার আমাদের জন্য।’
এবারের এশিয়াডে বাংলাদেশের দুই পুরুষ কুস্তিগীর মোহাম্মদ আলী আমজাদ ৭৪ কেজি ফ্রিস্টাইল এবং শরৎ চন্দ্র রায় খেলবেন ৮৬ কেজি ফ্রি স্টাইলে। এবারই প্রথম আন্তর্জাতিক কোন গেমসে খেলতে যাচ্ছেন শরৎ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘মাত্র দেড় মাস অনুশীলন করেছি আমরা। আগে আফগানিস্তানের কোচ হাফিজুল্লাহ ছিলেন। কিন্তু এবার স্থানীয় কোচ আলী আশরাফ স্যার প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। আশাকরি নতুন হলেও ইন্দোনেশিয়ায় খুব একটা খারাপ করবো না। নিজের সেরাটা নিয়েই ফিরতে চাই এশিয়াড থেকে।’ বাংলাদেশের এই তিন কুস্তিগীর ১৯ থেকে ২১ আগষ্ট পর্যন্ত লড়বেন এবারের এশিয়ান গেমসে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।