বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সমাবেশে অংশ নিয়ে আইনজীবী বক্তারা বলেছেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সরকার পতনের আন্দোলনে নামে নাই। শ্রমিকদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে নাই। তারা একটি সুস্থ, সুন্দর আইনের জন্য আন্দোলন করছে। তারা বলেন, আমরাও সড়কের নিরাপত্তা চাই। রাস্তায় এভাবে মরতে চাই না। এটাতো সাধারণ মানুষের দাবি। শিক্ষার্থীদের উপর চাপাতি রামদাসহ হাতুরি পর্যন্ত ব্যবহার করেছে ছাত্রলীগ। শুধু তাই না। যারা আহত হয়েছে তাদেরকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা না দিয়ে বের করে দিয়েছে। এ ধরনের ন্যক্কার জনক ঘটনা পাকিস্তান আমলেও হয়নি। সরকার যদি মনে করে এদেশের ছাত্রদের বিরুদ্ধে, জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। এই যুদ্ধে সরকার কোন দিনও টিকে থাকতে পারবে না।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে সামবেশে আইনজীবীরা অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও দায়ীদের যথাযথ বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (বøাষ্ট) ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতি এ সমাবেশের আয়োজন করেন।
গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যাচ্ছে। হাজার হাজার মানুষ পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবার তাদের উপার্জনক্ষম ব্যক্তিকের হারিয়ে নিস্ব হয়ে গেছে। এ বিষয়গুলো আমরা জাতির সামনে তুলে ধরতে পারিনি। শিক্ষার্থীরা সেটি তুলে ধরেছে। চোখে আঙ্গুল দিয়ে তারা আমাদের দেখিয়ে দিয়েছে। সরকারের উচিত ছিল তাদের দাবি মেনে নিয়ে পরিবহন খাতের নৈরাজ্য থেকে দেশকে রক্ষা করা। শাজাহান খানের মত একজন লোকের যদি মন্ত্রীত্ব চলেও যায় তাতে সরকারের কি আসে যায়। রাঙ্গাকে ও শাজাহানকে মন্ত্রীসভায় রেখে জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে এমনটি আমরা সরকারের কাছ থেকে আশা করিনি।
তিনি বলেন, সরকার যদি মনে করে এদেশের ছাত্রদের বিরুদ্ধে, জনগনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করবে। তাহলে আমি বলতে চাই এই যুদ্ধে সরকার কোন দিনও টিকে থাকতে পারবে না। পদত্যাগ করা ছাড়া এদেশের মানুষ বিকল্প কিছু চিন্তা করবে না। ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, আন্তর্জাতিক আইনে যেভাবে বলা আছে, শিক্ষার্থীদেরকে কোনোভাবেই শাস্তি দেয়া যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা আছে, করপোরেল পানিস্টম্যান্ট দেয়া যাবে না। শিক্ষার্থীদেরকে মারা যাবে না। সেখানে রাষ্ট্রযন্ত্রের অংশ হিসেবে পুলিশ কিভাবে শিশুদের উপর হাত তোলে, লাঠিপেটা করে এর জবাব তাদের কাছ থেকে চাই।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র আজ কোন দেউলিয়াপনার মধ্যে গিয়ে ঠেকেছে। তাদের আজকে কোন দুরাস্থার মধ্যে, কোন ভয়ার্ত অবস্থার মধ্যে পরেছে, কেন তারা শিশুদেরকে ভয় পেল। বাংলাদেশের সংবিধানে কি কোথাও লেখা আছে? পাঁচ বছরের শিশু এই বাংলাদেশের নাগরিক নয়। একজন শিশু রাস্তায় নেমে কেন তার অধিকারের কথা বলতে পারবে না। তিনি বলেন, এই রাষ্ট্রটা কেবল ছাত্রলীগের নয়। এই রাষ্ট্রমাত্র আওয়ামী লীগের নয়। এই রাষ্ট্র ১৬ কোটি মানুষের। তাদের যে অধিকার আছে, গত সাতদিনের দেখিয়ে দিয়েছে। সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন-ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন, আইনুন নাহার সিদ্দিকা, হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।