নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
এই প্রথম কোনো ক্রিকেটার কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক যদিও এখনো শপথ নেননি। তবে ইমরান খানের প্রধানমন্ত্রী হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
যতদিন খেলেছেন ক্রিকেটের মাঠে ছড়ি ঘুরিয়েছেন ব্যাটে-বলে। ২২ গজী লড়াই ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে নেমেও কী অবিশ্বাস্য সাফল্য ধরা দিল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রতিষ্ঠাতা হয়ে! এবার এগিয়ে যাবার পালা। সেই এগিয়ে যাওয়ার পাথেয় হিসেবে পাশে পাচ্ছেন ক্রিকেটের সতীর্থ, বন্ধু, অনুজ এমনকি শত্রæদেরও! তবে গতকাল যাকে পেলেন তার কথা আলাদা করে বলতেই হয়- ইন্তেখাব আলম। ইমরান খানের নেতৃত্বে ১৯৯২ বিশ্বকাপে যেবার চ্যাম্পিয়ন হল পাকিস্তান, সেই দলটির ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন ইন্তেখাব।
দু’জনের বয়সের ব্যবধান খুব বেশি নয়। ইন্তেখাবের যেখানে ৭৬, ইমরানের চলছে ৬৫। রগচটা, স্টাইলিশ এক টগবগে যুবককে দেখেছিলেন ছন্নছাড়া পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে লাইনে নিয়ে আসতে, দলকে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়াতে। সেই ইমরান যে নেতা হিসেবেও ভালো হবেন সেটা ইন্তেখাবের চাইতে আর কে ভালো জানে! ক্যারিয়ার জুড়েই খুব কাছ থেকে তাকে দেখেছেন, ইন্তেখাব সেই স্মৃতির ভেলায় চড়ে যেন আরেকবার ভেসে বেড়াতে চাইলেন বিশ্ব রাজনীতির মঞ্চও। রোমন্থন করে সাবেক ম্যানেজার বলেন, ‘ইমরান অধিনায়ক হিসেবে যেমন, রাজনীতিবিদ হিসেবেও ঠিক তেমনি। এক কথায় বলতে গেলে দূরদর্শী। আমার হৃদয় নিংড়ানো অভিনন্দন তাকে। ২২ বছরের লড়াই-সংগ্রাম পেরিয়ে সে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছে, এটা সে অর্জন করেছে।’
পাকিস্তানের প্রতি তার অফুরন্ত ভালোবাসার প্রমাণ স্বরুপ এর পর যে দলিলটি দিলেন ইন্তেখাব, তা হয়তো এর আগে কখনও শোনা যায়নি। ৯২ বিশ্বকাপের সময় পুরোপুরি ফিট ছিলেন না ইমরান, ‘গোটা ১৯৯২ বিশ্বকাপজুড়েই কাঁধের ইনজুরির কারণে ৭০ শতাংশও সুস্থ ছিলেন না ইমরান। অনেকেই এটা জানতো না। তবুও সে খেলে গেছে তার জীবনী শক্তির কারণে, দেশের প্রতি অনুগত্য ও ভালোবাসার কারণে।’
এমন একজন তারকা ক্রিকেটারের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ওঠায় কিছুটা রোমাঞ্চিত ইন্তেখাবের ক্রিকেটীয় মনও। তার ভাবনায় এখন থেকেই খেলা করছে পাক-ভারত ক্রিকেটীয় সম্পর্কের দিকে। তার বিশ্বাস ইমরানের হাত ধওে দু’দেশের রাজনৈতিক বৈরিতা কিছুটা হলেও কমে আসতে পারে ক্রিকেটের কল্যাণে, ‘ক্রিকেটার হিসেবে ইমরান যতটা বিচক্ষণ ছিলেন ঠিক ততটাই দক্ষ যে ব্যবস্থাপনায়। তার ভাবনায় অনেক নতুন পরিকল্পনা আছে ক্রিকেটের মানোন্নয়নের। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেটে। তবে ইমরান প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় এবার পাকিস্তান-ভারত ক্রিকেটের সেই রোমাঞ্চ আবারও ফিরে আসবে বলে আমি মনে করি। ভারতের অনেক কিংবদন্তিদের সঙ্গে ইমরানের সম্পর্ক অনেক ভালো।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।