নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গায়ানায় ৩ রানের হারের ক্ষত ভুলতে সিরিজ জিততেই হত বাংলাদেশকে। সেটাই করেছে মাশরাফির দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে স্বাগতিকদের ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। শনিবার সেন্ট কিটসে অনুষ্ঠেয় শেষ ওয়ানডেতে ক্যারিবীয়দের ১৮ রানে হারায় টাইগার বাহিনী।
বাংলাদেশের দেওয়া রেকর্ড ৩০১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় উইন্ডিজ আটকে যায় ২৮৩ রানে। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম দেশের বাইরে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি বাংলাদেশের তৃতীয় সিরিজ জয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে দ্বিতীয়।
তামিম ইকবালের ক্যারিয়ারের একাদশ ও সিরিজের দ্বিতীয় শতকের পর মাহমুদউল্লাহর ঝড়ো ফিফটিতে ৩০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। পরে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যায়।
ওয়ার্নার পার্কে জয়ের জন্য শেষ ১৮ বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে করতে হত ৪০ রান। ৩১ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকা আর. পাওয়েল তখন ক্রিজে ঝড় তুলছেন । প্রথম বলেই দলপতি হোল্ডারকে রুবেলের ক্যাচে পরিণত করেন মুস্তাফিজ, দেন ৭ রান। আগের দিন নিজের শেষ ওভারে ২২ রান দেয়া রুবেল পরের ওভারে দিলেন মাত্র ৬টি সিঙ্গেল। শেষ ওভারে ২৮ রানের কঠিন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে প্রথম বলেই মুস্তাফিজকে ছক্কা হাঁকালেন পাওয়েল। কিন্তু ঐ পর্যন্তই। বাকি ৫ বলে কাটার মাস্টার দিলেন মাত্র তিন। প্রত্যাশিত জয় পায় বাংলাদেশ। গায়ানায় দ্বিতীয় ম্যাচে চাপে ভেঙে না পড়লে প্রতিপক্ষকে হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেত মাশরাফি বাহিনী।
ক্রিস গেইলের ৬৬ বলে ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস ক্যারিবীয়দের জয়ের পথেই রেখেছিল। কিন্তু ভুগিয়েছে শাই হোপের মন্থর ফিফটি (৯৪ বলে ৬৪)। ইভির লুইসের (৩৩ এল ১৩) মন্থর শুরুও কম দায়ি নয়। আশা জাড়িয়েও বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক হেটমেয়ার (৪২ বলে ৩০)। আসলে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংই তাদের কাজটা কঠিন করে তোলে। শেষ পর্যন্ত তাই পরাজয়ের মাল্যই পরতে হয় স্বাগতিকদের। বিদেশের মাটিতে দুর্দান্ত হয় পায় বাংলাদেশ।
টানা তৃতীয় ম্যাচে টস ভাগ্যে হেসে ব্যাটিং বেছে নিতে একদম ভুল করেননি টাইগার দলপতি মাশরাফি বি মুর্তজা। কিন্তু ব্যাটিং উইকেটে আশানুরুপ ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি এনামুল (৩১ বলে ১০)। তবে দ্বিতীয় উইকেটে সাকিবের (৪৪ বলে ৩৭) সঙ্গে তামিমের ৮১ রানের জুটি পথে রাখে বাংলাদেশকে। মুশফিক (১৪ বলে ১২) ভালো শুরু করেও ক্রিজে থাকতে পারেননি। দলীয় ২০০ রানে তামিম আউট হন ১২৪ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ১০৩ রান করে। এরপর মাহমুদউল্লাহর ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৭ ও মাশরাফির ২৫ বলে ৩৬ রানের ঝড়ো ইনিংস বাংলাদেশকে বড় সংগ্রহ এনে দেয়। দুটি করে উইকেট নেন হোল্ডার ও নার্স।
ম্যাচসেরার পাশাপাশি তিন ম্যাচে ১৪৩ দশমিক ৫০ গড়ে ২৮৭ রান করে সিরিজ সেরা তামিম।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩০১/৬ (তামিম ১০৩, এনামুল ১০, সাকিব ৩৭, মুশফিক ১২, মাহমুদউল্লাহ ৬৭*, মাশরাফি ৩৬, সাব্বির ১২, মোসাদ্দেক ১১*; কটরেল ১/৫৯, হোল্ডার ২/৫৫, বিশু ১/৪২, পল ০/৭৭, নার্স ২/৫৩, গেইল ০/১৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৮৩/৬ (গেইল ৭৩, লুইস ১৩, হোপ ৬৪, হেটমায়ার ৩০, কাইরান পাওয়েল ৪, রোভম্যান পাওয়েল ৭৪*, হোল্ডার ৯, নার্স ৫*; মাশরাফি ২/৬৩, মিরাজ ১/৪৫, মুস্তাফিজ ১/৬৩, মোসাদ্দেক ০/১০, মাহমুদউল্লাহ ০/২০, রুবেল ১/৩৪, সাকিব ০/৪৫)।
ফল : বাংলাদেশ ১৮ রানে জয়ী
সিরিজ : ৩ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ : তামিম ইকবাল
ম্যান অব দা সিরিজ : তামিম ইকবাল
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।