পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। দক্ষিণাঞ্চলে অভিভাবক থেকে শিক্ষার্থীসহ সবার মনে একটাই প্রশ্ন কেন ফলাফল বিপর্যয়। এমন ফলাফল দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থার বাস্তব অবস্থাকে প্রকাশ্যে নিয়ে এসেছে। গত ৬ মে এবং ১৯ জুন প্রকাশিত দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল দক্ষিণাঞ্চলের জন্য সন্তোষজনক ছিল না।
খারাপ ফলাফলের জন্য ইংরেজীসহ কয়েকটি বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মনযোগ না থাকা এবং উদাসীনতাই অন্যতম কারন বলেও মনে করছেন অধিকাংশ শিক্ষাবিদ। গত ৯ বছরের মধ্যে এবারের মাধ্যমিকের ফলাফল ছিল সবচেয়ে খারাপ। গত ৫ বছর ধরেই ফলাফল নিচের দিকে নামা অব্যাহত ছিল। উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল গত বছরের তুলনায় দশমিক ৩১ ভাগ বাড়লেও ছেলেরা খারাপ ফলাফলের ধারা থেকে বের হতে পারেনি।
কোচিং নির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে ক্লাসে লেখাপড়ার প্রতি মনযোগ না থাকা ফলাফল খারাপের দিকে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষাবিদ জানান, অধিকাংশ শিক্ষার্থীর জীবনধারায় মোবাইল সংস্কৃতি, ইন্টারনেট ও ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশি সময় কাটায়। এতে করে লেখাপড়ায় অবনতি ঘটছে। গত কয়েক বছরের বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল হতাশার মধ্যেই আটকে রয়েছে। এবারের উচ্চমাধ্যমিকে পাশের হার দশমিক ৩১ ভাগ বেড়ে ৭০.৫৫ ভাগ হলেও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা গত বছরের ৮১৫ থেকে নেমে এবার ৬৭০ হয়েছে। এবারো বরিশাল ও পটুয়াখালীর দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাশ করেনি।
অপরদিকে এবারের মাধ্যমিকে বরিশাল বোর্ডে পাশের হার ৭৭.১১% হলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৩.৩৬% ছাত্র-ছাত্রী। গত বছর পাশের হার ছিল ৭৭.২৪ ভাগ। ২০১৬ সালে পাশের হার ছিল ৭৯.৪১%, জিপিএ-৫ সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ১১৩। এবারো বরিশাল বোর্ডে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোন ছাত্র-ছাত্রীই মাধ্যমিকে পাশ করেনি। অপরদিকে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে শতভাগ পাশ করেছে ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৮৭টি।
বিভাগের ৬ জেলার মধ্যে এবারের উচ্চ মাধ্যমিকে বরিশাল জেলার অবস্থান প্রথম হলেও মাধ্যমিকে ছিল চতুর্থ। দ্বিতীয় ঝালকাঠী, তৃতীয় ভোলা, চতুর্থ পিরোজপুর, পঞ্চম বরগুনা এবং সর্বশেষ জেলা হচ্ছে পটুয়াখালী। গত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণাঞ্চলে পড়াশোনা করেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো করেছে। শিক্ষাবিদরা বলছেন, মেয়েদের এগিয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ও নারী সমাজের জন্য আশাবঞ্জক।
বরিশালে ফলাফল বিপর্যয়কে কতিপয় শিক্ষক বিভিন্ন অজুহাত হিসাবে দেখছেন। অপরদিকে একাধিক দায়িত্বশীল মহল নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি অমনোযোগীতা ও ক্লাসে লেখাপড়ার স্বল্পতাকেও দায়ি করছেন। পাশাপাশি তারা অতিমাত্রায় কোচিং নির্ভরতাকেও দায়ি করেছেন। তবে এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।