বগুড়ার নন্দীগ্রামে ঘরে ঢুকে কিরণী বালা (৪২) নামে এক শ্রমজীবী নারীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার ভোরে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ওই হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার স্বামী সুরেশ প্রামাণিককে থানায় আনা হয়েছে।
পুলিশের ধারণা, দাম্পত্য কলহে স্বামীই তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।
এলাকাবাসীর ভাষ্য, নন্দীগ্রাম উপজেলার কালিকাপুর গ্রামের সুরেশ প্রামাণিকের তিন স্ত্রী ও চার সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রী কিরণী বালার এক সন্তান। তিনি ইটভাঙার কাজ করেন।
বৃহস্পতিবার রাতের খাবার খেয়ে স্বামী-স্ত্রী নিজেদের ঘরে শুয়ে পড়েন। প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় ঘরের দরজা খুলে রাখেন।
রাত সোয়া ২টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কিরণী বালার শরীরে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এ সময় স্বামী সুরেশ প্রামাণিকের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তারা রক্তাক্ত কিরণী বালাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
বগুড়ার ছিলিমপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আজিজ মণ্ডল যুগান্তরকে জানান, আজ ভোর ৪টার পর ওই নারী মারা যান।
নন্দীগ্রাম থানার ওসি নাসির উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, দরিদ্র শ্রমজীবী ওই নারীর শত্রু থাকার কথা নয়।
তার ধারণা, দাম্পত্য কলহের জের ধরে স্বামী সুরেশ তাকে ছুরিকাঘাত করেছিল।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুরেশকে থানায় আনা হয়েছে। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।