Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হজের আগে ও পরে ফিজিওথেরাপি

| প্রকাশের সময় : ২০ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৩ এএম


ক। হজ্জ্বের প্রস্তুতি হিসাবে ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা:
পবিত্র হজ্বব্রত পালনের উদ্দেশ্যে লাখ লাখ মুসলমান পবিত্র মক্কা শরীফে সমবেত হয়। এই হজ্জ্বব্রত পালনের জন্য প্রত্যেকটি মানুষের চায় সম্পূর্ণ শারিরিরিক সুস্থতা বা ফিজিক্যাল ফিটনেস। সাধারণত আমাদের দেশের পেক্ষাপটে মধ্যবয়সী বা চল্লিশোর্ধ লোকজনই বেশী যেয়ে থাকে যাদের বেশীর ভাগই কোন কোন ডিজেনারেটিভ ডিজিজ বা হাড় বা অস্থির ক্ষয়জনীত রোগে ভূগে থাকেন যেমন - ঘাড়ে ব্যাথা, কোমার ব্যাথা, হাঁটুতে ব্যাথা, কাঁধে ব্যাথা ইত্যাদি যা বেশীর ভাগ ৪০ উর্দ্ধ মানুষের হাড়ের ক্ষয়জনীত কারণে হয়ে থাকে।
যেহেতু পবিত্র হজ্জ্ব একটি শারীরিক ও আর্থিক ইবাদত সেহেতু এখানে হাজ্বী সাহেব বা সাহেবাদের মহান আল্লাহুতালার সন্তুষ্টি লাভের উদ্দ্যেশে অনেক হাঁটা-হাঁটি, পাথর নিক্ষেপ সহ দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে, কিংবা হাঁটা চলা করে হজ্বের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়। অতএব এক্ষেত্রে একজন হজ যাত্রীর শারিরিক সক্ষমতা বিশেষ ভাবে জরুরী। সেক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিসৎকের সরনাপন্ন হয়ে ফিজিক্যাল ফিটনেস আছে কিনা ? বা কোন সমস্যা থাকলে সমাধানের চেষ্টা করা অথবা কি কি ব্যায়াম করলে অথবা কি ধরনের নিয়মকানুন মেনে চললে ভালভাবে পবিত্র হজ্ব ব্রত সঠিক ভাবে ব্যাথামুক্ত পালন করা যায় তার জন প্রত্যেক হজ্ব যাত্রীকে হজ্বের প্রস্তুতি স্বরূপ ফিজিওথেরাপির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
কিছু নিয়মাবলী মেনে চললে ব্যাথা মুক্ত সুস্থ ও স¦াভাবিকভাবে হজ্ব পালন করা সম্ভব সেগুলো হলঃ
দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে কিংবা বসে না থাকা অর্থাৎ ৩০ মি. মিনিট দাড়িয়ে আছেন একটু বিশ্রাম নিয়ে নিবেন অথবা ৩০ মি. বসে আছেন এরপর ৫ মিনিট হাটা হাটি করে এরপর বসবেন।
যেহেতু হজ্বে যাওয়ার সময় প্রত্যেক হজ্ব যাত্রীর সাথে ভারী লাগেজ থাকে এগুিেল খুব সাবধাণতার সহিত, উঠানামা করা বিশেষ করে লাগেজ উঠাতে গেলে অনেক ক্ষেত্রে ঘাড়ে বা কোমরে ব্যাথা পেতে পারে যার অন্যতম কারণ ডিক্স প্রলেপস অর্থাৎ সামনের দিকে ঝুকে ভাবী কিছু উঠাবেন না।
যারা আগে থেকেই ঘাড় বা কোমার ব্যাথায় ভুগছেন তারা ঈবৎারপধষ পড়ষষধৎ বা ষঁসনবৎ পড়ৎংবঃ বেল্ট সঙ্গে নিয়ে যেতে ভুলবেন না। এটা দীর্ঘক্ষণ হাঁটা চলার সময় ও ভ্রমনের সময় ব্যাবহার করতে হবে।
যারা হাটুর অন্থিক্ষয় বা অষ্টিওআর্থাইটিস রোগে ভুগছেন তারা সঙ্গে শহবব পধঢ় নিবেন এটি হাটাচলার সময় ব্যবহার করবেন, কিন্তু বিশ্রামের সময় খুলে রাখবেন এবং চিকিৎসকের নির্দেশিত ব্যায়ামগুলি সঠিকভাবে করলে হাটুর ব্যাথা মুক্ত হজ্ব পালন করতে পারবেন ইনশাল্লাহ।
বিশেষ করে যারা অনেক বয়স্ক অর্থাৎ ৬৫ বা ৭০ এর ঊর্ধে বয়স একা চলাফেরা করতে কষ্ট হয় এমন ব্যক্তিরা অবশ্যই ওয়াকিং এইড হিসাবে লাঠী নিতে পারেন যাতে ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যাওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে।
সর্বোপরি মহান আল্লাহু তায়ালার হুকুম পালন করতে যেন অসুবিধা না হয় সে জন্য হজ্বের প্রস্তুতি হিসাবে বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খ। হজ্ব পরবর্তী শারীরিক সুস্থতায় ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা
যেহেতু পবিত্র হজ্ব পালন করতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করতে হয়। সেক্ষেত্রে অনেকেই হজ্ব থেকে আসার পর বিভিন্ন ধরনের ব্যথার সমস্যায় ভুগে থাকেন। তার মধ্যে হাঁটু ব্যাথা, কোমর ব্যাথা, ঘাড় ব্যাথ ও কাঁধে ব্যাথা উল্লেখযোগ্য। এক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
সেক্ষেত্রে হজ্বব্রত পালন শেষে দেশে এসে বিলম্ব না করে একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের শরনাপন্ন হয়ে ব্যথার কারণ নির্ণয় করে সে অনুযায়ী ঔষধ ও ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিন সুস্থ ও স¦াভাবিক জীবন যাপন করূন।

ষ ডা. এম. ইয়াছিন আলী
বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ
০১৭১৭-০৮৪২০২



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হজ

২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন