পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইএমএফের ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়ার পরও ডলার সংকট কাটছে না। সউদী-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১৫ হাজার হজযাত্রী। কিন্তু হজের খরচ বেড়ে যাওয়া, সংশ্লিষ্টদের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং ডলার সংকটে হজ নিয়ে বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। হজ নিবন্ধনের সময় তিন দফা বাড়ালেও আশানুরূপ ফল মিলছে না। প্রাক-নিবন্ধন করে হজের জন্য প্রস্তুতি নিলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পিছিয়ে যাচ্ছেন হজ গমনেচ্ছুরা। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জনের বিপরীতে নিবন্ধিত হজযাত্রীর সংখ্যা মাত্র ৩৫ হাজার ৬৮ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজারের বিপরীতে নিবন্ধিত হয়েছেন ৮ হাজার ২৪ জন। হজ গমনেচ্ছুরা বলছেন, বিমান ভাড়া বৃদ্ধি, ডলার সংকট ছাড়াও মক্কা মদিনায় হাজীদের বাড়িভাড়া নিয়ে কমিশন বাণিজ্য (দুর্নীতি)সহ নানা দুর্নীতির কারণে প্যাকেজ ভাড়া বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে হজে যাওয়ার প্রস্তুতি এক বছর ধরে নিলেও এখন সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।
আকস্মিকভাবে হজের খরচ বেড়ে যাওয়া এবং দায়িত্বশীলদের অব্যবস্থাপনায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে ডলার সংকট নতুন সমস্যায় ফেলেছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর বিমান ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ বেড়েছে দেড় লাখ টাকারও বেশি। এর পেছনে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমে যাওয়া এবং সউদী রিয়ালের মান অপরিবর্তিত থাকাকে দায়ী করছেন তারা। একইভাবে সউদী আরবে হজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তনের কারণও দেখা হচ্ছে। হজের এই খরচ বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে নিবন্ধনে। প্রথম পর্যায়ে আগে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হজে যাওয়ার জন্য নিবন্ধনের সময় দেয়া হয়েছিল। পরে সেটি বাড়িয়ে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়। এরপরও আশানুরূপ নিবন্ধন না হওয়ায় ৭ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
পবিত্র হজ জীবনে একবারই মেলে। সারা জীবনের উপার্জনের অর্থ জমিয়ে শেষ বয়সে হজের যাত্রায় শরিক হন ধর্মপ্রাণ মানুষ। সেই স্বপ্নের হজ এখন অনেকের জন্য দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ব পরিস্থিতিতে ডলার ও রিয়ালের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার হজপ্যাকেজ মূল্য বেড়ে গেছে। হজযাত্রায় এবার খরচ বেড়ে যাওয়ায় হজযাত্রীদের বড় অংশ সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। অনেকে সাত লাখ টাকা ব্যয় করে হজ পালনে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। আবার হজের টাকা যোগাতে সক্ষম না হয়ে কেউ কেউ ওমরাহ পালন করতে চলে যাচ্ছেন। একাধিক হজ এজেন্সির মালিক এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সেও ভাটার টান দেখা দিয়েছে। রেমিট্যান্স আয়ে ভাটার টান অব্যাহত থাকলে আগামী হজেও বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। সংশ্লিষ্ট মহল এ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সরকারিভাবে হজ পালনে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। অন্যদিকে বেসরকারিভাবে এজেন্সির মাধ্যমে হজ পালনে সর্বনি¤œ খরচ ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৭২ হাজার ৬১৮ টাকা। এ-ক্যাটাগরিতে বিমান ভাড়া বাবদ ৫৭ হাজার ৭৯৭ টাকা, সার্ভিস চার্জ বাবদ ৯৯ হাজার ৩৯৪ টাকা, হজ গাইড ফি বাবদ ৩ হাজার ৪৫৬ টাকা বেড়েছে। বি-ক্যাটাগরিতে বিমান ভাড়া ও সার্ভিস চার্জ একই হারে বাড়লেও গাইড ফি বেড়েছে ৪ হাজার ৯০৮ টাকা। সার্ভিস চার্জের মধ্যে রয়েছে পবিত্র হজের ৫ দিন মিনা, আরাফাহ ও মুযদালিফায় মোয়াল্লেমের দেয়া সেবা তথা তাঁবু, তাঁবুতে ম্যাট্রেস বিছানা, চাদর, বালিশ, কম্বল, এয়ারকন্ডিশন ও খাবার। মিনার তাঁবুর সি-ক্যাটাগরির মূল্য ৫ হাজার ৬৫৮ সউদী রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২২ সালে এই খরচ ছিল ২৫২০ রিয়াল। তবে পরিবহণ খাতে কিছুটা ব্যয় কমেছে। জেদ্দা-মক্কা-মদিনা ও আল মাশায়েরে (মক্কা-মিনা-আরাফাহ-মুযদালিফা-মিনা-মক্কা) রুটে পরিবহন ব্যয় ২০২২ সালে ছিল ১৭৫৪ সউদী রিয়াল। চলতি বছর এই খরচ ধরা হয়েছে ১২৩৮ রিয়াল। ২০২২ সালে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৯৪ টাকা ৩০ পয়সা। এ বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেয়া প্রতি ডলারের দাম ১০৮ টাকা। আর সউদী রিয়ালের দর ছিল গত বছর ২৪ টাকা ৩০ পয়সা। এ বছর প্রতি সউদী রিয়ালের দাম ২৮ টাকা ৩৯ পয়সা। করোনা মহামারির কারণে টানা দুই বছর হজ বন্ধ থাকার পর গত বছর পুনরায় হজ চালু হয়। এ বছর বয়সের সর্বোচ্চ সীমার শর্ত তুলে দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ ৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিরাও হজ পালন করতে পারবেন। তবে ন্যূনতম বয়স ১২ করা হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (হজ) মতিউল ইসলাম গতকাল বৃহস্পতিবার ইনকিলাবকে বলেন, ডলার ও রিয়ালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এবার হজ প্যাকেজমূল্য বেড়েছে। সাত লাখ টাকা ব্যয়ে হজ পালনে কষ্ট হলেও হজের পরিবর্তে যারা ওমরাহ পালনে বেশি আগ্রহ হচ্ছেন তা সঠিক নয়। সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজমূল্যে হজ করানোই কঠিন হবে। মক্কায় হজযাত্রীপ্রতি বাড়িভাড়া ধরা হয়েছে ৪৮শ’ রিয়াল এবং মদিনার বাড়িভাড়া ধরা হয়েছে ১৪শ’ রিয়াল।
আগে মক্কা মদিনায় হাজীদের বাড়িভাড়া নিয়ে কমিশন বাণিজ্য (দুর্নীতি) হতো এবার তা হবার সম্ভাবনা আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব মতিউল ইসলাম বলেন, ধর্ম সচিব বাড়িভাড়া কমিটির প্রধান। রিয়াদস্থ বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের প্রতিনিধিসহ আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বাড়িভাড়া কমিটিতে রয়েছে। টেন্ডারের মাধ্যমে হাজীদের বাড়িভাড়া করা হয়। এখন হাজীদের বাড়িভাড়া নিয়ে দুর্নীতি করার কোনো সুযোগ নেই বলেও অতিরিক্ত সচিব উল্লেখ করেন। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮ হাজার ২৪ জন হজযাত্রী এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫ হাজার ৬৮ জন নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। সরকারি ব্যবস্থাপানায় ১৩ হাজার হজযাত্রীর নিবন্ধন সম্পন্ন হলেই নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো হবে না। বাকি ২ হাজার কোটা রেখে দেয়া হবে হজের বিভিন্ন ডেলিগেট ও গাইডদের নিবন্ধনের জন্য।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে, রেমিট্যান্সপ্রবাহ ফের হোঁচট খেয়েছে। সদ্য শেষ হওয়া ফেব্রুয়ারি মাসে ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার (১.৫৬ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ৪ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারির চেয়ে ৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। রেমিট্যান্সে প্রতি ডলারের জন্য এখন ১০৭ টাকা দিচ্ছে ব্যাংকগুলো। এ হিসাবে টাকার অঙ্কে গত মাসে ১৬ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী সোয়া কোটি প্রবাসী। বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক হচ্ছে রেমিট্যান্স। কেননা, এই সূচকের বাড়া-কমার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে রিজার্ভের উত্থান-পতন।
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স কমার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক মুখপাত্র বলেন, ‘ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিনে। সে কারণেই এই মাসে রেমিট্যান্স কিছুটা কম এসেছে। মার্চের শেষ দিকে রমজান মাস শুরু হবে। রোজা ও ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্সপ্রবাহ আবার বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।’ হাবের সহ-সভাপতি মাওলানা ফজলুর রহমান ইনকিলাবকে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ২৫ শতাংশ কমলেও ডলারের বিপরীতে সউদী মুদ্রা রিয়ালের দাম কমেনি। বরং রিয়ালের বিপরীতে ডলার দুর্বল হয়েছে, শক্তিশালী হয়েছে রিয়াল। এদিকে টাকার বিপরীতেও ডলারের দাম বেশি বেড়েছে।
হাব নেতা ফজলুর রহমান বলেন, ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমায় বাংলাদেশে পণ্যের দাম বেড়েছে, কমেছে ক্রয়ক্ষমতা। সেক্ষেত্রে চলতি বছর হজের প্যাকেজ মূল্য অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে হজযাত্রীদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল জনপ্রতি ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। ২০২২ সালে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। কিন্তু বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবার অযৌক্তিভাবে গত বছরের চেয়ে হজযাত্রীদের বিমান ভাড়া ৫৮ হাজার টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। হাব নেতা বলেন, এ ধরনের বিমান ভাড়া বাড়িয়ে হাজীদের ওপর জুলুম করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার হজ এজেন্সির অধীনে ৬শ’ হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু হজের টাকা যোগাড় করতে না পেরে গতকাল পর্যন্ত মাত্র ১২০ জন হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি এক সার্কুলারের মাধ্যমে হজযাত্রী নিবন্ধনের সময়সূচি আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন। হজযাত্রীদের নিবন্ধনে কাক্সিক্ষত সাড়া না পেলে আবারো সময় বাড়ানো হবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয় আভাস দিয়েছে।
হজ অফিসের দেয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে শুরু হওয়া প্রাক-নিবন্ধন থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় অপেক্ষমাণ ছিলেন ৮ হাজার ৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় অপেক্ষমাণ ২ লাখ ৩১ হাজার ২৩৯ জন। আবাবিল হজ গ্রুপের মালিক আবু ইউসুফ বলেন, হজের ধর্মীয় শর্তই হচ্ছে শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম হওয়া। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে যে শ্রেণির মানুষ এই ধর্মীয় বিধানে অংশ নেন তাদের অধিকাংশই মধ্যবিত্ত কিংবা নিম্ন মধ্যবিত্ত। সারাজীবনের উপার্জন থেকে জমিয়ে শেষ বয়সে তারা হজের প্রস্তুতি নেন। কিন্তু চলতি বছর হজ প্যাকেজের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ায় অনেক হজযাত্রী হজের টাকা যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তিন দফায় হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ালেও আশানুরূপ ফল মিলছে না। প্রাক-নিবন্ধন করে হজের জন্য প্রস্তুতি নিলেও চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে পিছু হটছেন হজ গমনেচ্ছুরা। এ বছর হজের খরচ আকস্মিক বেড়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
সউদী-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করার সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১৫ হাজার হজযাত্রী। ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে তা ১ লাখ ২৬ হাজার ৯২৩ জনে বৃদ্ধি পেয়েছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে ২০২২ সালে অন্য দেশের মতো বাংলাদেশকে সীমিত পরিসরে ৬০ হাজার ১৪৬ জন হজযাত্রীর কোটা দেয়া হয়েছিল। ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ পর্যন্ত হজযাত্রীর কোটা ১৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও কোটা না থাকার কারণে বহু হজযাত্রীকে অপেক্ষমাণ থাকতে হয় পরের বছরের জন্য। কিন্তু এ বছর কোটার অনুপাতে নিবন্ধন করছেন অপেক্ষাকৃত কম হজযাত্রী। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন গতকাল ইনকিলাবকে জানান, ধর্ম মন্ত্রণালয় এবং হজ অফিস ঢাকা অত্যন্ত সেবার মানসিকাতা নিয়ে সরকারি হজযাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারি হজযাত্রীরা হয়রানির শিকার হজের আগেই এমন খবর সঠিক নয় বলে তথ্য অফিসার দাবি করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।