পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোন সাহসে হামলা চালাচ্ছে তা জানতে চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই সাহস তাদের কে দিল, সেই প্রশ্নও রাখেন শিক্ষার্থীরা।
অর্থনীতি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে মারধরের প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এই প্রশ্ন রাখা হয়।
এ সময় অবিলম্বে নির্যাতনকারী ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ছাত্রত্ব বাতিল, ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ থেকে সব নির্যাতনকারীকে চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও সব সাধারণ শিক্ষার্থীর ক্যাম্পাসে নিরাপদ অবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়।
এসব দাবি আদায়ে ৭২ ঘণ্টার ক্লাস বর্জন কর্মসূচি ঘোষণা করনে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান, অধ্যাপক এম এম আকাশ ও অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হানসহ বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন। এতে লেখা ছিল, ‘আমার ভাই বোনের ওপর হামলা কেন?’, ‘আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস চাই’, ‘হামলা আমার ক্যাম্পাসে, বিচার চাইবো কোনখানে’।
মানববন্ধনে অধ্যাপক আকাশ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ জানান। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা কোনো ভালো লক্ষণ নয়। আমরা ভিসি স্যারের কাছে গিয়েছিলাম তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে তিনি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করবেন। আমরা তার প্রমাণ দেখতে চাই।
শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অর্থনীতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ ও রোকেয়া গাজী লিনার ওপর হামলা চালায় সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী।
অভিযুক্তরা আসাদ ও লিনাকে বহিরাগত দাবি করে পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তারপর তৃতীয় বর্ষের এই দুই শিক্ষার্থী পরিচয়পত্র দেখান। তা সত্ত্বেও দ্বিতীয় ও প্রথম বর্ষে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ কর্মীরা তাদের দুই দফা মারধর করে।
এ ঘটনায় জড়িত বলে প্রমাণ পাওয়ায় সিফাত উল্লাহ সিফাত, আল ইমরান পলাশ ও মাহমুদুর রহমান নামের তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে রোববার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
এর মধ্যে সিফাত উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ, পলাশ শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের এবং মাহমুদুর আধুনিক ভাষা শিক্ষা ইনস্টিটিউটের অধীনে ইংলিশ ফর স্পিকারস অব আদার ল্যাঙুয়েজেস বিভাগের শিক্ষার্থী।
সোমবারের মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর হামলার বিচার দাবি করেন আক্রান্ত দুই শিক্ষার্থী আসাদ ও লিনা।
তারা বলেন, আমাদের ক্যাম্পাসে আমাদের ওপর কেন হামলা করা হল শুধু এটুকুর জবাব চাই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।