Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যেকোন দুর্যোগ সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১৪ অক্টোবর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জনগণকে যেকোন দুর্যোগ সাহসের সঙ্গে মোকাবেলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে কোন দুর্যোগেই যেন জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য সম্ভাব্য সকল ধরনের পদক্ষেপ নেবে সরকার।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০১৬ উপলক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য যে, যেকোন দুর্যোগ আসবে সেই দুর্যোগকে আমাদের সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে এবং দুর্যোগ থেকে মানুষকে আমাদের বাঁচাতে হবে। সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দুর্যোগ আসবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে এবং যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের জনগণ সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। আগামীতে কখনও এই বাংলাদেশের মানুষ যেন দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে ব্যবস্থা অবশ্যই আমরা নেব, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে, দুর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। আমাদের দুর্যোগ মোকাবেলার পদক্ষেপগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গ্রহণ করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ আসবে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হবে এবং যেকোন দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের জনগণ সদাপ্রস্তুত থাকবে। ঝড়-ঝাপটা আসবেই এবং সেটা মোকাবেলা করার মত সক্ষমতা আল্লাহর রহমতে এখন বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝড়, বন্যা আমাদের দেশে লেগেই থাকে। আমি এটুকু বলব, উত্তরবঙ্গের মঙ্গা আমরা দূর করেছি। এখন নদী ভাঙন ও বন্যা থেকে আমাদের জনগণকে রক্ষা করার জন্য নির্দেশ হচ্ছে, যেসব ঘরবাড়ি করা হচ্ছে তা একটু উঁচু করে নির্মাণ করতে হবে। মানুষের যেন ক্ষতি না হয় সেটা দেখা হবে।
প্রত্যেক জেলাতেই আমরা আগাম টিন এবং ত্রাণ সাহায্য জেলা প্রশাসকদের কাছে দিয়ে রেখেছি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা যেন কোন আকস্মিক দুর্যোগ এলে তৎক্ষণাৎ তা মোকাবেলায় ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাছাড়া এই বন্যা থেকে লোকজনকে রক্ষার জন্য আমরা ভবিষ্যতে পাকা দালান করে দেব। যদিও এখন টিনের ঘরবাড়ি করে দেয়া হচ্ছেÑ বাংলাদেশে আর একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে নাÑ এটাই আমাদের সিদ্ধান্ত। ইনশাআল্লাহ আমরা তা করবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আমাদের দুর্যোগে তাৎক্ষণিক সাড়া প্রদানের জন্য ৫৫ হাজার ৬২০ জন সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক ও ৩২ হাজার নগর স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। ভূমিকম্প মোকাবেলাতেও ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের স্কাউটস্, বিএনসিসি ও রেডক্রস যুব ভলান্টিয়ারদেরকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে নিয়মিতভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে এবং সর্বদা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট) বিষয়ে একটি পূর্ণ অনার্স-মাস্টার্স কোর্স চালু করা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ দেশ ডেল্টা প্লান-২১০০’ প্রণয়নের কাজ চলছে। এভাবেই আমরা বন্যা মোকবেলার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি, উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় কণ্ঠে উচ্চারণ করেনÑ আমরা বিশ্বাস করি যে, এভাবে কাজ করে গেলে দেশে যেকোন দুর্যোগ এলে তা মোকাবেলা করে জনগণকে আমরা রক্ষা করতে পারব। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর একটি অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। জাতির পিতা সেদিন নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ রেখে ছুটে গিয়েছিলেন বিপন্ন অসহায় মানুষের পাশে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে তিনিই ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয় গঠন করেন।
দুর্যোগ মোকাবেলায় জাতির পিতার গৃহিত পদক্ষেপের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের পহেলা জুলাই দুর্যোগ প্রস্তুতি ও ঝুঁকিহ্রাসের লক্ষ্যে ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)’ গঠন করেছিলেন। দুর্যোগকালে গবাদি পশুর আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত উপকূলীয় এলাকায় বঙ্গবন্ধুর আমলে নির্মিত ১৫৬টি মাটির কিল্লা এখনও ‘মুজিব কিল্লা’ নামে পরিচিতি ও ব্যবহৃত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে সমন্বিত ও গতিশীল করার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ‘দুর্যোগ বিষয়ক স্থায়ী আদেশাবলী’ (স্ট্যান্ডিং অডার্স অন ডিজাস্টার-এসওডি) প্রণয়ন করে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৭ সালেই আমরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কিন্তু পরবর্তীকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে এ বিষয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিই।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় সরকারের মূল লক্ষ্য-প্রাকৃতিক, পরিবেশগত ও মানব সৃষ্ট আপদ হতে দরিদ্র মানুষের বিপদাপন্নতা সহনীয় ও গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা। একইসঙ্গে বড় ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলায় সক্ষম একটি জরুরি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের মধ্যে রয়েছেÑ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় মোকাবেলায় বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ স্ট্রাটেজি এন্ড অ্যাকশন প্ল্যান (বিসিসিএসএপি) প্রণয়ন এবং এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘ক্লাইমেট  চেঞ্জ ট্রাস্ট ফান্ড’ ও গঠন করা। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে এই ফান্ডে ৩ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। বরাদ্দকৃত অর্থে এ পর্যন্ত ৪৩৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসের জন্য আমরা ৩ হাজার ৮৫১টি সাইক্লোন শেল্টার, ৭৮টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছি। ১৫৬টি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ চলমান রয়েছে।
জরুরী উদ্ধারকাজে সহযোগিতার জন্য ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১ম পর্যায়ে ৬৯ কোটি টাকা এবং ২য় পর্যায়ে ১৫৮ কোটি টাকার সরঞ্জামাদি ক্রয় করে আমর্ড ফোর্সেস ডিভিশন এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্যোগকালীন জনসাধারণকে নিরাপদ অবস্থানে স্থানান্তরের জন্য সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে তিনি বলেন, সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী ১৩ হাজার ব্রিজ-কালর্ভাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উদ্যোগের ফলে ২০১৩ সালের ‘ঘূর্ণিঝড় মহাসেন’-এ মারা যায় ১৭ জন, ২০১৫ সালের ‘ঘূর্ণিঝড় কোমেনে’ মারা যায় ১ জন এবং সর্বশেষ ২০১৬ সালের ‘ঘূর্ণিঝড়  রোয়ানুতে’ ২৭ জন মারা যায়। আমাদের কাছে প্রতিটি জীবনই মহামূল্যাবান। কাজেই ঘূর্ণিঝড়  মোকাবেলার লক্ষ্যে আগামী ৫ বছরে সাইক্লোন শেল্টারের সংখ্যা আমরা ৬ হাজারে উন্নীত করব এবং এভাকুয়েশন পদ্ধতিকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৯৮’র বন্যায় আমি নিজ হাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু ক্যাফেটারিয়ায় রুটি বানানোর পর এই কর্মসূচী সামাজিক আন্দোলনে রূপ নেয়। আমাদের জনগণকে একটি বিষয়ে একবার জাগিয়ে তুলতে পারলে বিজয় নিশ্চিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন ওই বন্যায় ৬৯ দিন দেশ পানির নিচে তলিয়েছিল। আন্তর্জাতিক নামকরা গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল বাংলাদেশে ২ কোটি লোকের প্রাণহানির শংকা রয়েছে। কিন্তু আমরা তা হতে দেইনি। দ্রুত মানুষের আশ্রয় ও খাদ্যের ব্যবস্থা করেছি।
প্রধানমন্ত্রী জানান, দুর্যোগ বিষয়ে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে এবং প্রত্যেক জেলা প্রশাসকের অনুকূলে দুর্যোগকালীন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ২ লাখ টাকা ও ১০০ থেকে ২০০ মেট্রিক টন চাল অগ্রিম দেয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও এভাকুয়েশন কার্যক্রমকে বেস্ট প্র্যাকটিস’ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ অনুসরণ করছে। এটা আমাদের জন্য গৌরবের বিষয়। ‘ঘূর্ণিঝড়সহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বাঁচার একমাত্র পথ গাছ লাগিয়ে বাংলাদেশকে সবুজ বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে ফেলা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস থেকে বাঁচার জন্য উপকূলীয় বাঁধ নির্মাণ ও পুনঃনির্মাণ এবং সবুজ বেস্টনী প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। এ সময় নির্মাণাধীন রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় ৫ লাখ গাছ লাগানোর পরিকল্পনাও সরকারের রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষের মৃত্যু সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, ইদানিং বজ্রপাত খুব বেশি দেখা যাচ্ছে। এক সময়, বাংলাদেশের প্রতিটি রাস্তায়, বাড়ির কোণায় কিংবা মসজিদের পাশে সব জায়গায় তালগাছ দেখা যেত। এখন আর তেমনটা দেখা যায় না। তাল গাছের একটা গুণ হচ্ছে। বজ্রপাত হলেই উঁচু বলে সেটা এসে তালগাছে পড়ত। আমার মনে হয় এই তালগাছ আবার লাগানো শুরু করা উচিত। ভবনে বজ্র নিরোধক ধাতব দ- লাগানোর নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি তার সরকারকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগও মোকাবেলা করতে হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সজাগ থাকলে যেকোনো দুর্যোগ থেকে মানুষকে বাঁচানো সম্ভব। ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কোনো আগাম সতর্কতা দেয়া হয়নি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, কারণ তখনকার সরকার এ বিষয়ে কিছুই জানত না। তিনি বলেন, আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করি। তাই আমরা বিরোধীদলে থাকা সত্ত্বেও সে সময় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কাজ করেছি। ১৯৯৭ সালের ঘূর্ণিঝড়েও তার দল ত্রাণ কাজে সক্রিয় ছিল বলেও জানান।
দুর্যোগ মোকাবেলায় জনগণকে আরও সতর্ক হবার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক সময় দেখা যায় দুর্যোগের পূর্বাভাস দিয়ে উপদ্রুত এলাকার লোকজনকে দ্রুত সরে যেতে বলা হয়, মাইকিং হয়। কিন্তু তারা সহজে যেতে চান না। এতে ক্ষয়ক্ষতির সঙ্গে প্রাণহানির আশংকা বেড়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো দুর্যোগপ্রবণ দেশে দুর্যোগ সহনশীল কার্যক্রম উন্নয়নের মাধ্যমে  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন নিশ্চিত করা যাবে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা বিনির্মাণ সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেনÑ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ সম্ভু। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের বাঁশখালীর সাইক্লোন রোয়ানু ক্ষতিগ্রস্ত মো. শহীদুল আলম এবং গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার সাম্প্রতিক বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত মাসুদা বেগম দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হবার নিজস্ব অভিজ্ঞতা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থল থেকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ১৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করেন। শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।
কোটালী পাড়ায় আশ্রয়ণ কেন্দ্র উদ্বোধন  
কোটালীপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ডিজিট্যাল পদ্ধতিতে বৈকন্ঠপুরে পঞ্চপল্লী মাধ্যমিক বিদ্যালয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় বসে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।
টেকনাফে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন
টেকনাফ উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টেকনাফে দু’টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করা আশ্রয়কেন্দ্রে হলো, টেকনাফ উপজেলা সদরের মুহাম্মদিয়া রিয়াদুল জান্নাত দাখিল মাদরাসা বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে ও লম্বরী মলকাবানু উচ্চবিদ্যালয় বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে।
চরফ্যাশনে আশ্রয় কেন্দ্র
চরফ্যাশন উপজেলা সংবাদদাতা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে চরফ্যাশনে ২টি বহুমুখী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন করেন।
শিবচরে বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র
শিবচর (মাদারীপুর)  উপজেলা সংবাদদাতা জানান, শিবচরে একটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র কাম বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর উসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘দূর্যোগ প্রশমন দিবস’র অনুষ্ঠানে এক ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে এ আশ্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যেকোন দুর্যোগ সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করুন : প্রধানমন্ত্রী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ