Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেষেও আলোকিত বেলজিয়াম

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ জুলাই, ২০১৮, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:৪০ এএম, ১৫ জুলাই, ২০১৮

বিশ্বকাপের সবচেয়ে কম আগ্রহের ম্যাচ সম্ভবত এটিই। এ এমন ম্যাচ যেখানে খেলতে চায় না কোন দলই। তৃতীয় স্থান নির্ধারনীর সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দেয়া বেলজিয়াম। বিজয়ী দলের হয়ে দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন থমাস মুনিয়ের ও এডেন হ্যাজার্ড। বিশ্বকাপে এটিই বেলজিয়ামের সর্বোচ্চ অর্জন।
এর আগে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের চতুর্থ দল ছিল বেলজিয়াম। এবার সেটাকে ছাড়িয়ে ডি ব্রæইনা-হ্যাজার্ড-লুকাকুদের নিয়ে গড়া সোনালী প্রজন্মের হাত ধরে আসল ব্রোঞ্জ। অর্ধশতাব্দী পর ইংলিশদের সামনেও ছিল একই সুযোগ। ঘরের মাঠে ১৯৬৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১৯৯০ বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে ইতালির কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় ইংল্যান্ড। কেইন-আলি-লিঙ্গার্ডদের সামনে সুযোগ ছিল ৫২ বছরের সেরা অর্জনের। কিন্তু রেড ডেভিলদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি গ্যারেথ সাউথগেটের দল। রাশিয়ায় চতুর্থ স্থান নিয়েই তাই সন্তুষ্ট থাকতে হলো ইংলিশদের। গ্রæপ পর্বেও মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও বেলজিয়াম। সেবার ইংলিশদের ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয় রবার্তো মার্টিনেজের দল।
সেন্ট পিটার্সবার্গ স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথমার্ধে খুঁজেই পাওয়া যায়নি ইংলিশদের। পক্ষান্তরে শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণে ইংলিশ রক্ষণকে তটস্থ করে রাখে বেলজিয়াম। তেমনি এক আক্রমণে পাঁচজনের পা ঘুরে ওয়েস্ট ব্রæম মিডফিল্ডার নাচের ক্যাডলির ক্রস খুব কাছ থেকে জালে পাঠিয়ে দলকে এগিয়ে নেন মুনিয়ের। ৩ মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের মাথায় করা গোলটি বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের দ্রæততম। ইনজুরির কারণে সেমিফাইনালে ফ্রান্স ম্যাচে ছিলেন না পিএসজি ডিফেন্ডার। ডি বক্সে লুকাকু-হ্যাজার্ডরা আরেকটু নিখুঁত হলে প্রথমার্ধেই ব্যবধানটা আরো বাড়াতে পারত।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি কিছুটা বাড়ায় ইংল্যান্ড। কিন্তু জাল আবিষ্কার করতে পারেনি। সবচেয়ে সহজ সুযোগ আসে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে। মাঝমাঠ থেকে রাশফোর্ডের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে দ্রæতবেগে ডি বক্সে ঢোকেন এরিক দিয়ের। গোলরক্ষক কোর্তোয়র হাতের সামনে থেকে চিপ শটে জালের দিকে বলও ঠেলে দিয়েছিলেন দিয়ের। কিন্তু গোল লাইনের খুব কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করে দলকে বিপদমুক্ত করেন বেলজিয়ামের টটেনহ্যাম ডিফেন্ডার টবি আল্ডারওয়ার্ল্ড।
বাকি সময়টা চলেছে আক্রমণ আর পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে। ৮০তম মিনিটে দুর্দান্তভাবে ডি ব্রæইনাকে বঞ্চিত করেন ইংলিশ গোলরক্ষক পিকফোর্ড। কিন্তু দুই মিনিট পর হ্যাজার্ডকে আর আটকাতে পারেননি। ডি ব্রæইনার পাস ধরে দলের জয় নিশ্চিত করেন চেলসি মিডফিল্ডার।
দু’দলের লড়াইয়ের আড়ালে ছিল সর্বোচ্চ গোলের প্রতিযোগিতাও। যে দৌড়ে এগিয়ে থেকেই ম্যাচ শেষ করেন কেইন। ৬ গোল ইংলিশ স্ট্রাইকারের, দুটি কম লুকাকুর। পুরষ্কারটা উঠতে পারত লুকাকুর হাতেও কিন্তু গোলের অনেকগুলো সুযোগ এদিন হাতছাড়া করেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড স্ট্রাইকার। ফাইনালে এমবাপে-গ্রিজম্যানরা অতি দানবীয় কিছু না করলে গোল্ডেন বুট তাই কেইনের হাতেই উঠছে বলা যায়। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপে অংশ নিতে এসেই সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার পথে কেইন। ইংলিশদের হয়ে এই রেকর্ড আছে কেবল একজনের। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে এই কীর্তি গড়েছিলেন গ্যারি লিনেকার।
তবে এই ছয় গোল নিয়ে হয়ত গর্ব করবেন না স্বয়ং কেইনও। ছয় গোলের তিনটিই এসেছে পেনাল্টি থেকে, দুটি পোস্টের দুই গজ সামনের জটলার মধ্য থেকে। বাকিটা তো অপ্রত্যাশিতভাবে পাওয়া। সতীর্থের শট অনিচ্ছাকৃতভাবে তার গোড়ালিতে লেগে জালে জড়ায়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ