বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনার বেড়া উপজেলার সোনাপদ্মা গ্রামে মা, খালা ও ভাইসহ একই পরিবারের তিনজনকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করেছে তুহিন শেখ। গতকাল পাবনার আমলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে সে। এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল গত শুক্রবার খুলনার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙ্গা গ্রামের জনৈক ফেরদৌস মেম্বারের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ৩টায় পাবনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং এ পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির সাংবাদিকদের জানান, গ্রেফতারের পর পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মা, খালা ও ছোট ভাইকে নিজ হাতে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ধৃত তুহিন। পরে পাবনার আমলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
স্বীকারোক্তিতে হত্যার কারণ সম্পর্কে তুহিন পুলিশকে জানিয়েছে, ৯ মাস আগে ভালোবেসে পরিবারের অমতে সে রুনা খাতুনকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তাদের বাড়িতে থাকা খালা মরিয়ম খাতুনসহ পরিবারের লোকজন তুহিনের স্ত্রীকে মাঝে মধ্যেই তুচ্ছ বিষয় নিয়ে গালিগালাজ ও কটূক্তি করত। এতে এক পর্যায়ে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন ভোরে তুহিন প্রথমে তার খালা মরিয়ম খাতুন ওরফে নছিমনকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বাইরে এনে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় তার মা তাসলিমা খাতুন ওরফে বুলি খাতুন ও ছোট ভাই তুষার মরিয়ম ওরফে নছিমনকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করে তুহিন। তুহিনের স্ত্রী রুনা খাতুন গোঙানীর শব্দ শুনে বাইরে বের হয়ে দেখনে বাড়ির উঠোনে তিনজনের রক্তাক্ত লাশ। পাশে তার স্বামীকে ধারালো অস্ত্র হাতে রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। এ সময় তুহিন স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলে ‘তিনটারেই শেষ করে দিলাম’। এ ঘটনায় রুনা খাতুন ও হত্যার বিষয়ে আদালতের কাছে জবানবন্দী দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।