নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ আটের লড়াই শুরু হচ্ছে আজ থেকে। এদিন প্রথম ম্যাচে মাঠে নামছে সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও উরুগুয়ে। রাশিয়ার নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৮ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ফেভারিট ফ্রান্সের সামনে উজ্জীবিত উরুগুয়ের একমাত্র লক্ষ্যই হচ্ছে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে জয় তুলে নেয়া। দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা এবার রাশিয়ায় ফাইনালে খেলতে চায়। দেশের ৩৩ লাখ জনগণকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে চান লুইস সুয়ারেজরা। অন্যদিকে ৯৮’ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের লক্ষ্য ফেভারিট হিসেবেই কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়েকে হারিয়ে সেমির টিকিট কাটা। তারাও মরিয়া রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জিততে। এজন্য এই পর্বে থেকে তিনটি ম্যাচে জিততে হবে ফরাসিদের। তাই পরের তিন ম্যাচকেই ফাইনাল হিসেবে দেখছে তারা।
কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রেন্স-উরুগুয়ে ম্যাচের আকর্ষণ থাকবেন ফ্রান্সের তরুণ সেনসেশন কাইলিয়ান এমবাপে। যিনি একাই দু’গোল করে শেষ ষোল’তে আর্জেন্টিনাকে ধ্বসিয়ে দেন। তাই শেষ আটের লড়াইয়ে এমবাপেকে রুখে দেয়ার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে উরুগুয়ে। এ ব্যাপারে আতœবিশ্বাসী মনোভাব দেখিয়েছেন উরুগুয়ের তারকা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ।
তরুণ এমবাপের নজরকাড়া পারফরমেন্সের কারণেই ফ্রান্সের আক্রমণভাগকে এই ম্যাচে এগিয়ে রাখা হয়েছে। আর একইসঙ্গে ওস্কার তাবারেজের উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকেই ফেভারিট মানা হচ্ছে। যদিও ফ্রান্সের বিপক্ষে শেষ আটবারের মোকাবেলায় মাত্র একটি ম্যাচ হারে উরুগুয়ে। এদিকে ২০১৬ ইউরো ফাইনালিস্ট ফ্রান্স দক্ষিণ আমেরিকান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচে অপরাজিত আছে। এর মধ্যে সাতটিতে কোন গোল হজম করেনি তারা। ‘সি’ গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোল’র ম্যাচে আর্জেন্টিনার মোকাবেলা করে ফ্রান্স। দ্বিতীয় পর্বে আর্জেন্টাইনদের বিপক্ষে ৪-৩ গোলের জয়ী ম্যাচের অভিজ্ঞতা পুরো ফরাসী দলকে আরো বেশী উজ্জীবিত করে তুলেছে। কোয়ার্টার ফাইনালের আগে ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশ্যম বলেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্যই রাশিয়া বিশ্বকাপের শিরোপা জয় করা। এজন্য আমাদের তিনটি ম্যাচে উৎরে যেতে হবে। তাই ওই তিনটি ম্যাচই আমাদের কাছে ফাইনাল। কোনটিই আমাদের কাছে কোয়ার্টার বা সেমিফাইনাল নয়।’
উরুগুয়ে ম্যাচকে নিয়ে বেশ সিরিয়াস ফ্রান্স। দলের অনুশীলনে সংবাদ মাধ্যমকে কথা বলার সুযোগই দিচ্ছে না ফরাসিরা। মস্কো থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমটার দূরে দলকে নিয়ে অনুশীলনে ব্যস্ত দেশ্যম। অনেক অনুরোধের পর নিজ দেশের সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দেশ্যম বলেন, ‘আমি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কথা এখনই ভাবছি না। আমাদের সামনের সব ম্যাচই ফাইনাল। যাঁরা সামনে পড়বে তাদেরকেই হারাতে চাই।’ তবে উরুগুয়ের প্রশংসা করে দেশ্যম বলেন,‘দলটা চমৎকার। তারা আক্রমণাতœক ও পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলে। এবারের আসরে সেরা পারফরমেন্সই করছে দলটি। তাদের ব্যাপারে আমরা সর্তক। আমরা মাঠে নেমে সেরাটাই দেয়ার চেষ্টা করবো। যাতে আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়।’
উরুগুয়ে কিন্তু সহজ প্রতিপক্ষ নয়। তারাও কোয়ার্টার ফাইনালে উজ্জীবিত অবস্থাতেই মাঠে নামবে। প্রথম পর্বে ‘এ’ গ্রæপ সেরা হয়ে উড়া শুরু করে। শেষ ষোল’র ম্যাচে শক্তিশালী পর্তুগালকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ইতোমধ্যে তারা ফেভারিটের তালিকায় নিজেদের অবস্থান পাকা করেছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকে হারাতে মরিয়া দলটি। নিজনি নভগোরোদ স্টেডিয়ামে অনুশীলন ক্যাম্পে গণমাধ্যমের সামনে সুয়ারেজ বলেন, ‘আমরা যেভাবে খেলছি, তেমন খেলতে পারলে বিশ্বকাপ জয়ের পথে আমাদের কেউই আটকাতে পারবে না। আমাদের সাফল্যের জন্য দেশের ৩৩ লাখ জনগন অস্থির হয়ে আছে। দীর্ঘদিন পর আবারো দেশের মানুষকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে চাই।’
ফ্রান্সকে আটকানোর জন্য দলের রক্ষণভাগের উপর আস্থা আছে সুয়ারেজের। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত মাত্র একটি গোল হজম করেছে উরুগুয়ে। বার্সেলোনার এই স্ট্রাইকার বলেন, ‘সবাই জানে এমবাপে একজন ভাল খেলোয়াড়। কিন্তু আমি মনে করি তাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমাদের দুর্দান্ত একটি রক্ষণভাগ আছে।’ যদিও সুয়ারেজ মনে করেন শুধুমাত্র এমবাপে না ফ্রান্সের পক্ষ থেকে তাদের জন্য আরো হুমকি অপেক্ষা করছে। তার মতে বিশেষ করে এন্টোনিও গ্রিজম্যানের বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। এ ম্যাচে অবশ্য উরুগুয়ের অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড এডিনসন কাভানির ফিটনেস নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। পর্তুগালের বিপক্ষে তিনি পেশীর ইনজুরিতে পড়েছিলেন। তাই ফ্রান্সের বিপক্ষে তার খেলা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তবে কাভানিকে ফ্রান্স ম্যাচে পাশেই চাইছেন সুয়ারেজ। তার কথায়, ‘আমার দেশের ৩৩ লাখ জনগণের মতো আমিও কাভানির ইনজুরি নিয়ে চিন্তিত। আমি মনে-প্রাণে চাইছি কাভানি ফ্রান্সের বিপক্ষে খেলতে নামুক।’ টানা সাত ম্যাচে জয়ের অভিজ্ঞতাই তাদের আতœবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই ম্যাচগুলোতে মাত্র এক গোল হজম করেছে উরুগুয়ে।
২০১০ সালের পরে বিশ্বকাপে এটাই কোয়ার্টার ফাইনালে উরুগুয়ের প্রথম ম্যাচ। এদিকে ফ্রান্স গত পাঁচটি আসরের চারটিতেই শেষ আটে খেলেছে। শুধুমাত্র ২০১৪ সালে জার্মানীর কাছে ১-০ হেরে শেষ ষোল থেকে বিদায় নিয়েছিল তারা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।