নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সেলেসাও ছন্দে আবারো বাধা পড়েছে মেক্সিকোর বিশ্বকাপ স্বপ্ন। মধ্য আমেরিকানদের ২-০ গোলে হারিয়ে টানা সপ্তমবারের মত বিশ্বকাপের শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গোলের দেখা পেয়েছেন নেইমার ও ফিরমিনহো। কোয়ার্টার ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম ও জাপানের মধ্যে বিজয়ী দল।
জার্মানি-আর্জেন্টিনার-স্পেনের পথে হাটেনি ব্রাজিল। শুরুটা মন্দ হলেও সময় গড়ানোর সাথে সাথে ছন্দ ফিরে পায় সেলেসাওরা। ওদিকে বুকে বুক চিতিয়ে লড়েছে মেক্সিকো। বিশেষ করে গোলকিপার ওচোয়ো এভাবে বাঁধা হয়ে না দাঁড়ালে জয়ের ব্যবধান আরো বাঁড়াতে পারত ব্রাজিলিয়ানরা।
সামারা অ্যারেনায় প্রথমার্ধের ২৫ থেকে ৩৫ এই দশ মিনিটে মেক্সিকোর ডি বক্সে তান্ডব চালান জেসুস-নেইমার-কুতিনহোরা। কুতিনহোর পাস পেয়ে কাছ থেকে শট নেন জেসুস, এর আগে নেইমার। কিন্তু আলভারেজ-আয়ালারা তো ছিলেনই, শেষ বাধা হিসেবে মেক্সিকান গোলরক্ষক ওচোয়োও তাদের সামনে দাঁড়িয়ে যান চীনের প্রাচীর হয়ে। এর আগে নিজেদের রক্ষণ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় মিরান্ডা-সিলভা-লুইসদের। ম্যাচের শুরুতেই গোছালো আক্রমণে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরী করে মেক্সিকো। গুয়ার্দাদোর ক্রসে ঘুশি মেরে বিপদমুক্ত করেন গোলরক্ষক আলিসন। খানিক পর নেইমারের নেয়া সোজাসুজি শট সহজেই প্রতিহত করেন মেক্সিকো গোলরক্ষক। বাকি সময়ে বিক্ষিপ্ত ফুটবলে বিচ্ছিন্ন সুযোগ তৈরী করে দুই দলই। কিন্তু জালের দেখা পাওয়ার মত কোন আক্রমণ ছিল না। বলের দখলেও এসময় ছিল সমতা।
বিরতি থেকে ফিরেই স্বরুপে ফেরে সেলেসাওরা। এবার কুতিনহোকে রুখে দেন ওচোয়ো। কিন্তু ৫১তম মিনিটে ওচোয়োর কিছুই করার ছিল না। উইলিয়ানের ভয়ানক ক্রস পা বাড়িয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু বল নেইমারের পা ছুঁয়ে জালে আশ্রয় নেয়। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে এটি তার ষষ্ঠ গোল। সব মিলে ব্রাজিলের জার্সিতে ৫৭তম।
এরপরও আক্রমণ অব্যহত রাখে ব্রাজিল। কিন্তু ৬৩তম মিনিটে আবারো দৃশ্যপটে ওচোয়ো। উইলিয়ানের শট এ যাত্রায় দারুণ দক্ষতায় বারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে মেক্সিকোকে ম্যাচে রাখেন ওচোয়ো। কিন্তু একই রকম পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় গোলটিও হজম করতে হয় তাকে। বাম প্রান্ত থেকে পাল্টা আক্রমণে নেয়া নেইমারের শট ৩২ বছর বয়সী গোলরক্ষকের পায়ে লেগে দিক পাল্টে যায়। সামনেই ছিলেন কিছুক্ষণ আগেই বদলি নামা রবার্তো ফিরমিনহো। ফাঁকা জালে ঠেলে দিয়ে
এরই মাঝে পাল্টা আক্রমণে ত্রাস ছড়ায় এল ট্রাইরাও। কিন্তু তাদের শেষটা ভালো ছিল না। বিশেষ করে দক্ষ একজন স্ট্রাইকারের অভাবে ভুগেছে মেক্সিকানরা। উল্টো নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট আগে আরো একটি গোল খেয়ে বিশ্বকাপের স্বপ্ন শেষ হয় রাফায়েল মার্কুয়েজদের।
মেক্সিকোর লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসের কমতি ছিল না। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ছন্দে ফেরা ব্রাজিলের দ্যুতির সামনে তা ছিল মামুলি। বিশেষ করে একজন ফিনিশারের অভাব হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে তারা। ফলস্বরুপ টানা সপ্তমবারের মত নক-আউট পর্ব থেকে বিদায় নিতে হলো মেক্সিকানদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।