নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
মাত্রই বাঁশিতে ফু দিয়ে কিক অফের ইশারা করলেন রেফারি। অনেকেই হয়ত তখনও গ্যালারিতে নিজেদের জন্য নির্দিষ্ট সিটই খুঁজে পাননি। এরই মধ্যে দেখা হয়ে গেছে দুই গোল! দ্বিতীয় মিনিটে ডেনমার্ককে এগিয়ে দেন জার্গেনসন, তিন মিনিট বাদে মানজুকিচের গোলে সমতায় ফেরে ক্রোয়েশিয়া। রাশিয়া বিশ্বকাপের দ্রæততম গোল এবং দ্রæততম সমতায় ফেরার রোমাঞ্চ দিয়েই শুরু হওয়া ডেনিশ ক্রোয়াট ম্যাচের এই রোমাঞ্চ চললো অতিরিক্ত সময়ে, নির্ধারিত ১-১ গোলের সমতার ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। পেনাল্টি ভাগ্যে ডেনমার্ককে ৩-২ গোলে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট পায় ক্রোয়েশিয়া।
পেনাল্টি শ্যুট আউটে ডেনিশদের নেয়া তিনটি শট ঠেকিয়ে ক্রোয়াট গোলরক্ষক ভাগ বসালেন ২০০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগাল গোলরক্ষক রিকার্ডোর বিশ^কাপের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ পেনাল্টি ঠেকানোর রেকর্ডে। দিনের প্রথম ম্যাচটিও গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। যেখানে মাঠের খেলায় ১-১ গোলে ড্র থাকা ম্যাচটি ২০১০ বিশ^চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে ৪-৩ গোলে হারিয়ে শেষ আটের টিকিট কাটে স্বাগতিক রাশিয়া।
গতকাল রাতে নভগোরোদ স্টেডিয়ামে প্রথম আক্রমণেই জালের দেখা পায় ডেনমার্ক। ঘড়ির কাঁটা তখনও এক মিনিট পেরোয়নি। একটা থ্রো ইন থেকে বল পেয়ে জটলা থেকে মাটিয়াস ইয়োরগেনসেনের শট ক্রোয়েশিয়া গোলরক্ষক দানিয়েল সুবাসিচের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। এই সুবাসিচই ম্যাচ শেষে নায়ক।
চতুর্থ মিনিটে সমতা ফেরায় ক্রোয়েশিয়া। পাল্টা-আক্রমণের একটি বল বিপদমুক্ত করার চেষ্টায় হেনরিক ডালসগার্ডের শটে বল ডিফেন্ডার আ্যন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের মুখে লেগে ডি-বক্সেই থাকে। সুবর্ণ সুযোগ চলে আসে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা মারিও মানজুকিচের সামনে। খুব কাছ থেকে জাল খুঁজ নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি জুভেন্টাসের এই ফরোয়ার্ডের।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য ক্রোয়েশিয়ার চেয়ে ডেনমার্কের কাছেই বেশি নিয়ন্ত্রণ ছিল বলের। ৭২ মিনিটে পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা পলসেনের পাস থেকে ইয়োর্গেনসেন পেয়েছিলেন সুযোগ। কিন্তু তাঁর শট সরাসরি চলে যায় গোলরক্ষকের হাতে। শেষের দিকে ক্রোয়েশিয়া আবার ফিরে আসার চেষ্টা করে খেলায়। রেবিচ দূর থেকে শট নিয়েছিলেন, কিন্তু সেটা ধরে ফেলেন স্মাইকেল। রাকিটিচের শট চলে যায় পোস্টের বাইরে দিয়ে। অতিরিক্ত সময়ের সবচেয়ে নাটকীয় মুহুর্ত এলো ১১৬ মিনিটে। মদ্রিচের পাসটা রেবিচ গোল দেওয়ার আগে তাকে বক্সে ফাউল করা হয়। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি ক্রোয়াট অধিনায়ক, ঠেকিয়ে দিয়েছেন স্মাইকেল।
টাইব্রেকারও শুরু হয় নাটক দিয়ে। এরিকসেনের শট ঠেকিয়ে দেন ক্রোয়াট সুবাসিচ, আবার ক্রোয়েশিয়ার বাদেলের শট ঠেকিয়ে দিলেন স্মাইকেল।
পরের দুই শটে গোল দিলেন ডেনমার্কের সাইমন শার ও ক্রন দেলি। ক্রোয়েশিতার হয়ে গোল করলেন ক্রামারিচ ও মদ্রিচ। কিন্তু চার নম্বর পেনাল্টিতে গিয়ে আবার নাটক। এবার ডেনিশ শোন গোল করতে পারলেন না,কিন্তু স্মাইকেলও পরেরটি ঠেকিয়ে দিলেন। আর পাঁচ নম্বর পেনাল্টিতে গিয়ে এবার সুবাসিচ ঠেকিয়ে দিলেন ইয়োর্গেনসেনকে। শেষ স্পটকিক নিতে এলেন রাকিটিচ, গোল করে আনন্দে ভাসালেন দলকে। ক্রোয়েশিয়া উঠে গেল শেষ আটে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।