নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ফেভারিট পতন অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। জার্মানি, আর্জেন্টিনা, ও পর্তুগালের পর এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে স্পেনের নাম। শেষ ষোলর ম্যাচে গতকাল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মত কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে রাশিয়া।
৭৯ শতাংশ বলের দখল, এগারোশোর্ধো পাস, পোস্টে নয়টি শট- এতকিছুর পরও ১২০ মিনিটে রাশিয়ার জাল আবিষ্কার করতে পারেনি স্পেন। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ শেষ হয় ১-১ গোলে। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়েছে স্পট কিকের মাধ্যমে। সেই ভাগ্যে ৩-৪ গোলে হেসেছে রাশিয়া। স্পেনের হয়ে পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন কোকে ও ইগো আসপাস। স্বাগতিকদের হয়ে সফল কিক নেন চেরিশেভ, গলোভিন, ইগনাশেভিচ ও মলোভ। দুটি পেনাল্টি মিস করার কারণে শেষ শট নিতে হয়নি রাশিয়াকে। শেষ আটে রাশিয়ার প্রতিপক্ষ ডেনমার্ক ও ক্রোয়েশিয়ার মধ্যে বিজয়ী দল।
মাত্র ২১ শতাংশ বলের দখল নিলেও নিজেদের রক্ষণ সামলে পাল্টা আক্রমণে ক্ষণে ক্ষণে ভয় ধরিয়ে দেয় স্বাগতিকরা। স্কোরলাইনে স্পেনের পাশে যে গোলটি দেখছেন তা প্রতিপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া উপহার। পেনাল্টির সুবাদে প্রথমার্ধেই যা শোধ দিয়ে দেয় রাশিয়া। বাকি সময়ে আক্রমণের বান বইয়ে দিয়েও কোন লাভ হয়নি ফার্নান্ডো হিয়েরার দলের।
স্বাগতিকদের বিপক্ষে শুরুতেই আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় স্পেন। গতকাল মস্কোর লুজনিকি স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে এগিয়ে যায় ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ডান দিক থেকে মার্কো আসেনসিওর ফ্রি-কিক সের্গেই ইগনাশেভিচের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। রামোসকে নিয়ে মাটিতে পড়ার সময় অভিজ্ঞ এই ডিফেন্ডার পায়ে লাগে বল। এসময় কিছুই করার ছিল না রাশিয়ার গোলরক্ষক ইগর আকিনফিভের। এবারের আসরে এটি ছিল দশম আত্মঘাতী গোল। এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে স্পেনের হয়ে ইকার ক্যাসিয়াসের সমান সর্বোচ্চ ১৭ ম্যাচে অংশ নেয়ার রেকর্ড গড়েন রামোস।
এরপরও বলের দখল রেখে আধিপত্য বজায় রাখে স্পেন। কিন্তু রাশিয়া গোলরক্ষকে তেমন কোন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি কস্তা-ইসকো-সিলভারা। ৭৪ শতাংশ বলের দখল রেখেও লক্ষ্যে শটই নিতে পারে মাত্র দুবার। উল্টো ৪০তম মিনিটে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে যায় রাশিয়া। সফল পেনাল্টি শটে দলকে সমতায় ফেরান আর্তিম জুবা। আসরে এটি তার তৃতীয় গোল। ডি বক্সে জেরার্ড পিকের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়ানোয় হলুদ কার্ডও দেখতে হয় বার্সেলোনা ডিফেন্ডারকে।
দ্বিতীয়ার্ধেও খেলার ধরণ বদলায়নি। বলের দখল রেখে আধিপত্য দেখায় স্পেন, আর পাল্টা আক্রমণে যায় রাশিয়া। কিন্তু কোনভাবেই জালের দেখা মেলেনি। ৬৭তম মিনিটে ডেভিড সিলভার বদলি নামেন ইনিয়েস্তা, ৮০তম মিনিটে কস্তার বদলি আসপাস। নেমেই আকিনফিভকে পরীক্ষা নেন আসপাস। বাঁয়ে ঝাপিয়ে স্পেন নাম্বার ইলেভেনকে ফিরিয়ে দেন রাশিয়া গোলরক্ষক। স্কোরলাইনেও থেকে যায় সমতা। অতিরিক্ত সময়ের ১৯তম মিনিটে দারুণ সুযোগ তৈরী করেন বদলি খেলোয়াড় রড্রিগো। কিন্তু এবারো ডান প্রান্তের কাছ থেকে নেয়া তার শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক আকিনফিভ। ম্যাচ চলে যায় পেনাল্টি ভাগ্যে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।