Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ

চিঠিপত্র

| প্রকাশের সময় : ২ জুলাই, ২০১৮, ১২:০৬ এএম

বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি তথা এমপিওভুক্ত। একই যোগ্যতা ও অভিন্ন সিলেবাস হওয়া সত্তে¡ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীরা আজ বিরাট বৈষম্যের শিকার। যার বাস্তব উদাহরণ হলো বৈশাখী ভাতা ও ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক প্রবৃদ্ধি না পাওয়া। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মাত্র এক হাজার টাকা ও চিকিৎসাভাতা মাত্র পাঁচশ টাকা, যা বর্তমান যুগ অনুযায়ী একেবারেই বেমানান। যদিও এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি স্কেলে বেতন পান। প্রতিবেশী দেশ ভারতে সব ধরনের শিক্ষাব্যবস্থা সরকারি। ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করেন। কয়েক দশক পর দেশের সব বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় কয়েকটি ধাপে জাতীয়করণ হয়। ফলে প্রাথমিক শিক্ষায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন সময় হয়েছে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের। অনেকের মতে, মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ হলে শিক্ষার মান কমে যাবে। ধারণাটি একেবারেই ঠিক নয়। মাধ্যমিক স্তর জাতীয়করণ হলে শিক্ষা ব্যবস্থায় আর কোনো বৈষম্য থাকবে না।
মো. মোশতাক মেহেদী,
সহকারী শিক্ষক, কুষ্টিয়া



 

Show all comments
  • মোঃ রেজাউল ইসলাম। ২ জুলাই, ২০১৮, ১২:১০ পিএম says : 0
    বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারী করা হোক।এটা এখন সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে।৫% প্রবৃদ্ধি ও বৈশাখী ভাতা কেন শিক্ষকরা পাবেননা? এটা জাতী আজ জানতে চাই।একই সিলেবাস পড়িয়ে সরকারী শিক্ষকগন পান ৫০'০০০/=টাকা থেকে ৬০'০০০/=টাকা আর আমরা বেসরকারী শিক্ষকগন পাই ১৬০০০/=থেকে-২২'০০০/=টাকা।এই বৈষম্য মেনে নেওয়া যায় না।তাই আজ সময় এসেছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি মেনে নিন।আপনি যেমন প্রাইমারী বিদ্যালয়কে সরকারী করলেন আমাদেরও সেইরকম সরকারী করেনিন।
    Total Reply(0) Reply
  • ব্রজেন্দ্র নাথ গাইন ২ জুলাই, ২০১৮, ১০:৪৬ পিএম says : 0
    ঢালওভাবে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতিয়করণ করা উচিৎ নহে।ভারতে সরকারি,সাহায্যপ্রাপ্ত ও বেসরবারি এই ৩ পদের মাধ্য: স্কুল অাছে।বর্তমান শিক্ষকদের নিয়োগ জাতীয়ভাবে হয়নি,প্রতিষ্ঠাতার টাকা দিয়ে প্রায় নিয়োগ হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md.mainuddin ৪ জুলাই, ২০১৮, ১০:৫৭ পিএম says : 0
    শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয় করনে সরকারের কোন অতিরিক্ত অর্থের প্রয়োজন হবেনা প্রতিষ্টানের আয় সরকাারের কোষাগারে জমানিলে বরংচো সরকারের বিনিয়োগ যোগ্য লাভ হবে। দেশ ও জাতী উপকৃত হবে।বাস্তবায়ন হবে বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয়করণ


আরও
আরও পড়ুন