Inqilab Logo

বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চিঠিপত্র : মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের জাতীয়করণ প্রয়োজন

প্রকাশের সময় : ১৭ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমেরিকায় শিক্ষকরা ভিআইপি মর্যাদাপ্রাপ্ত। ফ্রান্সের আদালতের চেয়ারগুলো শুধু শিক্ষকদের জন্যই শোভা পায়। আর বাংলাদেশে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৯৭ ভাগ বেসরকারি শিক্ষক রাষ্ট্রীয় মর্যাদা তো দূরের কথা তারা যে মাসিক বেতন-ভাতা সর্বসাকূল্যে পেয়ে থাকেন তা চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি কর্মচারীর বেতনের সমপরিমাণও নয়। আজ সময় এসেছে এই অসঙ্গতির মূলে কুঠারাঘাত করার। অবশ্য পরিবর্তনে বিশ্বাসী আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাধ্যমিক স্তর জাতীয়করণের ব্যাপারে ইতোমধ্যেই ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। আমরা বাংলাদেশের লাখ লাখ শিক্ষক এই সম্ভাবনার বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
মো. হাবিবুর রহমান
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), নিশ্চিন্তপুর ঝউঝউচ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, তজুমদ্দিন, ভোলা।

বাস্তবতা থেকে ইসির শিক্ষা নেওয়া উচিত
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রথম তিন ধাপ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এই নির্বাচন অনুষ্ঠানে আগের কয়েক দিনে, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন সংক্রান্ত বিবাদে মোট জীবনহানি ঘটেছে বহুশোকের। সারাদেশে জখম হয়েছে হাজারেরও বেশি মানুষ। এ ব্যাপারে আইনগত দায় নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু শুরু থেকেই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছিল তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর তরফ থেকে নানা ধরনের আশঙ্কার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু কমিশন বরাবরের মতোই পুরো পরিস্থিতি আমলে না নিয়ে এড়িয়ে গিয়েছিল। বলা যায়, তারে সিদ্ধান্তেই অটল থেকেছে। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্র পাহারায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা না বাড়িয়ে বরং কমিয়ে দিয়ে কেন্দ্রগুলোকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছিল, যা পেশি শক্তিধরদের উৎসাহিত করার কথা। আগামী পর্বের নির্বাচনগুলোতে যদি নির্বাচন কমিশন তার বর্তমান সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসে তা হলে পেশিশক্তির আরো বিস্তার ঘটতে পারে, বাড়তে পারে প্রাণহানির সংখ্যা। নির্বাচন কমিশন যাতে বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নেয় জনগণ সেটাই আশা করে।
মো. রেদোয়ান হোসেন
বঙ্গবন্ধু টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, টাঙ্গাইল।

কাকিনা গ্রামে চোরের উপদ্রব
লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা গ্রামে এক মাস ধরে প্রতি রাতে তিন-চার বাড়িতে চোরেরা হানা দিচ্ছে। কখনো কখনো বাড়ির লোকজন টের পেলেও চোরের দল বাড়ির লোকজনদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এবং কখনো খুন জখম করে জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশিং কমিটিকে বার বার বলেও কোনো ফল হচ্ছে না।
মো. শহীদুর রহমান
কাকিনা, লালমনিরহাট।

মায়ের ভালোবাসা নিখুঁত
মা ছোট্ট একটি শব্দ। কিন্তু এর মর্মার্থ অনেক। এই মা মানবজাতির এক শ্রেষ্ঠ সম্পদ। পৃথিবীর সকল ভালোবাসা মায়ের ভালোবাসার কাছে একেবারে তুচ্ছ। গায়ের চামড়া কেটে পাপশ বানালেও মায়ের ঋণ কখনো শোধ হবে না। অথচ ছেলের হাতে মা লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। যে সন্তান মাকে অপমান করতে পারে সে নরপশু। সন্তান জীবিত থাকার পরেও যে মাকে বৃদ্ধাশ্রমে আশ্রয় নিতে হয় সে সন্তান মানবজাতির কলঙ্ক। একজন মা এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। এই নেয়ামতকে অপমান ও অবহেলা করার প্রশ্নই আসে না। মাকে অপমান ও অবহেলা করার শাস্তির বিধান করা অত্যন্ত জরুরি। শাস্তি মাকে নিরাপদ রাখার ব্যবস্থা করবে। তাই আসুন, মাকে হৃদয়ের গভীরতা দিয়ে ভালোবাসি। মাকে সম্মানে রেখে মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসাবে পৃথিবীতে নিজের মুখ উজ্জ্বল করি।

মোঃ আজিনুর রহমান লিমন
ডিমলা, নীলফামারী।

কাজীপাড়ায় পানির জন্য হাহাকার
রাজধানীর মিরপুরের পশ্চিম কাজীপাড়ার বসুন্ধরা গলিতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে পানির সংকট। মাঝে-মধ্যে যৎসামান্য পানি আসামাত্রই বাসিন্দাদের মধ্যে কাড়াকাড়ি শুরু হয়। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা গ্রাহকরা চাতক পাখির মতো তাকিয়ে থাকে কখন ওয়াসার লাইনে পানি পাওয়া যাবে। রান্নাবান্না তো দূরের কথা খাবার পানিটুকুও পাওয়া যায় না। অন্য এলাকায় আত্মীয়স্বজনের বাসায় গিয়ে ৩/৪ দিন অন্তর গোসল সারলেও অতীব জরুরি প্রাকৃতিক কাজ সারাও দুরূহ হয়ে পড়েছে। মাঝে-মধ্যে ওয়াসার ছোট ছোট ট্রলি কিংবা ভ্যানে পানি এলে এলাকাবাসী হুমড়ি খেয়ে পড়ে। ওয়াসার স্থানীয় কার্যালয়ে অভিযোগ করেও ফলপ্রসূ কোনো সমাধান কিংবা দৃশ্যমান কোনো কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়নি। তাই আমরা এলাবাসাী জরুরি ভিত্তিতে পানির এই হাহাকার দূর করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. আবদুল বাসেত আকন
কাজীপাড়া, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চিঠিপত্র : মাধ্যমিক শিক্ষা স্তরের জাতীয়করণ প্রয়োজন
আরও পড়ুন