নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
গত দুই বিশ্বকাপে গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আসর শুরু করা ইতালি ও স্পেনকে। এবার একই ভাগ্য বরণ করতে হল বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। বাঁচা-মরার ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরে রাশিয়া বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো জোয়াকিম লো’র দল। ১৯৩৮ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্ব থেকে বিদায় নিলো চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। একই সময়ে অনুষ্ঠেয় ‘এফ’ গ্রæপের অপর ম্যাচে মেক্সিকোকে ৩-০ গোলে হারায় সুইডেন। ফলে তিন ম্যাচে দুই জয়ে গ্রæপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক আউট পর্বে উঠল সুইডেন, রানার্স আপ হয়ে মেক্সিকো। অনুমিতভাবেই প্রথমার্ধে ছড়ি ঘোরায় জার্মানি। কিন্তু হতাশ হতে হয় দুই দলকেই। প্রথম সহজ গোলের সুযোগ তৈরী করে দক্ষিন কোরিয়া। ম্যাচের অষ্টাদশ মিনিটে মিডফিল্ডার জুং উ ইয়ংয়ের ফ্রি কিক জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল নয়্যারের হাত ফস্কে বেরিয়ে যায়। তবে ছুটে গিয়ে হিয়ুং মিন বলের নাগাল নেয়ার আগেই ফিস্ট করে বল সাইডলাইনে পাঠিয়ে দেন নয়্যার। জার্মানরা সহজ সুযোগ পায় ৩৯তম মিনিটে। কর্নার থেকে কাট ব্যাকে বল পান ম্যাটস হুমেলস। কাছ থেকে নেয়া তার শট ফিরিয়ে দেন দক্ষিন কোরিয়া গোলরক্ষক চু হিয়ুং য়ু। ১৯৮৬ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপের গ্রæপ পর্বের তিন ম্যাচেই প্রথমার্ধে গোল করতে ব্যর্থ হয়।
একই সময়ে একাতেরিনবুর্গে অনুষ্ঠেয় মেক্সিকো সুইডেন ম্যাচ প্রথমার্ধে ছিল নিরুত্তাপ গোলশূন্য ড্র।
দ্বিয়ার্ধের শুরু থেকেই খেলার গতি বাড়ায় জোয়াকিম লো’র দল। দ্বিতীয় মিনিটের মাথায় গোরেৎসার হেড দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক য়ু। ৫১তম মিনিটে বিপজ্জনক জায়গায় বল পেয়েও ভলিটা লক্ষে রাখতে পারেননি ভের্নার। জার্মানরা যখন একের পর এক গোলের হতাশায় কাতর, ঠিক তখন একাতেরিনবুর্গে গোল উৎসব শুরু করেছে সুইডিশরা। মেক্সিকোর ডি বক্সে অরক্ষিত অবস্থায় ছিলেন আগুস্তিনসন। ডিফেন্সের মাথার উপর দিয়ে বাড়ানো ক্লিসনের অসাধারণ লুপ বাঁ-পায়ের ভলিতে ডান কর্নার দিয়ে জালে পাঠান ২৪ বছর বয়সী ডিফেন্ডার। জার্মান স্বপ্নের সলীল সমাধী ঘটে এর দশ মিনিট পর। অধিনায়ক আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্টের সফল পেনাল্টি কিকে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় সুইডেন। ঘড়িতে মিনিটের কাটা ১২ বার না ঘুরতেই আরো একটি গোল খেয়ে বসে মেক্সিকো। এবার বিপদমুক্ত করতে গিয়ে বল নিজেদের জালেই পাঠিয়ে দেন এডসন আলভারেজ। ওদিকে ওজিল-ক্রুস-কিমিচরা তখনও একটি গোলের জন্য হণ্যে হয়ে ঘুরছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রক্ষণে। বলের দখল রেখে একের পর এক আক্রমণ শানিয়েও জাল আবিষ্কার করতে পারেননি মুলার-কিমিচরা। নির্ধারিত সময়ের তিন মিনিট আগে ওজিলের ক্রস নাগালে পেয়েও হেডটা লক্ষে রাখতে পারেননি হুমেলস। এরই মাঝে বেশ ক’বার প্রতি আক্রমণে আতঙ্ক ছড়ায় এশিয়ার দলটি। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে জটলার মধ্য থেকে বল জালে পাঠিয়ে দক্ষিণ কোরিয়াকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন কিম ইয়াং-গন। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে শেষ সময়ে কোরিয়ার ডি বক্সে চলে আসেন জার্মান গোলরক্ষক নয়্যারও। নয়্যারকে কাটিয়েই লম্বা ভলিতে বল বাড়িয়ে দেন জু সে-জং। সেই বল ধরে ফাঁকা জালে বল পাঠিয়ে দেন সন হিউং-মিন। বিশ্বকাপ স্বপ্ন চূর হয় জার্মানদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।