পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
ফিলিস্তিনের বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলের মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। বুধবার আলজেরিয়া, তুরস্ক ও ফিলিস্তিনের আনা নিন্দা প্রস্তাবটি ১২০ ভোটে গৃহীত হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলসহ আটটি দেশ প্রস্তাবটির বিপক্ষে ভোট দেয়; ভোটদানে বিরত ছিল ৪৫টি রাষ্ট্র। প্রস্তাবে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুতেরেসকে ফিলিস্তিনের দখল হওয়া অঞ্চলে ‘আন্তর্জাতিক সুরক্ষা ব্যবস্থাপনা’ গড়ে তোলার সুপারিশ প্রণয়নেও অনুরোধ করা হয়েছে। চলতি মাসে একই ধরনের একটি প্রস্তাব ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে উঠলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভিটোর কারণে তা বাতিল হয়ে যায়। বুধবারের প্রস্তাবে গাজা থেকে ইসরাইলের বেসামরিক এলাকার দিকে রকেট ছোড়ার নিন্দা জানানো হলেও ফিলিস্তিনের গুরুত্বপূর্ণ এ এলাকাটির নিয়ন্ত্রক হামাসের নাম উল্লেখ করা হয়নি। সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব মানতে আইনী বাধ্যবাধকতা না থাকলেও এর রাজনৈতিক মূল্য আছে বলে মন্তব্য রয়টার্সের। “প্রস্তাবের প্রকৃতিতে স্পষ্ট প্রতীয়মান হয়, রাজনীতিই আজকের দিনগুলোকে পরিচালনা করছে। এটি (প্রস্তাব) পুরোপুরি একপেশে। এতে একবারও হামাসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনের নাম বলা হয়নি, যারা ধারাবাহিকভাবে গাজায় সহিংসতা উসকে দিচ্ছে,” ভোটাভুটির আগে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর উদ্দেশ্যে বলেন জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি। হামাসের সহিংসতাকে নিন্দা জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবে একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত ওই চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়। “প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আপনারা সন্ত্রাসী একটি সংগঠনের সঙ্গে গোপন অশুভ আঁতাতের অংশীদার হচ্ছেন; প্রস্তাবের পক্ষে থেকে আপনারা হামাসকে ক্ষমতায়িত করছেন,” ভোটের আগে বলেন জাতিসংঘে ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ডানন। যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের পাশাপাশি প্রস্তাবের বিপক্ষে অবস্থান ছিল অস্ট্রেলিয়া, মার্শাল আইল্যান্ডস, নাউরু, মাইক্রোনেশিয়া, সলোমন আইল্যান্ডস ও টোগোর। এর আগে গত ১ জুন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কুয়েতের খসড়াকৃত একটি প্রস্তাবে ভেটো দেয় যুক্তরাষ্ট্র। ওই প্রস্তাবে ফিলিস্তিনি বেসামরিক জনগণের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের নিন্দা জানানো হয়েছিল। সেই প্রস্তাবটিকেও একপেশে আখ্যা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। এবারের মতোই বলা হয়েছিল, প্রস্তাবটি সা¤প্রতিক সহিংসতার জন্য হামাসকে দায়ী করতে ব্যর্থ হয়েছে। রয়টার্স, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।