মটর সাইকেল: নিউ নরমাল পরিস্থিতিতে (নতুন বাস্তবতায়)
মটরসাইকেল নিরাপদ, অধিক সুবিধাজনক, খরচ এবং সময় বাঁচায়। গণপরিবহনে একে অন্যের গা ঘেঁষে চলাচলে প্রতিদিন
মাওলানা এইচ এম গোলাম কিবরিয়া রাকিব
মর্যাদার বিবেচনায় ইসলামে সকল মানুষ সমান, ধর্মÑবর্ণÑভাষাÑগোত্র নির্বিশেষে। পুরুষ, নারী ও শিশু সকল শ্রেণির মানুষের জন্যই ইসলামে রয়েছে কল্যাণ, শান্তি ও মুক্তির বাণী। শৈশবকাল মানব জীবনের মূল ভিত্তি
এবং শিশুরা জাতির ভবিষ্যৎ। ইসলাম শৈশবকালের প্রতি যথাযথ গুরুত্ব আরোপ করেছে শিশুর জন্ম, তার খাদ্য, লালনÑপালন, জীবনের নিরাপত্তা, শিক্ষাদীক্ষা ও স্বাস্থ্যরক্ষা ইত্যাদি বিষয় কুরআনÑহাদীসে আলোচিত হয়েছে।
পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন বংশ বা জন্মসূত্র : শিশুর বংশধারার বৈধতার লক্ষ্যে ইসলাম বিবাহের প্রচলন করেছে। সন্তান লাভের জন্য শরীয়াতের বিধানমতে মুসলমান নারীÑপুরুষের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া একান্ত বাধ্যতামূলক, যাতে তার জন্মসূত্র নিয়ে কেউ কটাক্ষ করতে না পারে। দাম্পত্য বন্ধন পরিবারের মূল ভিত্তি। অজ্ঞতার যুগে সন্দেহনজনক পিতৃত্ব নিয়ে কোন কোন হতভাগ্য শিশুকে চলতে হতো। একাধিক ব্যক্তি একটি শিশুর পিতা বলে দাবি করতো। দাবির সমর্থনে তারা যুত্তিও পেশ করতো।
শিশুর প্রাথমিক খাদ্য : সদ্য ভূমিষ্ঠ শিশুকে দুধপান করানো মাতার অপরিহার্য নৈতিক কর্তব্য। পবিত্র কোরআনে শিশুকে মায়ের দুধপানের বিষয়ে বহু নীতিমালার উল্লেখ হয়েছে। আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন : “যে সমস্ত জননী দুধপান করানোর মেয়াদ পূর্ণ করতে চায় তারা নিজেদের সন্তনদেরকে পুরো দু’বছর দুধ পান করাবে”(সূরা বাকারা : ২৩৩)। কোরআনের নির্ধারিত সময়সীমা তথা দু’বছর পূর্ণ হওয়ার আগে কেউ চাইলে দুধ ছাড়িয়ে নিতে পারবে। তবে শর্ত থাকবে যে, এতে স্বামীÑস্ত্রীর পারস্পরিক আলোচনার পর দুধ ছাড়িয়ে নিলে দুগ্ধপায়ী শিশুর কোন ক্ষতি হবে না এ মর্মে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
শিশুরা বরকত ও কল্যাণ লাভের উপায় : রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন : “যদি দুধের শিশুরা, থুরথুরে বুড়োরা এবং গৃহপালিত পশুরা তোমাদের মধ্যে না থাকতো, তাহলে অচিরেই তোমাদের উপর কঠিন শাস্তি নেমে আসতো।” “সৎ সন্তান বেহেশতের ফুল।” সুতরাং শিশু সন্তান নিজের হোক বা অন্যের হোক তাদের অবজ্ঞা করা, তুচ্ছÑতাচ্ছিল্য করা মোটেও সংগত নয়।
শিশুর কানে আযান দেয়া : কন্যা সস্তান বা পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করার পর যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব তার ডান কানে আযান ও বাম কানে ইকামত দিতে হবে। আবু রাফে‘(রা) বলেন, “হযরত ফাতেমা ও আলী (রা)Ñএর পুত্র হাসান (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর রাসূলুল্লাহ্ (সা.) তার কানে আযান দিয়েছেন।” হযরত হাসান ইবনে আলী (রা.) বলেন, মহানবী (সা.) বলেছেন, কোনো পরিবারে শিশু সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দিলে সে মৃগীরোগে আক্রান্ত হয় না “(বায়হাকী ও ইবনুস সুন্নী)। আবদুল্লাহ্ ইবন আব্বাস (রা.) বলেন, “হযরত হাসান (রা.) জন্মগ্রহণ করার পর রাসূলুল্লাহ্ (সা.) তার ডান কানে আজান এবং বাম কানে ইকামত দিয়েছেন”।
শিশুর নামকরণ, মাথা কামানো ও আকীকা করা : শিশুর জন্মের সপ্তম দিন তার একটি সুন্দর ও অর্থপূণ নাম রাখতে হবে, মাথার চুল কামাতে হবে, সামর্থ্য থাকলে ঐ চুলের ওজনের সমপরিমাণ সোনা বা রূপা দানÑখয়রাত করতে হবে আকীকা হবে। হযরত সামুরা ইবন জুনদুব (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, “প্রত্যেক শিশু তার আকীকার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব তার জন্মের সপ্তম দিন তার পক্ষ থেকে পশু যবেহ করতে হবে, তার মাথার চুল কামাতে হবে এবং তার নাম রাখতে হবে”(সুনান আবু দাউদ)।
খতনা করানো : পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া কেটে ফেলাকে খতনা বলে। এটা নবীÑরাসূলগণের স্থায়ী সুন্নাত। আবু আইউব আনসারী (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, “চারটি বিষয় নবীÑরাসূলগণের সুন্নাত : খাতনা করা, আতর ব্যবহার করা, মেসওয়াক (দাতন) করা এবং বিবাহ করা” (মুসনাদ আহমাদ)।
শিশুদের শিক্ষার সূচনা : শিশুরা কথা বলতে শুরু করলে প্রথমেই তাদের লেখাÑপড়ার সূচনা করতে হবে আল্লাহ্র নামে। আল্াহ্ তা’আলা বলেন, “পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি তোমায় সৃষ্টি করেছেন”(সূরা আলাক:১)। হযরত আবদুল্লাহ্ ইব্ন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, “তোমরা সর্বপ্রথম তোমাদের শিশুদের কলেমা ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু’ (আল্লাহ্ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই) শিক্ষা দাও” (আলÑমুসতাদরাক লিলÑহাকেম)। শিশুরা হচ্ছে জীবনের আশার ফসল, চোখ জুড়ানো ধন, উম্মাতের প্রস্ফুটিতব্য ফুল। মানবতার ভবিষ্যৎ তার উপর নির্ভরশীল এবং জাতির অস্তিত্ত্ব ও মর্যাদাকে সংরক্ষিত রাখার মাধ্যম।
অভিভাবকের কর্তব্য হলো : ১. সাত বছর বয়স শুরু হলেই শিশুদের নামায পড়তে অভ্যস্ত করতে হবে; ২. দশ বছর বয়স শুরু হওয়ার পরও নামায পড়ায় শিথিলতা লক্ষ করলে তাদেরকে উপদেশ দিয়ে, নির্দেশ দিয়ে এবং শাসন করে নামাযে অভ্যস্ত করতে হবে এবং ৩. মাতাÑপিতার বিছানা থেকে তাদেরকে ভিন্ন বিছানায় শোয়াবে এবং ছেলে ও মেয়ের বিছানাও পরস্পর পৃথক করে দিতে হবে।
শিশুদের কোরআন শিক্ষা দেয়া : বিশেষ করে নামাজ পড়তে হলে কোরআন মাজীদের কিছু সূরা অবশ্যই মুখস্থ করতে হয়। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) শিশুকাল থেকে কোরআন পড়া শিখানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। নবী (সা.) বলেন, “তোমাদের সন্তানদের তিনটি গুণে গুণান্বিত করো- (১) তোমাদের নবীর প্রতি ভালোবাসা, (২) তার পরিবার ও বংশধরের প্রতি ভালোবাসা এবং (৩) কোরআন তিলাওয়াত শিক্ষা দেয়া। কেননা কোরআনের জ্ঞান বহনকারী আল্লাহ্র আরশের ছায়ায় অবস্থান করবে- যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া বিদ্যমান থাকবে না”।
শিশুদের সাথে সদয় ব্যবহার : বিভিন্ন সময় শিশুরা আমাদের বিভিন্নরূপ সেবা দিয়ে থাকে। তাদের সাথে সদয় ব্যবহার করতে হবে। হযরত আনাস ইবন মালেক (রা.) বলেন, “আমি মদীনায় দশ বছর যাবত মহানবী (সা.)-এর খেদমত করেছি। তখন আমি ছিলাম বালক। সাব কাজ তিনি আমাকে দিয়ে করাতে চাইতেন আমি সেভাবে করতে পারতাম না। তিনি তাতে কখনো আমার প্রতি বিরক্তি প্রকাশ করেননি। তিনি কখনো আমাকে অভিযুক্ত করেননি যে, তুমি এটা কোনো করেছো অথবা কেনো এটা করলে না” (আবু দাঊদ)। “একদিন তিনি আমাকে তার একটি প্রয়োজনে পাঠালেন। আমি পথিমধ্যে বাজারে একদল বালককে খেলাধুলা মশগুল দেখলাম। আমিও তাদের সাথে খেলায় মেতে গেলাম। আমার ফিরে আসতে বিলম্ব হওয়ায় রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আমার খোঁজে বের হলেন। পিছন দিক থেকে এসে রাসূলুল্লাহ্ (সা.) আমার ঘাড়ে হাত রাখলেন। আমি পিছনে ফিরে দেখলাম, তিনি হাসছেন। তিনি বললেন, হে উনাইস! তোমাকে যেখানে যেতে বলেছি সেখানে যাও। তিনি আমার ত্রুটির জন্য কখনো আমাকে অভিযুক্ত করেননি” (আবু দাউদ)।
খেলাধুলায় উৎসাহদান : শিশুরা সাধারণত আমোদপ্রিয়। খেলাধুলা তাদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহ যোগাতেন। আয়েশা (রা.) বলেন, “তুলা দিয়ে তৈরি আমার পুতুলগুলো ঘরের তাকে সাজানো ছিল। তার মধ্যে দুই পাখাবিশিষ্ট একটি ঘোড়াও ছিলো। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, এগুলো কী? আমি বললাম, আমার খেলার পুতুল। তিনি আবার জিজ্ঞেস করলেন, দুই পাখার ওটা কী? আয়েশা (রা.) বলেন, ঘোড়া। তিনি বললেন, পাখাওয়াল এ আবার কেমন ঘোড়া! আমি বললাম, আপনি কি শোনেননি, হযরত সুলায়মান (আ.)-এর ঘোড়ার অনেকগুলো পাখা ছিল? এ কথায় রাসূলুল্লাহ্ (সা.) এমনভাবে হেসে দিলেন যে, আমি তার সামনের পাটির দাঁতগুলো দেখতে পেলাম” (আবু দাউদ)। ঊল্লেখ্য যে, আয়েশা (রা.)র ছয় বয়সে রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর সাথে বিবাহ হয়েছিল এবং তার নয় বছর বয়সে তাকে নিজ সংসারে তুলে নেন।
শিশুদের সালাম দেয়া : পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতে সালাম বিনিময় ইসলামী সভ্যতা-সংস্কৃতি ও শিষ্টাচারের অপরিহার্য অংশ। মহান আল্লাহ্ বলেন: “যখন তোমাদের অভিবাদন করা হয় (সালাম দেয়া হয়) তখন তোমরাও তার চেয়ে উত্তমরূপে অভিবাদন জানাবে অথবা তার অনুরূপ” (সূরা নিসা : ৮৬)।
শিশুর সাথে কৃত ওয়াদা রক্ষা করা : শিশুর প্রতি যতœবান হওয়া, তাদের আদর-স্নেহ করা এবং তাদের দাবি পূর্ণ করা অভিভাবকের কতব্য। আল্লাহ্র রাসূল (সা.) বলেন : “তোমার শিশুদেরকে ভালবাস এবং তাদের প্রতি দয়া প্রদর্শন কর। তাদের সাথে কোন ওয়াদা করলে তা পূর্ণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকেই তাদের রিযিক সরবরাহকারী মনে করে।” মহানবী (সা.) শিশুদের গভীর মমতা দিয়ে ভালবাসতেন। তিনি শিশুদের জগৎকে চিহ্নিত করেছেন। বেহেশতের নিকটবর্তী একটি জগৎ হিসেবে। তাঁর ভাষায়: “শিশুরা হচ্ছে বেহেশতের পতর্ঙ্গ (প্রজাপতি) তুল্য।” নবীজী (সা.) কখনো শিশুদের ক্রন্দন শুনতে পেলে নামাজ সংক্ষিপ্ত করে দিতেন এবং বলতেন, “আমি চাই না যে, তার মায়ের কষ্ট হোক।” তিনি বলেনÑ “যে ব্যক্তি আমাদের ছোটদের প্রতি দয়া প্রদর্শন করে না আর বড়দের অধিকার সম্পর্কে সচেতন নয়, সে আমাদের মধ্যে শামিল নয়।” ইবাদতে অভ্যস্ত করার প্রশিক্ষণদান : সময়মত শিশুদেরকে নামাজ শিক্ষা দেয়ার প্রতি অভিভাবকদের হাদীছ শরীফে তাকীদ দেয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন : “তোমাদের সন্তানেরা যখন সাত বছরে উপনীতে হয় তখন তাদেরকে নামাজ পড়ার নিদের্শ দাও। আর দশ বছর বয়স হলে তাদেরকে নামাজের জন্য শাসন কর ও তাদের বিছানা পৃথক করে দাও” (আবু দাউদ)।
ভদ্রতা ও নৈতিকতা শিক্ষা দেয়া : শিশু সন্তানদের ভদ্রতা ও শিষ্টাচার শিক্ষা দেয়ার প্রতি মনোযোগী হওয়া পিতা-মাতার অপরিহার্য কর্তব্য। এ কর্তব্যকে ইসলাম অত্যধিক গুরুত্ব দান করে। রাসলুল্লাহ (সা.) বলেন : “নিজেদের সন্তানদের স্নেহ কর এবং তাদের ভাল ব্যবহার শিখাও।” “সন্তানদের সদাচার শিক্ষা দেয়া দান-খয়রাতের চেয়েও উত্তম।” “(আখেরাতে) ওজনদ-ে উত্তম চরিত্র-নৈতিকতার চেয়ে অধিক ওজনদার আর কোনো কিছু হবে না” (আবু দাঊদ)। কন্যা সন্তানকে অগ্রাধিকার দান : মহানবী (সা.) বহু স্থানে ছেলে ও মেয়ের মধ্যে পার্থক্য করতে এবং মেয়েদের উপর ছেলেদের অহেতুক প্রাধান্য দিতে নিষেধ করেছেন। এভাবে তিনি মেয়েদের জীবনের অনুভূতিকে উচ্চাসন দান করেছেন এবং তাদের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন জীবনের মূল্যবোধ। তিনি বলেন : “তোমাদের সন্তানদের মধ্যে উত্তম সন্তান হচ্ছে মেয়েরা।” ফাতিমা (রা)-র জন্মের সুসংবাদ কারো চেহারায় এক ধরনের বিষণœœতার ভাব বিরাজ করছিল। মহানবী (সা.) তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, “তোমাদের কি হলো? তোমরা এত বিষণœœ কেন? সে তো জান্নাতের এক পুষ্পবিশেষ, আমি এর সুগন্ধি পাচ্ছি। তার রিযিকের দায়িত্ব তো আল্লাহ্র হাতে।” তিনি ঘোষণা করেছেন : “যে ব্যক্তি বাজারে গিয়ে উপহার সামগ্রী খরিদ করে তার সন্তানদের জন্য বহন করে বাড়ি নিয়ে এল, তার এ কাজ দুর্ভিক্ষপীড়িত লোকদের কাছে সাহায্য সামগ্রী বহন করে নিয়ে যাওয়ার মত মর্যাদাপূর্ণ। লোক যেনো ছেলে সন্তানের আগে মেয়েদের উপহার সামগ্রী দান করে।”
কন্যা সন্তানের পিতা-মাত সৌভাগ্যশালী : আল্লাহ্র রাসূল (সা.) বলেন, “যে ব্যক্তি তিনটি কন্যা সন্তান অথবা বোনকে লালন-পালন করবে, তার জন্য জান্নাত অপরিহার্য। জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহ্র রাসূল! দু’টি কিংবা একটিকে লালন-পালন করলে? তিনি উত্তর দিলেন, একটিকে করলেও।” রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন : “যে ব্যক্তি দুটি কন্যা সন্তান লালন-পালন ও ভরণ-পোষণ করেছে তার জন্য বেহেশত অবধারিত।” তিনি আরও বলেছেন, “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যার প্রথম সন্তান মেয়ে।”
ষ লেখক : শিক্ষক, খতিব ও প্রাবন্ধিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।