পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
মধুপুর গড়ের বানর
টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর গড় একটি জীববৈচিত্র্যময় দর্শনীয় স্থান। এ বনে প্রচুর গজারি বা শালবৃক্ষ থাকায় এ বনকে শালবনও বলা হয়। প্রায় ৫০ বছর আগে এই বনে বাঘ, সিংহ, ময়ূর, চিতাবাঘসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী দেখা যেত। কিন্তু বর্তমানে কিছু বানর, শিয়াল, গুইসাপ ও কয়েক প্রজাতির পাখি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণী চোখে পড়ে না। বড় বড় বৃক্ষেরও দেখা মেলে না। ১৯৬২ সালে এ বনকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৮২ সালের জরিপ অনুযায়ী এ বনের আয়তন ৮৪৩৬ হেক্টর। কিন্তু বর্তমানে বনখেকোদের কারণে এ বনের আয়তন অর্ধেকে নেমে এসেছে। বন ধ্বংসের ফলে প্রাণীগুলো বিলুপ্তির পথে। মধুপুর গড়ের ভেতর দিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়ক চলে গেছে। গাড়িচালকদের বেপরোয়া ড্রাইভিংয়ের ফলে রাস্তা পার হওয়ার সময় অনেক বন্যপ্রাণীর মৃত্যু ঘটছে। বন উজাড়ের ফলে প্রয়োজনীয় খাবার না থাকায় বানরগুলো দর্শনার্থীদের ওপর নির্ভরশীল। ধীরে ধীরে বানরের সংখ্যা কমছে। পর্যাপ্ত খাদ্যের অভাব, বন উজাড়, বেপরোয়া ড্রাইভিং ও শিকারিদের কারণে প্রাণীগুলো বিলুপ্তির পথে। এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর বন্যপ্রাণীগুলো বিলীন হয়ে যাবে। লহরিয়া বিটে সংরক্ষণে অনেক হরিণ দর্শনার্থীদের মন কেড়ে নেয়। বানরগুলোকে সরকারিভাবে খাবার প্রদানের ব্যবস্থা করলে বিলুপ্তির হাত হতে রক্ষা করা সম্ভব। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন, বানরকুলকে বাঁচাতে জরুরি পদক্ষেপ নিন, পরিবেশ রক্ষা করুন।
মুন্নাফ হোসেন
সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি), মোহাম্মদনগর উচ্চ বিদ্যালয়, ময়মনসিংহ
ঈশ্বরদী বিমানবন্দর কবে চালু হবে
ঈশ্বরদী শহরে ৪৩৬ দশমিক ৬৫ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত হয়েছিল একটি বিমানবন্দর। ১৯৬৫ সালে বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। বর্তমানে অবশ্য মাত্র ৭০ একর জায়গা অবশিষ্ট আছে। শুরুতে ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত দুটি ফ্লাইট ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৭২ সালে সংস্কার করে এটি আবার চালু করা হয়। ১৯৮৭ সালে লোকসানের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বেশ কয়েক দফা চালু ও বন্ধ হয়েছে। সর্বশেষ বন্ধ হয় ২০১৪ সালে। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেল, কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবেই নয়, বিমানবন্দর তাদের কাছে এলাকার একটি গর্বের বিষয়ও। সবাই চান, দ্রুত এটি চালু করা হোক। ঈশ্বরদীতে অবস্থানরত রুশসহ বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক বিদেশি বিমান ভ্রমণ করতে না পেরে প্রতিনিয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। নানা কারণেই ঈশ্বরদীর এই বিমানবন্দরটি আবারও চালু হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছে ঈশ্বরদীবাসী, যাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর অতিশিগগিরই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এস এম সাইদুর রহমান উলু, স্কুলপাড়া, এয়ারপোর্ট রোড, ঈশ্বরদী, পাবনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।