পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
ঈশ্বরদী বিমানবন্দর কবে চালু হবে
ঈশ্বরদী শহরে ৪৩৬ দশমিক ৬৫ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত হয়েছিল একটি বিমানবন্দর। ১৯৬৫ সালে বিমান চলাচল শুরু হয়েছিল। বর্তমানে অবশ্য মাত্র ৭০ একর জায়গা অবশিষ্ট আছে। শুরুতে ঢাকার সঙ্গে নিয়মিত দুটি ফ্লাইট ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় বিমানবন্দরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৯৭২ সালে সংস্কার করে এটি আবার চালু করা হয়। ১৯৮৭ সালে লোকসানের কারণে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে বেশ কয়েক দফা চালু ও বন্ধ হয়েছে। সর্বশেষ বন্ধ হয় ২০১৪ সালে। ঈশ্বরদীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে দেখা গেল, কেবল যোগাযোগ ব্যবস্থা হিসেবেই নয়, বিমানবন্দর তাদের কাছে এলাকার একটি গর্বের বিষয়ও। সবাই চান, দ্রুত এটি চালু করা হোক। ঈশ্বরদীতে অবস্থানরত রুশসহ বিভিন্ন দেশের তিন শতাধিক বিদেশি বিমান ভ্রমণ করতে না পেরে প্রতিনিয়ত অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। নানা কারণেই ঈশ্বরদীর এই বিমানবন্দরটি আবারও চালু হওয়া বিশেষ প্রয়োজন। প্রধানমন্ত্রীর সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছে ঈশ্বরদীবাসী, যাতে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর অতিশিগগিরই চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
এস এম সাইদুর রহমান উলু
স্কুলপাড়া, এয়ারপোর্ট রোড, ঈশ্বরদী, পাবনা।
জনভোগান্তি কমান
নগর-মহানগর, সড়ক-মহাসড়ক, সবখানেই উন্নয়ন হচ্ছে। রাস্তাঘাট, কালভার্ট, কাঁচা রাস্তা নির্মিত হচ্ছে। বড় বড় ওভারব্রিজ হচ্ছে। রাস্তার দু’ধারে নালা-নর্দমা পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ হচ্ছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানে এখন খোঁড়াখুঁড়ি চলছে ওয়াসার লাইন বসানোর জন্য। সারা বছরই কোনো না কোনোভাবে রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি চলে। নগরবাসীকে সেবা দিতে চট্টগ্রামের নগর প্রশাসন, সিডিএ উন্নয়ন কর্মসূচি চালাবে; এতে দোষের কিছু নেই। নগরীর একটা উন্নয়ন কর্মসূচি শেষ হলে আরেকটা সেবা প্রতিষ্ঠান সেখানে কাজ শুরু করে। ওয়াসার কাজ শেষ হলে টেলিফোন লাইনের কাজ শুরু হয়। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে বছর পূর্বে। এ কাজের সঙ্গে সমন্বয় করে ওয়াসা তার কাজ করেনি। এখন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বিশাল গর্ত করে কাজ করা হচ্ছে। এ কাজের গাড়ি আর সরঞ্জামের কারণে অর্ধেক রাস্তা দখল হয়েছে। এদিকে ধুলাবালিতে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁঁকিতে নগরবাসী। ধুলাবালির যন্ত্রণায় সব বয়সের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। সর্দি-কাশি, পেটের পীড়াসহ শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এসব বিষয়ে নগর উন্নয়ন কর্মকর্তাদের কোনো গরজ দেখা যায় না। কখন উন্নয়ন কর্মকান্ড শুরু হবে; কবে নাগাদ এ শেষ হবে- এসব বিষয়ে নগরবাসী অবগত নয়। নগরবাসীকে স্বস্তিতে নিঃশ্বাস নিতে একটু মুক্ত হাওয়ায় চলতে-ফিরতে দিন। সঠিক সময়ে উন্নয়ন কাজ মানসম্মতভাবে শেষ করলে তবেই জনগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবে।
মাহমুদুল হক আনসারী
চট্টগ্রাম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।