রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
রংপুরের পীরগাছায় ১৫টি স্পটে শ্যালো মেশিন দিয়ে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন। একটি প্রভাবশালী মহল এ কাজে সহযোগিতা করায় কোন ভাবেই রোধ করা যাচ্ছে না বালু ব্যবসায়ীদের। ফলে একদিকে জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে আবাদি জমি খালে পরিনত হচ্ছে। অন্যদিকে আশে-পাশের আবাদি জমি, রাস্তা, স্কুল ও বসতবাড়ি রয়েছে চরম হুমকির মুখে। এ নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে ঘুরে সংশ্লিষ্ট বালু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলা সদরের রাজবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন, তালুকইসাদ, কুমারপাড়া, জানেরপাড়, কান্দি ইউপি’র বালার দিঘী, কৈকুড়ী ইউপি’র নওহাটী তেমনি ও জালালগঞ্জ ঘাট, পারুল ইউপি’র ঘাঘট নদীর তীর, ইটাকুমারী ইউপি’র শিবচন্দ্র রায়ের রাজবাড়ী এলাকা, অন্নদানগর ইউপি’র হাড়োডাঙ্গা, ছাওলার নবু হাড়িয়ার ঘাট, শিবদেব চরসহ প্রায় ১৫টি স্পটে শ্যালো মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এসব স্পট থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি ও ট্রাক্টর (কাকড়া) যোগে বালু বিক্রি করা হচ্ছে। আগে ৫শ টাকা ট্রলি হিসেবে বিক্রি করা হতো। এখন এ ব্যবসার সাথে পুলিশ, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী লোকজন জড়িয়ে পড়ায় বর্তমানে এক হাজার টাকা ট্রলি হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তারা বালু উত্তোলন বন্ধের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোন কাজে আসছে না। উপজেলা আইনশৃংঙ্খলা কমিটির জনৈক সদস্য আক্ষেপ করে বলেন, আইনশৃংঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হলেও তা কার্যত বাস্তবায়ন হচ্ছে না। ফলে এ উপজেলায় বালু ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে।
উপজেলার রাজবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাকিম বলেন, স্কুল সংলগ্ন জমি থেকে ড্রেজিং করে বালু তোলা হচ্ছে। এতে স্কুলটি ডেবে যাওয়ার আশংকায় হুমকির মুখে পড়েছে। কিন্তু কেউ কারো কথা শুনছে না। বালু ব্যবসায়ী জয়নাল ও মিলন মিয়া, বাবলু মিয়া, আজিজার রহমান বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে বালু তুলে আসছি। কেউ কিছু করতে পারবে না! পীরগাছা ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা বকুল মিয়া বলেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) না থাকায় আমাদের কথা কেউ শুনছে না। বার বার নিষেধ করা সত্তে¡ও তারা বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন। ফলে জমির শ্রেণি পরিবর্তন হয়ে আবাদি জমি খালে পরিনত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে পীরগাছা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আফছার আলী বলেন, বালু উত্তোলন বন্ধের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।