রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জে নিধোজ্ঞা অমান্য করে প্রজনন মৌসুমে মধুমতি নদীতে ইলিশ নিধন চলছে। গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার জালাবাদ ইউনিয়নের ধলইতলা, ডুবসি, চরঘাঘা, ইছাখালি গ্রামে মধুমতি নদীতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মা ইলশ ধরা হচ্ছে। প্রতিদিন অন্তত ৫০টি ছোট ছোট নৌকায় কারেন্ট জাল দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইলিশ শিকার করছেন। এতে নির্বিচারে মা ইলিশ মারা পড়ছে। নদীর ওপারে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার গ্রামগুলোর প্রভাবশালীরাও পাল্লা দিয়ে ইলিশ মাছ শিকারে মেতেছেন। মাঝে মধ্যে লোহাগড়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়েও ইলিশ শিকার বন্ধ করতে পারছে না। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য অফিস ইলিশ নিধন বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুবসি গ্রামের লাহু গাজী বলেন, ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখা হয়েছে। কিন্তু গোপালগঞ্জ ও লোহাগড়ার প্রভাবশালীরা মিলেমিশে প্রতিদিন ছোট ছোট অন্তত ৫০টি নৌকায় কারেন্ট জাল দিয়ে ইলিশ শিকার করছে। প্রতিটি নৌকা ২০ থেকে ৫০ কেজি পর্যন্ত ডিম ওয়ালা ইলিশ মাছ ধরে গোপানে বিক্রি করে দিচ্ছে। লোহাগড়া পুলিশ এ ব্যাপারে কয়েক বার অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু এতে কোন কাজ হয়নি। গোপালগঞ্জ মৎস্য বিভাগ অভিযান চালিয়ে শাস্তির ব্যবস্থা করলে অবৈধ ইলিশ শিকার বন্ধ হয়ে যেত। জালাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম. সুপারুল আলম টিকে বলেন, প্রকৃত জেলেরা মাছ শিকার করছে না। নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার চর ধলইতলা ও চরঘাঘা গ্রামের লোকজন ইলিশ মাছ ধরছে। এ মৌসুমে আমার ইউনিয়নের জেলেরা নদীতে নামছে না। তারা চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মহসীন উদ্দিন বলেন, আমরা ইলিশ বাজারজাত করন, ক্রয়-বিক্রয় মনিটরিং করে বন্ধ করে দিয়েছি। নদীতে ইলিশ শিকার বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।