পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
তিস্তার ন্যায্য হিস্যা চাই
সমপ্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের ৫৭তম বৈঠকে বাংলাদেশকে ভারত এ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা তো দূরের কথা, আগে যেটুকু পানি বাংলাদেশ পেত এবার তাও পাবে না। তিস্তার পানির শূন্যতায় ইতিমধ্যে নীলফামারী, লালমনিরহাট, দিনাজপুর, গাইবান্ধা, জয়পুরহাট ও বগুড়ায় প্রায় সাড়ে লাখ লাখ হেক্টর জমিতে সেচ ব্যবস্থা ধুঁকছে। বছরের এই সময়ে যেখানে বাংলাদেশের পানি পাওয়ার কথা ছিল ৫ হাজার কিউসেক, সেখানে পাচ্ছে মাত্র ৫০০ কিউসেক। বৈঠকে এই সামান্য প্রবাহ থেকেও আরও ১০-২০ শতাংশ পানি সরিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তা নেমে এসেছে ১৯৭৩-৮৫ সময়কালের মাত্র ১০ শতাংশ। বিষয়টি উদ্বেগজনক। এভাবে পানিপ্রবাহ হ্রাস পেতে থাকলে অচিরেই বাংলাদেশ অংশে থাকা এ নদীর মৃত্যু ঘটবে। বাংলাদেশে এর মারাত্মক প্রভাব পড়বে। এদিকে উত্তরাঞ্চলের অন্তত সাড়ে ৬ লাখ হেক্টর জমি সেচ সুবিধা হলে সর্বোপরি কয়েক লাখ মৎস্যজীবীসহ প্রায় কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকায় ঘোর অনিশ্চয়তা নেমে আসবে। অভিন্ন নদীগুলোর স্বাভাবিক গতিপ্রবাহে ব্যত্যয় ঘটানো, নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ কিংবা নদীর প্রবাহকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করা ইত্যাদি একতরফাভাবে হতে পারে না। এটা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। আন্তর্জাতিক আইন ও সনদ অনুযায়ী ভাটির দেশও উজানের দেশের সমপরিমাণ পানি পাওয়ার অধিকার রয়েছে। তারপরও ভারত গায়ের জোরে এটা করছে। এ জন্য আমাদের আরও শক্ত হতে হবে। এর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার বিকল্প নেই।
মোহাম্মদ ইয়ামিন খান
শিক্ষার্থী , ইংরেজি বিভাগ, সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।