Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শঙ্কায় সালাহর বিশ্বকাপ স্বপ্ন: ইচ্ছে করেই ফাউল করেছিলেন রামোস?

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সার্জিও রামোসের সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে কাঁধে চোট পেলেন। মিনিট দু-এক পরই মাঠ ছাড়লেন কান্নাভেজা চোখে। মোহাম্মদ সালাহর সেই কান্না তাঁর ভক্তদের ছাপিয়ে ছুঁয়ে গেছে সাধারণ ফুটবলপ্রেমীদেরও। প্রথম মিসরীয় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল খেলতে নামা সালাহ যে এখন বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায়!
গেলপরশু কিয়েভে রাতটা ছিলো শুধুই রিয়াল মাদ্রিদের। লিভারপুলতে ৩-১ গোলে হারিয়ে টানা তৃতীয় শিরোপা জয়ের অনন্য রেকর্ড স্পর্শ করেছে তারা। তবে ফুটবল ভক্তদের চাওয়াটা পূর্ণ হয়নি। হালের নতুন তারকা সালাহর সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দ্বৈরথটা দেখার জন্য তাকিয়ে ছিলো তারা। ম্যাচের পুরোটা সময় মাঠে থাকতে পারেননি মিশরীয় তারকা। অনাকাক্সিক্ষত চোটে প্রথমার্ধ শেষ না হতেই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ২৯ মিনিট। বল ছিলো রিয়ালের অর্ধে। উড়ে আসা বলের নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েছিলেন সালাহ। পাশে থাকা রামোস তাকে ট্যাকেল করতে যান। এক পর্যায়ে সালাহর হাত ধরে টেনে ধরেন তিনি। শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পেরে পড়ে যান রামোস। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেই পতনে সচেতনভাবেই সালাহর হাতের উপরেই পড়েন রিয়াল অধিনায়ক। এতেই গুরুতর ভাবে আহত হন সালাহ।
রামোসের যে ফাউলে মাঠ থেকে ছিটকে গেলেন সালাহ, তা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ফুটবল বিশ্ব। সমর্থকদের চোখে সেটা ছিল ইচ্ছাকৃত। আসলেই কি এমন কিছু হয়েছিল? লিভারপুল কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের কথায় কিন্তু এমন একটা প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত রয়েছে। শিষ্যের চোট প্রসঙ্গে ফাইনাল শেষে ক্লপ বললেন, ‘আমি জানি ম্যাচ হারার পর এমন কিছু বললে মনে হবে হার মানতে কষ্ট হচ্ছে। তবে আমার কাছে এটা বাজে চ্যালেঞ্জ ছিল। অনেকটা রেসলিংয়ের মতো এবং দুর্ভাগ্যজনকভাবে মো কাঁধের ওপর পড়েছে।’
ক্লপ তবু সরাসরি রামোসের দিকে তির ছুড়ছেন না, পেশাদারি চিন্তা থেকেই হয়তো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমর্থকদের তো আর সে দায় নেই। তাই অধিকাংশই শূলে চড়াচ্ছেন রামোসকে। কারও চোখে এটা ইচ্ছাকৃত ফাউল। কারও চোখে আগে থেকেই নাকি পরিকল্পিত ছিল এই ফাউল- সালাহকে মাঠ থেকে বের করার জন্যই। কেউ বা সালাহর বিশ্বকাপ অনিশ্চয়তার দায়ও চাপিয়ে দিচ্ছেন রামোসের ঘাড়ে।
তবে পেশাদার ফুটবলে এমন ঘটনাকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়ে ঘটনার পর সালাহকে শুভকামনা জানাতে ভোলেন নি রামোসও। নিজের ব্যক্তিগত টুইটারে স্প্যানিশ ও ইংরেজি দুই ভাষাতেই টুইট করেন রামোস, ‘ফুটবল তোমাকে সুন্দরতম অভিজ্ঞতা উপহার দেবে, কখনো তিক্ত। প্রথমত আমরা সঙ্গী। দ্রুত সেরে ওঠো সালাহ। ভবিষ্যৎ তোমার অপেক্ষায় রয়েছে। ফুটবল কখনো তোমাকে ভালো দিক দেখাবে, কখনো খারাপও। সবার উপরে, আমরা পেশাদার সহকর্মী।’
লিভারপুলের দুঃস্বপ্নের রাতে যতটা দুঃখ পেয়েছে তাদের সমর্থকরা, তার চেয়ে কোন অংশে কোন পায়নি মিশরীয়রা। কারণ মিশরের সেরা তারকাই যে সালাহ। তার হাত ধরেই ২৮ বছর পর আবার বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়েছে ফারাওরা। বিশ্বকাপেও তাকে ঘিরেই স্বপ্নটা দেখছিলো দলটি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিশ্বকাপ

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ