পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পাবনার দুঃখ ইছামতী নদী
পাবনার একসময়ের স্রোতস্বিনী ইছামতী নদী দখল ও দূষণে মরতে বসেছে। পাবনা শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটি এখন অস্তিত্বের সংকটে ভুগছে। জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নদীটির ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু দখল আর দূষণের থাবায় বিশাল নদীটি খালের রূপ নিয়েছে। সেই খালও এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হতে যাচ্ছে। নদীটি আজ মৃতপ্রায়। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ শহরের লাখ লাখ মানুষের জীবনযাত্রায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। নদীটি শুকিয়ে যাওয়ায় জেলার ব্যবসা-বাণিজ্য যেমন থমকে গেছে, স্থবির হয়ে পড়েছে হোসিয়ারিশিল্পও। প্রায় ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটির অর্ধেক অংশই এখন নর্দমায় পরিণত হয়েছে। শহরের বাসাবাড়ি, হোটেল-রেস্তোরাঁ, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিকের ময়লা ফেলা হচ্ছে নদীতে। শহরের বর্জ্য নিষ্কাশনের নালা-নর্দমাগুলো এসে মিশেছে নদীতে। ময়লা-আবর্জনার গন্ধে দূষিত হয়ে পড়েছে নদীর চারপাশ। নদীর দুই পাশের অনেক অংশই ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে জীববৈচিত্র্য। নদীকেন্দ্রিক ফসল উত্পাদনও হুমকির সম্মুখীন। নদীখেকোদের দখলের থাবায় নদীর দুই পারে বসতবাড়ি ও স্থাপনা বাড়ছেই। পাবনার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার, নদীকেন্দ্রিক যোগাযোগ এবং শহরের সার্বিক পরিবেশ রক্ষার্থে ইছামতী নদীর পুনরুজ্জীবন একান্ত দরকার।
সাধন সরকার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা।
ফুটপাতের কথা শোনাই
ঢাকার ফুটপাতের ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে হরেক রকম খাবার বিক্রি হয়। বটি কাবাব, জালি কাবাব, ফুচকা, চটপটি, শিক কাবাব, পুডিং, কেক, পরোটা, ডিম রোল, পেটিস, শিঙাড়া, সমুচাসহ কত কি। দলে দলে মানুষ তা খাচ্ছে। বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে এসব খাদ্যদ্রব্য আগের রাতে ফুটপাতের দোকানিরা কিনে পরদিন তা জ্বাল দিয়ে আবার বিক্রি করছে। কয়েক দিন ধরেই চলে বেচাকেনা। মাল ফুরিয়ে গেলে আবার রিজেক্টেড খাদ্যসামগ্রী নিয়ে আসে হোটেল-রেস্তোরাঁ থেকে। এসব বাসি খাবার খেয়ে মানুষ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কখনো বা রোগ ধরাও পড়ে না, দিনের পর দিন পেটের জ্বালা-যন্ত্রণায় ভোগে। তাই ফুটপাতে ভেজাল খাদ্য বিক্রি অবিলম্বে নিষিদ্ধ করা প্রয়োজন।
লিয়াকত হোসেন খোকন
ঢাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।