নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
জাতীয় দলের প্রশ্নে বার বার এই কথা শুনতে হয়েছে মেসিকে। মেসি ম্যারাডোনার মত নন। ক্লাব ফুটবলকে একের পর এক বিষ্ময় উপহার দিলেও জাতীয় দলের হয়ে তার অর্জনের ঝালিতে কিছুই নেই। এর কারণটাও সবার জানা। ম্যারাডেনা যেমন তার সতীর্থদের কাছ থেকে পূর্ণ সমর্থন পেয়েছিলেন মেসি সেভাবে পান না। আর এই কারণেই মেসির পক্ষে ম্যারাডোনা হওয়া কঠিন বলে মনে করেন দেশটির সাবেক তারকা খেলোয়াড় ক্লাদিও পল ক্যানিজিয়া।
২১তম ফিফা বিশ্বকাপের আগে ফিফাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বার্সেলোনা তারকাকে নিয়ে এমন মন্তব্য করেন ক্যানিজিয়া। ক্লাব ফুটবলে সর্বোচ্চ সম্মান ও পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জয় কলেও এখন পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক বড় কোন ট্রফি জিততে পারেননি মেসি। দলকে দুটি কোপা আমেরিকা ও ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালে নিয়েও সতীর্থ স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতায় হৃদয় ভঙ্গ ভাঙে ফুটবল জাদুকরের। যে কারণে ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ এনে দিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা কিংবদন্তি ম্যারাডোনার পাশে এখনো বসতে পারেননি মেসি।
১৯৯০ ও ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার সাথে খেলেছিলেন ক্যানিজিয়া, ছিলেন ২০০২ বিশ্বকাপ দলেও। তার বিশ্বাস আলবিসেলেস্তেদের প্রতিনিধিত্ব করার সময় দশ নম্বর জার্সি পরলেও ম্যারাডোনার ন্যায় দলকে অনপ্রানীত করাটা মেসির জন্য অনেক বেশি কঠিন। আর্জেন্টিনার হয়ে ৫০ ম্যাচ খেলা ক্যানিজিয়া ফিফার অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বলেন, ‘ম্যারাডোনার মতো মেসি তার সতীর্থদের কাছ থেকে একই রকম সমর্থন পান না। আমার মনে হয় এটিই সত্যি।’ ৫১ বছর বয়সী বলেন, ‘আপনি সব দ্বায় মেসিকে দিতে পারেন না। তাহলে আপনি কেন সেখানে আছেন? মনে করুন ১৯৯০ এর কথা, যেখানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দলকে আমার একা বহন করতে হবে। না, এটা সম্ভব নয়। বহন করতে হবে সবাই মিলে।’ এখানেই এই দলের ঘাটতি আছে বলে মনে করেন ক্যানিজিয়া।
ক্যানিজিয়ার মতে মেসিকে প্রত্যাশা পূরণের ভার বহন করার ক্ষমতা আছে, ‘গ্রীস্মে রাশিয়ায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়ার সক্ষমতা আর্জেন্টিনার রয়েছে। আর্জেন্টিনার কোচ জর্জ সাম্পাওলির দল ফেভারিট না হলেও গঞ্জালো হিগুইয়েন, পাওলো ডিবালা, সার্জিয়ো আগুয়েরো এবং অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া ভালো অবস্থায় আছেন।’ বিশ্বের যে কোন রক্ষণে তারা ত্রাস ছড়াতে সক্ষম বলে মনে করেন ক্যানিজিয়া, ‘আমাদের শক্তিশালী বিভাগ হচ্ছে আমাদের আক্রমণভাগ। যারা যে কোন দলকে ভয় ধরিয়ে দিতে সক্ষম।’ তবে নিজেরে দুর্বল রক্ষণভাগের দিকেও আঙ্গুল তুলতে ভোলেননি তিনি।
আসন্ন বিশ্বকাপে ‘ডি’ গ্রুপে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া ও নাইজেরিয়া। ১৬ জুন আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করবে দু’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।