পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
সিরিয়ার সামরিক বাহিনীর একটি চৌকিতে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় সিরিয়ায় সেনাবাহিনী ও ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তত ৩০ সদস্য নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় পালমিরার কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ও ওই এলাকা থেকে আসা বাসিন্দারা জানিয়েছে। জিহাদিরা ওইদিন ভোররাতে প্রাচীন রোমান শহর পালমিরার দক্ষিণ-পূর্বে একটি বাঁধের কাছে আত্মঘাতী বোমারু ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে হামলাটি চালায়। এর আগের দিন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আইএসের শেষ ছিটমহল থেকে জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিয়েছিল সরকারি বাহিনী। এর আগে ছিটমহলটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বোমাবর্ষণ করেছিল তারা। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আইএস এ পর্যন্ত দুইবার ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট পালমিরা দখল করেছে এবং অনেক অমূল্য নিদর্শন ধ্বংস করেছে। পালমিরার নিকটবর্তী হমস প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা, যার সঙ্গে স্থানীয়দের যোগাযোগ রয়েছে, জানিয়েছেন, জিহাদিরা একসময় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশাল বিস্তৃত মরুভূমির গুপ্ত আশ্রয়স্থলগুলো থেকে এসে হামলাটি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৩০ সৈন্য ও মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকার ভূমিরূপের কারণে সেনাবাহিনীর পক্ষে সুরক্ষিত থাকা কঠিন, স¤প্রতি এর সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা হিট-এন্ড-রান আক্রমণের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে, সৈন্যদের অস্ত্র ও রসদ কেড়ে নিতে চোরাগোপ্তা হামলার ওপর নির্ভর করছে তারা। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, এ হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর পক্ষ হয়ে লড়াই করা অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি, যাদের মধ্যে ইরানিরাও রয়েছেন। রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।