Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারতে জাতীয় সঙ্গীতের সংশোধনী প্রস্তাব : জিন্নাহকে মহাপুরুষ বলেছেন বিজেপি এমপি সাবিত্রী

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সকলকেই পবিত্র রমজানুল মোবারক। এই সরকার রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে ভারতকে রোল মডেল মানে এবং রোল মডেল হিসাবে ভারতকে জনগণের কাছে তুলে ধরে। যে কোনো রাষ্ট্রের ভাল দিক অবশ্যই আমাদের আদর্শ হতে পারে। আবার খারাপ দিক পরিত্যাজ্য হতে পারে। ভারতেরও ভাল দিক আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু ভারতের সব ভাল দিক কি বাংলাদেশ গ্রহণ করবে? নিচে একটি উদাহরণ দিচ্ছি।
দেশটির জাতীয় সঙ্গীতে শব্দ সংশোধনের আরজি জানানো হয়েছে। এই আরজি জানিয়েছেন আসাম থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের সাংসদ রিপুন বোরা। তিনি সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় এক প্রস্তাবে জাতীয় সঙ্গীতে ‘সিন্ধু’ শব্দের পরিবর্তে ‘উত্তরপূর্ব’ শব্দটি যোগ করার আরজি জানিয়েছেন । তিনি বলেছেন, সংসদই জাতীয় সঙ্গীতকে গ্রহণ করেছে, তারাই পারে জাতীয় সঙ্গীত সংশোধন করতে। রিপুন বোরা তার প্রস্তাবের সমর্থনে বলতে গিয়ে বলেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, দেশের জাতীয় সঙ্গীতে ভারতের উত্তর পূর্বের কোনও উল্লেখ নেই। অন্যদিকে, সিন্ধুকে জাতীয় সঙ্গীতের অন্তর্ভুক্ত রাখা হয়েছে, যা বর্তমানে ভারতের অংশ নয়। সিন্ধু বর্তমানে পাকিস্তানের অংশ, যেটি ভারতের শত্রু দেশ। তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জাতীয় সঙ্গীত সংশোধনের জন্য অনুরোধ জানানো হবে।
এই রকম কোনো প্রস্তাব কি বাংলাদেশের কোনো ফোরাম থেকে উত্থাপন করা যাবে? এই রকম কোনো প্রস্তাব কি বাংলাদেশ সরকারের নিকট উত্থাপন করা যাবে? যদি করা হয় তাহলে উত্থাপনকারী বা উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ উত্থাপন করা হবে না, এই মর্মে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যাবে কি? শুধু রাষ্ট্রদ্রোহীতার অভিযোগ নয়, কোনো রকম ক্রিমিনাল বা ফৌজদারী অভিযোগ উত্থাপন করা হবে না, এমন গ্যারান্টি পাওয়া যাবে কি?
ভারতে মি. জিন্নাহর অবস্থান কি? ১২ ই মে ইরানি রেডিও ‘পার্স টুডের’ একটি খবরে বলা হয়, ১২ মে, পার্সটুডে : পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ‘মহাপুরুষ’ বলে অভিহিত করেছেন বিজেপি এমপি সাবিত্রী বাই ফুলে। বিজেপি’র জিন্নাহ বিরোধী অবস্থানের সম্পূর্ণ বিরোধী অবস্থানে গিয়ে সাবিত্রী বাই ফুলের এমন মন্তব্যে বিজেপি’র মধ্যে অস্বস্তি বেড়েছে। সাবিত্রী বাই ফুলে বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সমস্ত মহাপুরুষের অবদান আছে, জাত-পাত ব্যতিরেকে তাদেরকে শ্রদ্ধা করা উচিত। জিন্নাহর মতো মহাপুরুষের ছবি যেখানে প্রয়োজন সেখানে শ্রদ্ধা সহকারে বসাতে হবে। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় থেকেই জিন্নাহকে শ্রদ্ধা করা হচ্ছে। লোকসভাতেও ওর ছবি রয়েছে। শ্রদ্ধা সহকারে তার নাম নেয়া উচিত।’
ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের দফতরে থাকা মুহাম্মদ আলি জিন্নাহর ছবি অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে হিন্দুত্ববাদীরা। ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্য হিসেবে ১৯৩৮ সাল থেকেই জিন্নাহর ছবি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আলীগড়ের বিজেপি এমপি সতীশ গৌতম সমপ্রতি আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরকে চিঠি লিখে জানতে চেয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন জিন্নাহর ছবি রাখা হবে? এরপরেই ওই ইস্যুতে হিন্দুত্ববাদীরা মাঠে নেমে আন্দোলন শুরু করে। অন্যদিকে, বিজেপি’র এমপি শত্রুঘ্ন সিনহাও জিন্নাহ ইস্যুতে দলীয় অবস্থানের বিপরীতে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, আচমকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের নাম পরিবর্তন ও কিছু লোক ছবি অপসারণের দাবি করছেন। কিন্তু কেন অপসারণ করা হবে? এত বছর ধরে সেখানে ওই ছবি আছে এবং সবকিছু তো ঠিকঠাক চলছিল। বিজেপি’র উদ্দেশ্যে উপদেশ দিয়ে শত্রুঘণ্ সিনহা বলেন, বিজেপি’র ওই ঘটনা সম্পর্কে চিন্তা ভাবনা করা উচিত যাতে গো রক্ষার নাম করে দেশের বিভিন্ন অংশে নিরীহ লোকেদের হত্যা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মোহাম্মদ ফয়সাল এ ব্যাপারে বলেন, পাকিস্তানে মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ছবি বা ভাস্কর্য রাখা নিয়ে ইসলামাবাদে কখনো প্রতিক‚ল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। এ প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতার ‘মীযান’ পত্রিকার সম্পাদক ডা. মশিহুর রহমান ১২ ই মে শনিবার রেডিও তেহরানকে বলেন, ‘সাবিত্রী দেবী জিন্নাহকে মহান মানুষ বলে অভিহিত করেছেন। এর আগেও বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদবানী জিন্নাহকে ‘সেক্যুলার’ বলে উল্লেখ করেছেন। এজন্য আরএসএস তার রাজনৈতিক জীবনকে ‘সাইলেন্ট’ করে দিয়েছে। বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিংহ ‘জিন্নাহ: ইন্ডিয়ান পার্টিশন ইন্ডিপেন্ডেন্স’ নামক যে বই লিখেছেন তাতেও জিন্নাহর ইতিবাচক দিক তুলে ধরেছেন। সেজন্য বিজেপি তার রাজনৈতিক জীবন একদম শেষ করে দিয়েছে। ওই কথাগুলোর মধ্যে যে সত্যতা নেই তা নয়। তাদের মতো জ্ঞানী মানুষরা যখন একথা বলেন, তার মধ্যে অবশ্যই বাস্তবতা আছে।’
\দুই\
ফিরে আসছি দেশের কথায়।এই মাসে রাজনৈতিক তৎপরতা থাকে কম, ইফতার মাহফিল থাকে নিত্য দিন। এমনিতেই বিরোধী দল অর্থাৎ ২০ দলের মাঠের তৎপরতা গত ৪/৫ বছর হলো শুধু কম নয়, একেবারে নাই বললেই চলে। সেখানে পবিত্র রমজান মাস তাদেরকে একটি বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। এই একমাস রমজানের নাম করে নিষ্ক্রিয় থাকার একটি সুযোগ মিলেছে। ইসলামের ইতিহাস কিন্তু রোজার মাসটি নিষ্ক্রিয় থাকার মাস নয়। বরং এই মাসেই সংঘটিত হয়েছিল ইসলামের গৌরবময় যুদ্ধ, বদরের যুদ্ধ। সুতরাং প্রয়োজন হলে সিয়াম সাধনার মাসেও যে সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করা যায়, সেটা ইসলাম শিখিয়েছে। যাই হোক, ২০/২৫ বছর ধরে আমাদের নেতারা বিশেষ করে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী ঘরানার নেতারা সারাটি মাস ঘুরে ঘুরে ইফতার খাওয়ায় অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ইফতার খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে কিছু কুশলাদি বিনিময় এবং সেটির ফাঁকে রাজনীতির হাল হকিকত নিয়ে কিঞ্চিত আলাপ আলোচনা করেন। এটিকে তারা বলেন মত বিনিময়। এই মাসে রাজনৈতিক অঙ্গণে যেহেতু উল্লেখযোগ্য কিছু ঘটবে না তাই আমরা আজ ভিন্ন প্রসঙ্গ, তবে রাজনীতির সাথে কানেকটেড কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলবো।
প্রথমে ব্যরিষ্টার তুরিন আফরোজ। যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে তিনি একজন তুখোড় উকিল। ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় তিনি এতই ব্যাকুল যে আদালতের মধ্যে যেমন ন্যায়বিচারের জন্য তিনি সোচ্চার থাকেন, তেমনি আদালতের বাইরে টেলিভিশনের টকশোতেও তিনি সমান উচ্চকিত থাকেন। কিন্তু ব্যক্তি বা পারিবারিক জীবনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় তিনি কতখানি সিরিয়াস? নাকি ব্যক্তি ও পারিবারিক জীবনে এই সব মূল্যবোধের তিনি কোনো ধার ধারেন না? এসব বিষয় নিয়ে আমি কোনো সময় আলোচনা করিনা। কিন্তু যখন দেখি যে, বৈষয়িক জীবনে অনেক কিছু পাওয়ার জন্য তিনি তার গর্ভধারিণী মাকেও শুধু বঞ্চিত করছেন না, তাকে নির্যাতনও করছেন, তখন এই সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে কলম ধরতেই হয়। সেই কথাটিই আজ বলছি।
গত ১৮ মে একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে তুরিন আফরোজ সম্পর্কে একটি অবিশ্বাস্য খবর প্রকাশিত হয়েছে। খবরটির শিরোনাম, ‘মাকে তাড়িয়ে বাড়ি দখলের অভিযোগ তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে’। খবরে বলা হয়েছে, নিজের মাকে বের করে দিয়ে বাড়ি দখল করেছেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। এমন অভিযোগ করেছেন তার গর্ভধারিণী মা। রাজধানীর উত্তরায় ভাইয়ের নামে মায়ের দেয়া ওই বহুতল বাড়িটি গত বছর জোর করে দখলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অন্যতম প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ।
দখল হওয়া বাড়ি উদ্ধারের জন্য ঢাকার নিম্ন আদালতে মামলা করেছেন তুরিন আফরোজের আপন ছোটভাই শাহনওয়াজ আহমেদ শিশির। মামলাটি বর্তমানে পরিচালনা করছেন শিশির ও তুরিন আফরোজের মা শামসুন নাহার।ঢাকার উত্তরার বাড়িটি ছাড়াও গ্রামের বাড়ি নীলফামারী জেলার জলঢাকাতেও পৈতৃক সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ করেছেন তার মা শামসুন নাহার তসলিম। এই প্রেক্ষাপটে নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার শঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে পত্র দিয়েছেন তুরিনের মা। মেয়ে তুরিন জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে এমনটি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর দফতর বরাবর গত বছরের ৭ জুলাই অভিযোগ দিয়েছেন শামসুন নাহার।
\তিন\
গত ১ জানুয়ারি ঢাকার প্রথম যুগ্ম জজ আদালতে দায়ের করা (মামলা নম্বর ১৩-২০১৮) মামলায় বাদি শাহনওয়াজ আহমেদ শিশির উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ২ মার্চ পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে মা শামসুন নাহার এবং অন্য ভাড়াটিয়াদের বাড়ি থেকে বের করে দেন তুরিন আফরোজ। নিজেকে বাড়ির মালিক দাবি করে তুরিন বাড়ি ও জমির দলিলপত্রও দখলে নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ আনা হয়েছে মামলায়। মামলার অভিযোগে আরো বলা হয়, ভাই শিশির সম্পত্তিতে আসতে চাইলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়া হবে বলেও মাকে হুমকি দেন বিবাদি তুরিন। বিষয়টি একদিকে মর্মস্পর্শী এবং এক বিধবা মায়ের কান্নায় ভারাক্রান্ত অন্যদিকে তেমনি তুরিনের ক্ষমতার দম্ভে স্পর্ধিত। প্রকাশিত খবরে আরো বলা হয়, ঘটনার পর থেকেই মা শামসুন নাহার আর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ সড়কের ১৫ নম্বরের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। প্রবেশ করতে চাইলে ভাই শিশিরকেও বাড়িতে ঢুকতে দেননি তুরিন, এমন অভিযোগ করেছেন মা শামসুন নাহার। বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদকের কথা হয়, মামলা পরিচালনাকারী শামসুন নাহারের সাথে। তিনি বলেন, ‘আমার সব সুখ খানখান করে দিয়েছে পেটের মেয়ে তুরিন। ৫ তলা বিশিষ্ট দুই ইউনিটের বাড়িটি তুরিন দখলে নিয়েছে। তিনি জানান, তার স্বামী অর্থাৎ তুরিনের বাবা হাজী হাফেজ ইয়ার মোহাম্মদ তরফদারের ওয়ারিশদের কাছ থেকে বাড়িটি নিজ স্ত্রীর নামে ক্রয় করেন। পরে শামসুন নাহার ১৯৯৭ সালে ছেলের নামে বাড়িটি লিখে দেন।
তিনি বলেন, ‘২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে স্বামী (তুরিন-শিশিরের বাবা) মারা যাওয়ার দুই মাস পরেই পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় তুরিন। বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদেরও বের করে দেয়া হয়। নিজের অভিজাত বাড়ি থাকার পরও আজ আমি ফেরারি। আজ এ আত্মীয়ের বাসায় তো কাল আরেক আত্মীয়ের বাসায় রাত কাটছে। কানাডা প্রবাসী ছেলেও তুরিনের ভয়ে দেশে আসতে পারছে না।’
‘কথায় কথায় আমার মেয়ে তুরিন র‌্যাব ডিজি, পুলিশ, গোয়েন্দাদের ভয় দেখায়। জীবনের শেষ বেলায় বড়ই অসহায় লাগছে। নিরাপত্তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আবেদন করেছি। ব্যক্তি আর সংসার জীবনে উচ্ছৃঙ্খল তুরিন আজ আমাদের প্রাণনাশের হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ এমনটি বলছিলেন তুরিনের মা।
ঘটনার পর থেকেই মা শামসুন নাহার আর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ১১ সড়কের ১৫ নম্বরের বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি। প্রবেশ করতে চাইলে ভাই শিশিরকেও বাড়িতে ঢুকতে দেননি তুরিন, এমন অভিযোগ করেছেন মা শামসুন নাহার। এরা প্রগতির ঝান্ডা উড়ায়, নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে, পরিবারের ওপর তথা কথিত মৌলবাদীদের অত্যাচারের কথা বলে। কিন্তু যেখানে নিজের স্বার্থ জড়িত সেখানে এরা সমস্ত মানবিক মূল্যবোধ, এমনকি মাতা কন্যার একান্তই আবেগময় এবং সম্পর্ককেও এরা স্বার্থের যুপকাষ্ঠে বলি দেয়। মনে হয় যারা তাকে প্রমোট করেছেন তাদের কাছেও তার স¦রূপ উদঘাটিত হয়েছে। তাই আইন মন্ত্রণালয় তাকে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটারের পদ থেকে আপাতত সরিয়ে দিয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হয়েছে।
\চার\
জাতীয় পার্টির প্রধান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এমপি। সাড়ে ৪ বছর আগে এই সরকার এরশাদকে প্রধান মন্ত্রী হাসিনার বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে। এরশাদের মাসিক বেতন কত সেটি জানে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হয়েছে যে, তার মাসিক বেতন হলো ৫ লক্ষ টাকা। তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব হলো, আধুনিক মুসলিম গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি এবং দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, অসামপ্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্য বিশ্বদরবারে পৌঁছে দেয়া, মধ্য প্রাচ্যে জনশক্তি রফতানির বাজার প্রসারে ভূমিকা পালন।
বেতন যাই হোক, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে তার যে কাজ তার ধারে পাশেও তিনি নাই। এক মাত্র ভারত ও সিঙ্গাপুর ছাড়া তিনি কোনো দেশ সফর করেননি। এ দুটি দেশের মধ্যে তিনি একাধিক বার সিঙ্গাপুর সফর করেছেন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। আর একাধিক বার ভারত সফর করেছেন ভারতের সাথে জাতীয় পার্টির একটি বিশেষ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য। সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, বিগত সাড়ে ৪ বছরে বেতন হিসাবে এরশাদ যত টাকাই পেয়ে থাকুন না কেন, সব টাকা দেওয়া হয়েছে সম্পূর্ণ বিনা কাজে। রাষ্ট্রীয় অর্থের এত বড় অপচয় আর কোথাও হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।
Email: [email protected]



 

Show all comments
  • তামিম ২২ মে, ২০১৮, ৩:০২ এএম says : 0
    এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করায় লেখককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • মামুন ২২ মে, ২০১৮, ৩:০৩ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে তার কোন কাজ দেখি নাই, শুধু কিছু বিরক্তিকর বক্তব্য শুনেছি
    Total Reply(0) Reply
  • শরীফ ২২ মে, ২০১৮, ৩:০৪ এএম says : 0
    কত কাজে যে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় হচ্ছে, আর আমরা না খেয়ে মরছি
    Total Reply(0) Reply
  • Badsha ২২ মে, ২০১৮, ৮:৫৩ এএম says : 0
    Mr. Mobaidur .....you....... only rubbish who always want to discuss about ZINNAAAAA. When I was living in the village,really impressed by such kinds of paragraph.But after completed HSC and shifted to Chittagong city for higher study then I got chance to know about our real history in Chittagong public library and compare with yours then all of your paragraph became bulsheet.Feel shame for every person seems you.
    Total Reply(1) Reply
    • abu khan ২৭ মে, ২০১৮, ১০:২৭ এএম says : 4
      Mr. Badsha If Mr. jinnah did not create pakistan you could not come to chittagong for higher study. in kashmir --- and reai history its a funny---

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন