রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাহিদুর রহমান নামে এক যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যু হয়েছে।
রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে তিনি মারা যান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দুর্লভপুর ইউনিয়নের দাদনচক গ্রামের মৃত সুবেদার আলী বিশ্বাসের ছেলে মাহিদুর রহমানের বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দি ছিলেন।
কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার হালিমা খাতুন যুগান্তরকে জানান, কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৮ এপ্রিল হৃদরোগে আক্রান্ত হন মাহিদুর। এরপর তাকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে তিনি মারা যান। মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
মাহিদুর রহমান একাত্তরে মুসলিম লীগের রাজনীতিতে জড়িত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরুর পর তিনি স্থানীয় রাজাকার ক্যাম্পেই থাকতেন এবং পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় আশপাশের এলাকায় হত্যা, লুটপাট, নির্যাতনের মতো মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশ নিতেন।
মুক্তিযুদ্ধে শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর স্কুল মাঠে ও এর আশেপাশে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় ২০১৩ সালে মাহিদুর রহমানসহ ১২ জনকে আসামি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আদালতে একটি মামলা হয়। গণহত্যার শিকার শহীদ পরিবারের সদস্য উপজেলার পারচৌকা গ্রামের বদিউর রহমান মামলাটি করেছিলেন।
এ মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৫ সালের ১৯ মে মাহিদুর রহমানকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।