পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ইনকিলাব ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকদের সবচেয়ে বড় অপরাধী ও রাজাকার হিসেবে বর্ণনা করে এদের বিচারে সোচ্চার হওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যারা যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে, তাদের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছে এবং ভোট চুরি করে যারা বঙ্গবন্ধুর খুনীদের সংসদে বসিয়েছে তারাই সবচেয়ে বড় অপরাধী ও রাজাকার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা মানবতাবিরোধী এবং বাংলাদেশের মাটিতে তাদের বিচার হওয়া উচিত। তাদের বিচারে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা গতরাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ, কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির যৌথসভায় সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি যারা যুদ্ধাপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। তিনি বলেন, তারা কেন যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়েছে ... তারা জানত যে এ আল-বদর ও রাজাকাররা জনগণকে নির্যাতন করেছে, তাদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে এবং গণহত্যা চালিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় তার নিজের গ্রামে স্বাধীনতাবিরোধীদের নির্যাতন ও লুটপাটের কথা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘রাজাকার-আলবদর আমাদের গ্রামের বাড়িতে বারবার হামলা চালিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের শহর ও গ্রামের সব জায়গায় তাদের লুটপাট চালানোর দৃশ্য ছিলো একই। কিন্তু আমার প্রশ্ন একটি গোষ্ঠী কেন তাদের জন্য মায়াকান্না করছে।’ মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বজন হারানোদের যন্ত্রণা ও দুঃখ অন্যদের চেয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বেশি অনুভব করেন। তিনি বলেন, ‘তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে এবং আমরা অবশ্যই তাদেরকে সে অধিকার দেবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে, যাতে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বজন হারানো মানুষগুলো ন্যায় বিচার পেতে পারেন। তিনি বলেন, কিন্তু একটি গোষ্ঠী দোষী সাব্যস্ত হওয়া যুদ্ধাপরাধীদের জন্য মায়াকান্না করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ গত ৬ সেপ্টেম্বর একজন যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদ- কার্যকর হয় এবং এর ফলে দেশ অভিশাপ থেকে মুক্ত হচ্ছে।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পটভূমি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সাধারণ মানুষ, বুদ্ধিজীবী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছিলো এবং পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর হাতে মা-বোনদের তুলে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু সেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘কিন্তু সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সামরিক আইন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সেই বিচার স্থগিত করে দেয় এবং জেলে থাকা সেই চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দিয়ে পুনর্বাসন করেছিলো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে তার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশকে কলঙ্ক থেকে মুক্ত করতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করে ছিলো সেই সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, যেসব দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছে, সেই সব দেশে এ ধরনের বিচার হয়েছে। ‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা হত্যা, ধর্ষণ এবং লুটপাটে জড়িত ছিলো তাদের জন্য একটি গোষ্ঠী মায়া কান্না করছে।’ Ñসূত্র : বাসস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।